‘চূড়ান্ত যুদ্ধের’ ঘোষণা গাদ্দাফির
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি গত বুধবার বলেছেন, তাঁর বাহিনী বৃহস্পতিবার (গতকাল) ‘চূড়ান্ত যুদ্ধে’ অবতীর্ণ হবে। ওই ঘোষণার পর গতকাল তাঁর অনুগত বাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর আজদাবিয়া ঘিরে ফেলেছে। রকেট, অস্ত্র ও গুলি বোঝাই প্রায় ৪০০ ট্রাক নিয়ে তারা ওই এলাকায় পৌঁছে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিদ্রোহীদের প্রধান ঘাঁটি বেনগাজির দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে তারা। অন্যদিকে গতকাল জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়াকে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করার জোর দাবি জানিয়েছে। তবে রাশিয়া ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি সমর্থন করেনি। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণার প্রস্তাবের ওপর ভোটগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বুধবার রাতে লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি বলেছেন, ‘মিসরাতায় আজ (বুধবার) লড়াই শুরু হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) চূড়ান্ত লড়াই হবে।’ লিবিয়ার অধিবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ রাতেই তোমাদের অস্ত্র হাতে নেওয়ার এবং আগামীকাল লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিচ্ছি।’
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার গাদ্দাফি বাহিনী আজদাবিয়া দখল করে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও প্রকৃতপক্ষে সেখানকার বড় অংশ এখনো বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে। সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করতে সেখানে বিদ্রোহীরা প্রথমবারের মতো ট্যাংক, আর্টিলারি ও একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। তারা অপর্যাপ্ত অস্ত্র নিয়েই হামলা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক মহল এখনো বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়ে সহয়তা না করায় তারা পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, আজদাবিয়া ও বেনগাজিতে যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী লড়াই বেধে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কয়েক দিন আগে পদত্যাগ করা জাতিসংঘে লিবিয়ার উপরাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম দাব্বাশি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মহল ত্বরিৎ ব্যবস্থা না নিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লিবিয়ায় গাদ্দাফি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করবে।
ইতিমধ্যেই সরকারি টেলিভিশনে বেনগাজির বেসামরিক লোকজনকে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা রেডক্রসের কার্যক্রম গতকালই সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আজদাবিয়া ও বেনগাজিতে সর্বাত্মক হামলা চালানো হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বেসামরিক লোকদের স্বার্থে গাদ্দাফির সমর্থক ও বিদ্রোহীদের প্রতি অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তবে গাদ্দাফির সমর্থকেরা বলেছে, তারা কারও সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাবে না। গাদ্দাফির ছেলে সাঈফ আল ইসলাম গত বুধবার ঘোষণা দেন, পশ্চিমা দেশগুলো যত কারসাজিই করুক, তারা বিদ্রোহীদের রক্ষা করতে পারবে না। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সবকিছুর অবসান হবে।
বিবিসি জাতিসংঘ প্রতিনিধি বারবারা প্লেট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে সব ধরনের সামরিক পদক্ষেপ অনুমোদন করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে আন্তর্জাতিক সেনারা গাদ্দাফির অনুগত ব্যক্তিদের ওপর বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল হামলাও চালাতে পারবে।
গত বুধবার রাতে লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি বলেছেন, ‘মিসরাতায় আজ (বুধবার) লড়াই শুরু হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) চূড়ান্ত লড়াই হবে।’ লিবিয়ার অধিবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ রাতেই তোমাদের অস্ত্র হাতে নেওয়ার এবং আগামীকাল লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিচ্ছি।’
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার গাদ্দাফি বাহিনী আজদাবিয়া দখল করে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও প্রকৃতপক্ষে সেখানকার বড় অংশ এখনো বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে। সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করতে সেখানে বিদ্রোহীরা প্রথমবারের মতো ট্যাংক, আর্টিলারি ও একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। তারা অপর্যাপ্ত অস্ত্র নিয়েই হামলা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক মহল এখনো বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়ে সহয়তা না করায় তারা পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, আজদাবিয়া ও বেনগাজিতে যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী লড়াই বেধে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কয়েক দিন আগে পদত্যাগ করা জাতিসংঘে লিবিয়ার উপরাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম দাব্বাশি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মহল ত্বরিৎ ব্যবস্থা না নিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লিবিয়ায় গাদ্দাফি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করবে।
ইতিমধ্যেই সরকারি টেলিভিশনে বেনগাজির বেসামরিক লোকজনকে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা রেডক্রসের কার্যক্রম গতকালই সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আজদাবিয়া ও বেনগাজিতে সর্বাত্মক হামলা চালানো হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বেসামরিক লোকদের স্বার্থে গাদ্দাফির সমর্থক ও বিদ্রোহীদের প্রতি অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তবে গাদ্দাফির সমর্থকেরা বলেছে, তারা কারও সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাবে না। গাদ্দাফির ছেলে সাঈফ আল ইসলাম গত বুধবার ঘোষণা দেন, পশ্চিমা দেশগুলো যত কারসাজিই করুক, তারা বিদ্রোহীদের রক্ষা করতে পারবে না। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সবকিছুর অবসান হবে।
বিবিসি জাতিসংঘ প্রতিনিধি বারবারা প্লেট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে সব ধরনের সামরিক পদক্ষেপ অনুমোদন করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে আন্তর্জাতিক সেনারা গাদ্দাফির অনুগত ব্যক্তিদের ওপর বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল হামলাও চালাতে পারবে।
No comments