লক্ষ্য পূরণেও অতৃপ্তির বোধ
ওল্ড ট্রাফোর্ডই কি ফিরে এল বিশ্বকাপে?
গত বছরের জুনে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবালের ১০৮ রানের ইনিংসটি শেষ হয়েছিল কট বিহাইন্ড হয়ে। জেমস অ্যান্ডারসনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ল উইকেটকিপার ম্যাট প্রিয়রের গ্লাভসে। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২ রান করেই একই বোলারের বলে ঠিক একই আউট!
দুটি প্রস্তুতি ম্যাচসহ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে সাতটি ম্যাচ, তার চারটিতেই বোল্ড তামিম! কানাডা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পরপর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে এবং এরপর বিশ্বকাপের সর্বশেষ দুটি ম্যাচে, ইংল্যান্ড ও হল্যান্ডের বিপক্ষে। কাল স্মৃতি হাতড়ে বাঁহাতি এই ওপেনার চলে গেলেন পেছনে, ‘গত বছর ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের দুই ইনিংসেই কট বিহাইন্ড হয়েছিলাম। একইভাবে পরপর দুই ইনিংসে আউট হওয়ার ঘটনা আর মনে পড়ে না।’
বারবার একইভাবে আউট হওয়াটা অনেক সময় ব্যাটসম্যানদের দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দেয়। কেন এমন হচ্ছে—অনুশীলনে গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তামিমের বেলায় দেখা যাচ্ছে বারবার বোল্ড হলেও ব্যাপারটা ব্যতিক্রম, ‘গত ম্যাচে বলটা ভেতরের ঊরুতে লেগে ঢুকেছে। আর প্রথম ম্যাচে শট সিলেকশনটা ছিল বাজে। সামনের বল আমি পেছনে খেলতে গেছি। কাজেই টেকনিক নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। একটা আউট দুর্ভাগ্যজনক, আরেকটা আমার বোকামি।’ ব্যাটিংয়ের যেকোনো সমস্যা নিয়ে যে দুজনের সঙ্গে আলোচনা করে স্বস্তি পান, তাঁরাও সবুজ সংকেত দিয়েছেন। কোচ জেমি সিডন্স এবং সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় চলে যাওয়া বাংলাদেশ দলের সাবেক সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও নাকি টেলিফোনে তামিমকে বলেছেন, বারবার বোল্ড হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ওটা এমনিই হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপটা তামিমের হবে, না সাকিবের—বিশ্বকাপের শুরু থেকেই প্রশ্নটা ছিল। পাঁচ ম্যাচে এটা অনেকটাই পরিষ্কার যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ তামিম-সাকিব কারোরই নয়। পাঁচ ম্যাচে ৭০, ৪৪, ০, ৩৮, ০—তামিমের কাছে নিশ্চয়ই এটা বিশ্বকাপের প্রত্যাশা নয়। তামিম নিজেও সেটা বুঝছেন, ‘এক ম্যাচে ৭০ করেছি, দুই ম্যাচে ৪০-এর মতো করে করেছি। তিন বছর আগে হলেও আমি বা অন্য কোনো খেলোয়াড় এটা নিয়ে খুশি থাকত। কিন্তু আমার স্ট্যান্ডার্ড আমি এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছি যে, ৪০ রান করলেও মনে হয় ব্যর্থ হয়েছি। আজ (গতকাল) কোচকেও বলেছি কথাটা।’
বারবার একইভাবে আউট হওয়ার মতো এই ব্যাপারটা নিয়েও কোনো ভাবনা নেই। তামিম বরং চিন্তায় পড়ে গেছেন সেঞ্চুরি নিয়ে! বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি নেই, এখন পর্যন্ত নেই ১০০ রানের কোনো জুটিও। আশপাশের মানুষজন নাকি প্রতিদিনই তামিমকে এটা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেঞ্চুরিটা তাই এখন স্বপ্নের মধ্যেও ঢুকে যাচ্ছে তাঁর, ‘অনেকেই আমাকে কথাটা বলেছে। গত দুই দিনে আমি এত এক শর কথা শুনেছি যে, স্বপ্নেও এখন ১০০ দেখছি! দোয়া করবেন উল্টো যেন না হয়ে যায়। তবে ১০০ রানের জুটি অবশ্যই দেখবেন।’
সেঞ্চুরি, ১০০ রানের জুটি—১৯ মার্চের দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেই সব হয়ে গেলে মন্দ কী? বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে কি না, খেললে কী অবস্থান নিয়ে খেলবে—এসব হিসাব মেলানোরই যে সমীকরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যাচটা! গতকাল হয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ম্যাচের ওপরও অবশ্য নির্ভর করছিল অনেক কিছু। তবে চেন্নাইয়ের এই ম্যাচটার আগে তামিম বলেছিলেন, ‘হল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি, ওভাবেই খেলব পরের ম্যাচে। জেতার জন্যই খেলব। ইংল্যান্ডের ম্যাচ নিয়ে যদি এতই আগ্রহী থাকতাম, তাহলে তো আজ (গতকাল) সকাল আটটা থেকে প্র্যাকটিস করে দুপুরে খেলা দেখতাম।’
কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল, ফাইনাল—কাল পর্যন্ত বাংলাদেশ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, যেকোনো স্বপ্ন দেখাই সম্ভব ছিল। তবে প্রথম স্বপ্নটা পূরণ যদি নাও হয়, আক্ষেপ থাকবে না তামিমের, ‘আমাদের চিন্তা ছিল কমপক্ষে তিনটা ম্যাচ জিতব এবং সেটা জিতেছি। চারটা জিততে পারলে তো খুবই ভালো। আরও একটা ম্যাচ আছে। এটাও যদি ভালোভাবে খেলতে পারি, এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। পরের রাউন্ডে যেতে পারলে এটা হবে আমাদের সেরা বিশ্বকাপ।’ কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেলেও তামিম ভুগছেন সেরা খেলা খেলতে না পারার অতৃপ্তিতে, ‘দল হিসেবে টার্গেট ছিল কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। আমরা সেদিকেই যাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলিনি আমরা। এখন পর্যন্ত সবই ঠিক আছে, তবে এর চেয়ে ভালো হতে পারত।’
আশরাফুল-মাশরাফির পর এখন সাকিব-তামিমের দিকেও তাকিয়ে থাকে না বাংলাদেশের জয়। ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ-শফিউলরাও পারেন সাফল্যের মশাল জ্বালাতে। আর সবার মতো তামিমের মুখ থেকেও তাই বেরিয়ে আসে টিম স্পিরিটের কথা। ভালো কিছু করার তাগিদটা সবার মনের মধ্যেই একই রকম বুদ্বুদ তুলছে। তামিম তো বললেনই, ‘সত্যি বলতে কি, আমরা অনেক অ-নে-ক ক্ষুধার্ত ভালো কিছু করার জন্য।’
গত বছরের জুনে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবালের ১০৮ রানের ইনিংসটি শেষ হয়েছিল কট বিহাইন্ড হয়ে। জেমস অ্যান্ডারসনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ল উইকেটকিপার ম্যাট প্রিয়রের গ্লাভসে। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২ রান করেই একই বোলারের বলে ঠিক একই আউট!
দুটি প্রস্তুতি ম্যাচসহ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে সাতটি ম্যাচ, তার চারটিতেই বোল্ড তামিম! কানাডা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পরপর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে এবং এরপর বিশ্বকাপের সর্বশেষ দুটি ম্যাচে, ইংল্যান্ড ও হল্যান্ডের বিপক্ষে। কাল স্মৃতি হাতড়ে বাঁহাতি এই ওপেনার চলে গেলেন পেছনে, ‘গত বছর ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের দুই ইনিংসেই কট বিহাইন্ড হয়েছিলাম। একইভাবে পরপর দুই ইনিংসে আউট হওয়ার ঘটনা আর মনে পড়ে না।’
বারবার একইভাবে আউট হওয়াটা অনেক সময় ব্যাটসম্যানদের দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দেয়। কেন এমন হচ্ছে—অনুশীলনে গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তামিমের বেলায় দেখা যাচ্ছে বারবার বোল্ড হলেও ব্যাপারটা ব্যতিক্রম, ‘গত ম্যাচে বলটা ভেতরের ঊরুতে লেগে ঢুকেছে। আর প্রথম ম্যাচে শট সিলেকশনটা ছিল বাজে। সামনের বল আমি পেছনে খেলতে গেছি। কাজেই টেকনিক নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। একটা আউট দুর্ভাগ্যজনক, আরেকটা আমার বোকামি।’ ব্যাটিংয়ের যেকোনো সমস্যা নিয়ে যে দুজনের সঙ্গে আলোচনা করে স্বস্তি পান, তাঁরাও সবুজ সংকেত দিয়েছেন। কোচ জেমি সিডন্স এবং সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় চলে যাওয়া বাংলাদেশ দলের সাবেক সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও নাকি টেলিফোনে তামিমকে বলেছেন, বারবার বোল্ড হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ওটা এমনিই হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপটা তামিমের হবে, না সাকিবের—বিশ্বকাপের শুরু থেকেই প্রশ্নটা ছিল। পাঁচ ম্যাচে এটা অনেকটাই পরিষ্কার যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ তামিম-সাকিব কারোরই নয়। পাঁচ ম্যাচে ৭০, ৪৪, ০, ৩৮, ০—তামিমের কাছে নিশ্চয়ই এটা বিশ্বকাপের প্রত্যাশা নয়। তামিম নিজেও সেটা বুঝছেন, ‘এক ম্যাচে ৭০ করেছি, দুই ম্যাচে ৪০-এর মতো করে করেছি। তিন বছর আগে হলেও আমি বা অন্য কোনো খেলোয়াড় এটা নিয়ে খুশি থাকত। কিন্তু আমার স্ট্যান্ডার্ড আমি এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছি যে, ৪০ রান করলেও মনে হয় ব্যর্থ হয়েছি। আজ (গতকাল) কোচকেও বলেছি কথাটা।’
বারবার একইভাবে আউট হওয়ার মতো এই ব্যাপারটা নিয়েও কোনো ভাবনা নেই। তামিম বরং চিন্তায় পড়ে গেছেন সেঞ্চুরি নিয়ে! বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি নেই, এখন পর্যন্ত নেই ১০০ রানের কোনো জুটিও। আশপাশের মানুষজন নাকি প্রতিদিনই তামিমকে এটা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেঞ্চুরিটা তাই এখন স্বপ্নের মধ্যেও ঢুকে যাচ্ছে তাঁর, ‘অনেকেই আমাকে কথাটা বলেছে। গত দুই দিনে আমি এত এক শর কথা শুনেছি যে, স্বপ্নেও এখন ১০০ দেখছি! দোয়া করবেন উল্টো যেন না হয়ে যায়। তবে ১০০ রানের জুটি অবশ্যই দেখবেন।’
সেঞ্চুরি, ১০০ রানের জুটি—১৯ মার্চের দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেই সব হয়ে গেলে মন্দ কী? বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে কি না, খেললে কী অবস্থান নিয়ে খেলবে—এসব হিসাব মেলানোরই যে সমীকরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যাচটা! গতকাল হয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ম্যাচের ওপরও অবশ্য নির্ভর করছিল অনেক কিছু। তবে চেন্নাইয়ের এই ম্যাচটার আগে তামিম বলেছিলেন, ‘হল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি, ওভাবেই খেলব পরের ম্যাচে। জেতার জন্যই খেলব। ইংল্যান্ডের ম্যাচ নিয়ে যদি এতই আগ্রহী থাকতাম, তাহলে তো আজ (গতকাল) সকাল আটটা থেকে প্র্যাকটিস করে দুপুরে খেলা দেখতাম।’
কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল, ফাইনাল—কাল পর্যন্ত বাংলাদেশ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, যেকোনো স্বপ্ন দেখাই সম্ভব ছিল। তবে প্রথম স্বপ্নটা পূরণ যদি নাও হয়, আক্ষেপ থাকবে না তামিমের, ‘আমাদের চিন্তা ছিল কমপক্ষে তিনটা ম্যাচ জিতব এবং সেটা জিতেছি। চারটা জিততে পারলে তো খুবই ভালো। আরও একটা ম্যাচ আছে। এটাও যদি ভালোভাবে খেলতে পারি, এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। পরের রাউন্ডে যেতে পারলে এটা হবে আমাদের সেরা বিশ্বকাপ।’ কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেলেও তামিম ভুগছেন সেরা খেলা খেলতে না পারার অতৃপ্তিতে, ‘দল হিসেবে টার্গেট ছিল কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। আমরা সেদিকেই যাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলিনি আমরা। এখন পর্যন্ত সবই ঠিক আছে, তবে এর চেয়ে ভালো হতে পারত।’
আশরাফুল-মাশরাফির পর এখন সাকিব-তামিমের দিকেও তাকিয়ে থাকে না বাংলাদেশের জয়। ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ-শফিউলরাও পারেন সাফল্যের মশাল জ্বালাতে। আর সবার মতো তামিমের মুখ থেকেও তাই বেরিয়ে আসে টিম স্পিরিটের কথা। ভালো কিছু করার তাগিদটা সবার মনের মধ্যেই একই রকম বুদ্বুদ তুলছে। তামিম তো বললেনই, ‘সত্যি বলতে কি, আমরা অনেক অ-নে-ক ক্ষুধার্ত ভালো কিছু করার জন্য।’
No comments