তাঁদের পাশে সাকিবদের কিছু সময়
ওড়নায় ঢাকা পুরো মুখ। কেবল উঁকি দিচ্ছে এক জোড়া চোখ। যে চোখ দুটোতে সাকিব আল হাসানের মতো বড় তারকাকে দেখার ব্যাকুলতা ছাপিয়ে ফুটে উঠেছে ভয়, সংশয়। যদি ক্যামেরায় উঠে যায় ছবি! যদি নাম লিখে দেন কোনো সাংবাদিক! নিজেকে আড়াল করার কী এক নিদারুণ ব্যাকুলতা!
কাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এইচআইভি-এইডস আক্রান্তদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তিন তারকা সাকিব, জুনায়েদ সিদ্দিক ও ইমরুল কায়েস। ‘আশার আলো’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার ছোট্ট মিলনায়তনে মিলিত হয়েছিল সবাই। অনুষ্ঠান শুরুর আগে সেই মিলনায়তনে দেখা মিলল এইচআইভিতে আক্রান্ত ১০-১২ জন নারীর। আয়োজকদের কাছ থেকে যাঁরা বারবার একটাই আশ্বাস চাইছিলেন—পত্রিকা বা টিভিতে যেন দেখানো হয় না তাঁদের।
কেন এই লুকিয়ে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা? উত্তরটা মিলে গেল সেই অনুষ্ঠানেই। বাংলাদেশে এইচআইভি-এইডসের প্রকৃত চিত্রটি তুলে ধরার জন্য সাকিব-ইমরুলসহ অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের দেখানো হলো ছোট্ট একটা প্রামাণ্যচিত্র। যেখানে এইচআইভিতে আক্রান্ত এক নারী তাঁর কান্নাভেজা কণ্ঠে জানালেন, স্বামীর কারণে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। স্বামীর যে এই রোগ আছে সেটি তাঁর জানা ছিল না। অথচ স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শ্বশুরবাড়ি থেকে। আশ্রয় মেলেনি নিজের বাবার কাছেও। সেই নারীর একটাই জিজ্ঞাসা—‘কী আমার অপরাধ?’
পর্দায় দেখানো তথ্য থেকেই জানা গেল, এই দেশে এখনো এইচআইভিতে আক্রান্তদের অস্পৃশ্যের মতো দেখা হয়। অনেকেই তাঁদের ভয়ংকর পাপীও মনে করেন। সমাজপতি আর ফতোয়াবাজদের নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাঁদের। কেবল বাবা বা মায়ের এইচআইভি ছিল—এই অপরাধে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পরও বিয়ে হয় না অনেকের। বেশির ভাগ সময়েই করে রাখা হয় একঘরে। শুধু তা-ই নয়, সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা শিকার হয় বৈষম্যের। সাম্প্রতিক একটি জরিপের ফলাফল বলছে, এইচআইভি-এইডস আক্রান্তদের ৭০ শতাংশই এই পরিস্থিতির জন্য নিজেদের দায়ী করে। এমনকি ২১ শতাংশ আত্মহত্যাও করতে চায়!
সমাজের বড় অংশটাই তাদের দিকে ভালোবাসার হাত বাড়ায়নি। কিন্তু সাকিবরা জানালেন, তাঁরা পাশেই আছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক যেমন তাঁর বক্তব্যে সবাইকে অনুরোধ করলেন, এইচআইভি-এইডস সম্পর্কে নিজে সচেতন হতে, অন্যদেরও সচেতন করে তুলতে। জুনায়েদ বললেন, ‘এইচআইভি-এইডস কিন্তু ছোঁয়াচে নয়। আক্রান্তদের সঙ্গে মেলামেশা করতে কোনো বাধা নেই। এমনকি এইচআইভি আক্রান্তরাও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন।’ বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার তানজীব আহসান প্রতিশ্রুতি দিলেন, এ ধরনের উদ্যোগে সব সময়ই বাংলাদেশ দল পাশে থাকবে।
এইচআইভি-এইডস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ইউএনএইডস ও ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আইসিসি ‘থিঙ্ক ওয়াইজ’ কর্মসূচি নিয়েছে। ক্রিকেট-বিশ্বের কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারকে ‘থিঙ্ক ওয়াইজ চ্যাম্পিয়ন’ বা এই কর্মসূচির শুভেচ্ছাদূত করা হয়েছে। সাকিব তাঁদের একজন। ওই অনুষ্ঠানেই জানা গেল, ১৯৮৯ সালে প্রথম বাংলাদেশে এইচআইভি-এইডস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। সরকারি হিসাবমতে, এখন পর্যন্ত এইচআইভি ভাইরাস বহনকারীর সংখ্যা ২০৮৮ জন। এদের মধ্যে এইডসে আক্রান্ত হয়েছে ৮৫০ জন। মারা গেছে ৪২১। বিশ্বের তুলনায় পরিস্থিতিটা হয়তো তেমন ভয়াবহ নয় কিন্তু ভয়ের কারণও আছে। কেবল গত বছর এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে ৩৪৩ জন।
কাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এইচআইভি-এইডস আক্রান্তদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তিন তারকা সাকিব, জুনায়েদ সিদ্দিক ও ইমরুল কায়েস। ‘আশার আলো’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার ছোট্ট মিলনায়তনে মিলিত হয়েছিল সবাই। অনুষ্ঠান শুরুর আগে সেই মিলনায়তনে দেখা মিলল এইচআইভিতে আক্রান্ত ১০-১২ জন নারীর। আয়োজকদের কাছ থেকে যাঁরা বারবার একটাই আশ্বাস চাইছিলেন—পত্রিকা বা টিভিতে যেন দেখানো হয় না তাঁদের।
কেন এই লুকিয়ে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা? উত্তরটা মিলে গেল সেই অনুষ্ঠানেই। বাংলাদেশে এইচআইভি-এইডসের প্রকৃত চিত্রটি তুলে ধরার জন্য সাকিব-ইমরুলসহ অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের দেখানো হলো ছোট্ট একটা প্রামাণ্যচিত্র। যেখানে এইচআইভিতে আক্রান্ত এক নারী তাঁর কান্নাভেজা কণ্ঠে জানালেন, স্বামীর কারণে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। স্বামীর যে এই রোগ আছে সেটি তাঁর জানা ছিল না। অথচ স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শ্বশুরবাড়ি থেকে। আশ্রয় মেলেনি নিজের বাবার কাছেও। সেই নারীর একটাই জিজ্ঞাসা—‘কী আমার অপরাধ?’
পর্দায় দেখানো তথ্য থেকেই জানা গেল, এই দেশে এখনো এইচআইভিতে আক্রান্তদের অস্পৃশ্যের মতো দেখা হয়। অনেকেই তাঁদের ভয়ংকর পাপীও মনে করেন। সমাজপতি আর ফতোয়াবাজদের নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাঁদের। কেবল বাবা বা মায়ের এইচআইভি ছিল—এই অপরাধে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পরও বিয়ে হয় না অনেকের। বেশির ভাগ সময়েই করে রাখা হয় একঘরে। শুধু তা-ই নয়, সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা শিকার হয় বৈষম্যের। সাম্প্রতিক একটি জরিপের ফলাফল বলছে, এইচআইভি-এইডস আক্রান্তদের ৭০ শতাংশই এই পরিস্থিতির জন্য নিজেদের দায়ী করে। এমনকি ২১ শতাংশ আত্মহত্যাও করতে চায়!
সমাজের বড় অংশটাই তাদের দিকে ভালোবাসার হাত বাড়ায়নি। কিন্তু সাকিবরা জানালেন, তাঁরা পাশেই আছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক যেমন তাঁর বক্তব্যে সবাইকে অনুরোধ করলেন, এইচআইভি-এইডস সম্পর্কে নিজে সচেতন হতে, অন্যদেরও সচেতন করে তুলতে। জুনায়েদ বললেন, ‘এইচআইভি-এইডস কিন্তু ছোঁয়াচে নয়। আক্রান্তদের সঙ্গে মেলামেশা করতে কোনো বাধা নেই। এমনকি এইচআইভি আক্রান্তরাও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন।’ বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার তানজীব আহসান প্রতিশ্রুতি দিলেন, এ ধরনের উদ্যোগে সব সময়ই বাংলাদেশ দল পাশে থাকবে।
এইচআইভি-এইডস নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ইউএনএইডস ও ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আইসিসি ‘থিঙ্ক ওয়াইজ’ কর্মসূচি নিয়েছে। ক্রিকেট-বিশ্বের কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারকে ‘থিঙ্ক ওয়াইজ চ্যাম্পিয়ন’ বা এই কর্মসূচির শুভেচ্ছাদূত করা হয়েছে। সাকিব তাঁদের একজন। ওই অনুষ্ঠানেই জানা গেল, ১৯৮৯ সালে প্রথম বাংলাদেশে এইচআইভি-এইডস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। সরকারি হিসাবমতে, এখন পর্যন্ত এইচআইভি ভাইরাস বহনকারীর সংখ্যা ২০৮৮ জন। এদের মধ্যে এইডসে আক্রান্ত হয়েছে ৮৫০ জন। মারা গেছে ৪২১। বিশ্বের তুলনায় পরিস্থিতিটা হয়তো তেমন ভয়াবহ নয় কিন্তু ভয়ের কারণও আছে। কেবল গত বছর এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে ৩৪৩ জন।
No comments