আলো ছড়ানোর ক্ষুধা
সামনে কোনো ব্যাটসম্যান নেই। নির্দিষ্ট একটা জায়গায় বল ফেলে টার্ন করানোর চেষ্টা করছেন, সফলও হচ্ছেন। বিশ্বকাপ তাঁর কাছ থেকে যা চেয়েছিল এখন পর্যন্ত সেটা দিতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিছু দেওয়ার ক্ষুধাটাই হয়তো আরও বেশি করে সাকিব আল হাসানকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে নেটে। হয়তো সে কারণেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে পর পর দুই দিন এতটা সময় নিয়ে বোলিং করলেন।
নেট প্র্যাকটিসে নিয়মিত ব্যাটিং করলেও অনুশীলনে সাকিবকে বল করতে দেখাটা একটা খবর বটে। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে এমন খবরের জোগান দিলেন পরপর দুই দিন। তবে বাইরের নেটে ব্যাটসম্যানদের বল না করে ইনডোরের নেটে হাত ঘোরালেন নিজে নিজেই। সাকিব নিজেও কি তাহলে উপলব্ধি করতে পারছেন পাওনা মেটাতে না পারার তাড়না?
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত খেলে ফেলা পাঁচ ম্যাচে সাকিব ছিলেন নিজের ছায়া। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৫৫ রান করলেও পরের চার ম্যাচে রান ১৬, ৮, ৩২ ও ১। বল হাতেও তাঁর বাঁহাতি স্পিনের জাদু দেখছে না বিশ্বকাপ। পাঁচ ম্যাচে বোলিং—১/৬১, ২/২৮, ০/১, ২/৪৯ ও ১/৩৮। ওয়ানডের বিশ্বকাপে ওয়ানডের এক নম্বর অলরাউন্ডারের সঙ্গে এই পারফরম্যান্সটা যায় না। যদিও হল্যান্ড ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা করছেন না। ব্যাটিং ভালো হচ্ছে বলেই তাঁর বিশ্বাস।
স্কোর বোর্ড সব সময় ক্রিকেটের আসল ছবিটা বোঝাতে পারে না। সাকিবও হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন ১৬, ৮, ৩২—স্কোরগুলো তাঁর ব্যাটিংয়ের সচিত্র প্রতিবেদন নয়। দ্রুত আউট হয়ে গেলেও তার আগ পর্যন্ত উইকেটে থাকছেন আত্মবিশ্বাসী হয়ে। খারাপ ব্যাটিংয়ের অভিযোগ মানবেন কেন?
বল হাতে ঔজ্জ্বল্য ছড়াতে না পারার ব্যাখ্যা সাকিবের হয়ে আরেক বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাকই দিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে, ‘উইকেট না পেলেই আমরা মনে করি বল হয়তো খারাপ হচ্ছে। ব্যাপারটা সে রকম নয়। এটা নিজের কাছে। ও যদি মনে করে বোলিং যেটা করছে ঠিক আছে, তাহলেই ধরে নিতে হবে ঠিক আছে। আপনি উইকেটের জন্য বল করছেন নাকি রান কম দেওয়ার জন্য, সেটাও এখানে একটা ব্যাপার।’ কিন্তু সাকিবের ক্ষুধাটা টের পাওয়া যায় হল্যান্ড ম্যাচের পরদিন বলা কথায়। শুরুর দিকে ভালো বল করার তৃপ্তি যেমন ছিল, ছিল পরের দিকে সেটা করতে না পারার অতৃপ্তিও।
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে কি এসব অপূর্ণতাই দূর করে ফেলার মিশন নিলেন সাকিব আল হাসান! বাংলাদেশের আলোকিত বিশ্বকাপে সাকিব অন্ধকারে থেকে যাবেন, তা কী করে হয়?
নেট প্র্যাকটিসে নিয়মিত ব্যাটিং করলেও অনুশীলনে সাকিবকে বল করতে দেখাটা একটা খবর বটে। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে এমন খবরের জোগান দিলেন পরপর দুই দিন। তবে বাইরের নেটে ব্যাটসম্যানদের বল না করে ইনডোরের নেটে হাত ঘোরালেন নিজে নিজেই। সাকিব নিজেও কি তাহলে উপলব্ধি করতে পারছেন পাওনা মেটাতে না পারার তাড়না?
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত খেলে ফেলা পাঁচ ম্যাচে সাকিব ছিলেন নিজের ছায়া। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৫৫ রান করলেও পরের চার ম্যাচে রান ১৬, ৮, ৩২ ও ১। বল হাতেও তাঁর বাঁহাতি স্পিনের জাদু দেখছে না বিশ্বকাপ। পাঁচ ম্যাচে বোলিং—১/৬১, ২/২৮, ০/১, ২/৪৯ ও ১/৩৮। ওয়ানডের বিশ্বকাপে ওয়ানডের এক নম্বর অলরাউন্ডারের সঙ্গে এই পারফরম্যান্সটা যায় না। যদিও হল্যান্ড ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা করছেন না। ব্যাটিং ভালো হচ্ছে বলেই তাঁর বিশ্বাস।
স্কোর বোর্ড সব সময় ক্রিকেটের আসল ছবিটা বোঝাতে পারে না। সাকিবও হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন ১৬, ৮, ৩২—স্কোরগুলো তাঁর ব্যাটিংয়ের সচিত্র প্রতিবেদন নয়। দ্রুত আউট হয়ে গেলেও তার আগ পর্যন্ত উইকেটে থাকছেন আত্মবিশ্বাসী হয়ে। খারাপ ব্যাটিংয়ের অভিযোগ মানবেন কেন?
বল হাতে ঔজ্জ্বল্য ছড়াতে না পারার ব্যাখ্যা সাকিবের হয়ে আরেক বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাকই দিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে, ‘উইকেট না পেলেই আমরা মনে করি বল হয়তো খারাপ হচ্ছে। ব্যাপারটা সে রকম নয়। এটা নিজের কাছে। ও যদি মনে করে বোলিং যেটা করছে ঠিক আছে, তাহলেই ধরে নিতে হবে ঠিক আছে। আপনি উইকেটের জন্য বল করছেন নাকি রান কম দেওয়ার জন্য, সেটাও এখানে একটা ব্যাপার।’ কিন্তু সাকিবের ক্ষুধাটা টের পাওয়া যায় হল্যান্ড ম্যাচের পরদিন বলা কথায়। শুরুর দিকে ভালো বল করার তৃপ্তি যেমন ছিল, ছিল পরের দিকে সেটা করতে না পারার অতৃপ্তিও।
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে কি এসব অপূর্ণতাই দূর করে ফেলার মিশন নিলেন সাকিব আল হাসান! বাংলাদেশের আলোকিত বিশ্বকাপে সাকিব অন্ধকারে থেকে যাবেন, তা কী করে হয়?
No comments