মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পদের হিসাব -নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে
অবশেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংবাদ সম্মেলন করে জানালেন, মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। আগামী রোববার এ-সংক্রান্ত চিঠি মন্ত্রীদের কাছে পাঠানো হবে। স্পিকারের সঙ্গে পরামর্শ করে সাংসদদের এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের চিঠি পাঠানোর কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
কাজটি অনেক আগেই করা উচিত ছিল। কিন্তু দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের নীতিনির্ধারকেরা সম্পদের হিসাব দেওয়ার মতো অত্যাবশ্যকীয় বিষয়টি নিয়ে কেন অযথা গড়িমসি করলেন, তা বোধগম্য নয়। একজন জনপ্রতিনিধির প্রথম দায়িত্ব তাঁর জনগণের কাছে দেওয়া অঙ্গীকার প্রতিপালন করা। মহাজোট সরকারের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল, ‘প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য ও সংসদ সদস্যরা এবং তাঁদের পরিবারের সম্পদের হিসাব ও আয়ের উৎস জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।’
সরকার এখন এই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে পারে না। সরকারের মেয়াদ ২৬ মাস পার হলেও মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পদের হিসাব দেওয়া হয়নি। বরং ২০১০ সালের ১৮ জুন অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে না বলে একটি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে তাদের যুক্তিটি ছিল খোঁড়া ও অসার। মন্ত্রিসভা বলেছিল, যেহেতু মন্ত্রীরা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে সম্পদের বিবরণ পেশ করেছিলেন, সে জন্য নতুন করে হিসাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তখনই বিভিন্ন মহল থেকে এর প্রতিবাদ উঠেছিল।
দেরিতে হলেও মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পদের হিসাব সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে বলতে চাই, হিসাব দেওয়াই যথেষ্ট নয়। কেননা, মন্ত্রী ও সাংসদদের সম্পদ কিংবা আয়-ব্যয়ের হিসাব মন্ত্রণালয়ে ফাইলবন্দী থাকলে দেশের মানুষ জানতে পারবে না। সে কারণে সেই হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। অর্থমন্ত্রী তো তাঁর সম্পদের হিসাব সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন। ওয়েবসাইটেও দিয়েছেন। মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যের দিতে আপত্তি কোথায়? একই কথা প্রযোজ্য সাংসদদের ক্ষেত্রেও। সম্পদের হিসাব দেওয়া নিছক একটি বিবরণী নয়, এর সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রশ্নটিও জড়িত।
আমরা আশা করব, অর্থমন্ত্রীর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সব মন্ত্রী ও সাংসদ তাঁদের সম্পদ ও আয়-ব্যয়ের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করবেন এবং সেটি প্রতিবছর করতে হবে। জনগণের জানার অধিকার আছে, তাঁরা ভোট দিয়ে যাঁদের দেশ চালানোর দায়িত্ব দিয়েছেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থা আগে কী ছিল এবং এখন কী?
জনপ্রতিনিধিরা সম্পদের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করলে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যরাও হিসাব দিতে আগ্রহী হবেন। আমাদের প্রত্যাশা, জনপ্রতিনিধিরা সম্পদের হিসাব দিয়ে এটাই প্রমাণ করবেন যে, তাঁদের কথায় ও কাজে মিল আছে। তাঁরা ক্ষমতায় আসার আগে জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা কেবল কথার কথা নয়, সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় সত্যি সত্যি আগ্রহী।
কাজটি অনেক আগেই করা উচিত ছিল। কিন্তু দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের নীতিনির্ধারকেরা সম্পদের হিসাব দেওয়ার মতো অত্যাবশ্যকীয় বিষয়টি নিয়ে কেন অযথা গড়িমসি করলেন, তা বোধগম্য নয়। একজন জনপ্রতিনিধির প্রথম দায়িত্ব তাঁর জনগণের কাছে দেওয়া অঙ্গীকার প্রতিপালন করা। মহাজোট সরকারের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল, ‘প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য ও সংসদ সদস্যরা এবং তাঁদের পরিবারের সম্পদের হিসাব ও আয়ের উৎস জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।’
সরকার এখন এই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে পারে না। সরকারের মেয়াদ ২৬ মাস পার হলেও মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পদের হিসাব দেওয়া হয়নি। বরং ২০১০ সালের ১৮ জুন অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে না বলে একটি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে তাদের যুক্তিটি ছিল খোঁড়া ও অসার। মন্ত্রিসভা বলেছিল, যেহেতু মন্ত্রীরা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে সম্পদের বিবরণ পেশ করেছিলেন, সে জন্য নতুন করে হিসাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তখনই বিভিন্ন মহল থেকে এর প্রতিবাদ উঠেছিল।
দেরিতে হলেও মন্ত্রী-সাংসদদের সম্পদের হিসাব সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে বলতে চাই, হিসাব দেওয়াই যথেষ্ট নয়। কেননা, মন্ত্রী ও সাংসদদের সম্পদ কিংবা আয়-ব্যয়ের হিসাব মন্ত্রণালয়ে ফাইলবন্দী থাকলে দেশের মানুষ জানতে পারবে না। সে কারণে সেই হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। অর্থমন্ত্রী তো তাঁর সম্পদের হিসাব সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন। ওয়েবসাইটেও দিয়েছেন। মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যের দিতে আপত্তি কোথায়? একই কথা প্রযোজ্য সাংসদদের ক্ষেত্রেও। সম্পদের হিসাব দেওয়া নিছক একটি বিবরণী নয়, এর সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রশ্নটিও জড়িত।
আমরা আশা করব, অর্থমন্ত্রীর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সব মন্ত্রী ও সাংসদ তাঁদের সম্পদ ও আয়-ব্যয়ের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করবেন এবং সেটি প্রতিবছর করতে হবে। জনগণের জানার অধিকার আছে, তাঁরা ভোট দিয়ে যাঁদের দেশ চালানোর দায়িত্ব দিয়েছেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থা আগে কী ছিল এবং এখন কী?
জনপ্রতিনিধিরা সম্পদের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করলে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যরাও হিসাব দিতে আগ্রহী হবেন। আমাদের প্রত্যাশা, জনপ্রতিনিধিরা সম্পদের হিসাব দিয়ে এটাই প্রমাণ করবেন যে, তাঁদের কথায় ও কাজে মিল আছে। তাঁরা ক্ষমতায় আসার আগে জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা কেবল কথার কথা নয়, সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় সত্যি সত্যি আগ্রহী।
No comments