ক্যানসারের চিকিৎসা
ক্যানসার-আক্রান্ত রোগীদের রেডিওথেরাপি দেওয়ার যন্ত্র লিনিয়ার এক্সিলারেটর (লিনিয়াক) চালাতে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ লোকের প্রয়োজন হয়। কারণ, রোগীর দেহের ক্যানসার-আক্রান্ত কোষগুলোর ওপর রশ্মি প্রয়োগের সময় যেন আশপাশের সুস্থ কোষে রশ্মি না লাগে, তা নিশ্চিত করতে বেশ সূক্ষ্ম মাপজোকের প্রয়োজন হয়। এই ক্ষেত্রে ভুল হলে রোগীর ওপর প্রকট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই সারা বিশ্বে এই যন্ত্র চালান মেডিকেল ফিজিসিস্ট বা চিকিৎসা-পদার্থবিদেরা। কিন্তু আমাদের দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা-পদার্থবিদের অভাবে লিনিয়ার এক্সিলারেটর যন্ত্রগুলোর সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। ভুলভাবে রশ্মি প্রয়োগের ফলে অনেক ক্যানসার-আক্রান্ত রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে, এমন অভিযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের একজন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ।
অবস্থা যখন এই, তখন সরকার প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় করে আরও দুটি লিনিয়াক যন্ত্র কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বলে বুধবারের প্রথম আলোয় খবর বেরিয়েছে। এর আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ৬০ কোটি ২১ লাখ টাকায় কেনা হয়েছিল পাঁচটি লিনিয়াক যন্ত্র। কিন্তু উপযুক্ত লোকের অভাবে সেগুলোরই পরিপূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। যেমন—জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটে তিনটি লিনিয়াক যন্ত্রে গড়ে প্রতিদিন ১০০ জনের বেশি রোগীকে রেডিওথেরাপি দেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ সেখানে কোনো মেডিকেল ফিজিসিস্ট নেই। যদি থাকতেন, তাহলে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জন রোগীকে রেডিওথেরাপি দেওয়া সম্ভব হতো। অর্থাৎ প্রশিক্ষিত লোকবল থাকলে এই যন্ত্রগুলোর পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহার করা যেত, তাতে যেমন আরও বেশিসংখ্যক রোগী সেবা পেত, তেমনি রশ্মি প্রয়োগে ভুল হওয়ার ঝুঁকিও অনেক কমে যেত।
কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউট—কোনো সরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানেই চিকিৎসা-পদার্থবিদ নিয়োগের কোনো বিধান নেই বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়েছে। তাঁরা বলছেন, চিকিৎসা-পদার্থবিদ নিয়োগের বিধি তৈরির কাজ চলছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদ সৃষ্টির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। বেশ ভালো কথা; তবে লোক নিয়োগের আগেই যন্ত্র কেনার কী প্রয়োজন, যখন আগের যন্ত্রগুলোরই সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না লোকবলের অভাবে? চিকিৎসা-পদার্থবিদ নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে উপযুক্ত লোক নিয়োগ ত্বরান্বিত করা হোক। পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসা-পদার্থবিদ নিয়োগের পরেই কেবল আরও যন্ত্র কেনার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
অবস্থা যখন এই, তখন সরকার প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় করে আরও দুটি লিনিয়াক যন্ত্র কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বলে বুধবারের প্রথম আলোয় খবর বেরিয়েছে। এর আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ৬০ কোটি ২১ লাখ টাকায় কেনা হয়েছিল পাঁচটি লিনিয়াক যন্ত্র। কিন্তু উপযুক্ত লোকের অভাবে সেগুলোরই পরিপূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। যেমন—জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটে তিনটি লিনিয়াক যন্ত্রে গড়ে প্রতিদিন ১০০ জনের বেশি রোগীকে রেডিওথেরাপি দেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ সেখানে কোনো মেডিকেল ফিজিসিস্ট নেই। যদি থাকতেন, তাহলে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জন রোগীকে রেডিওথেরাপি দেওয়া সম্ভব হতো। অর্থাৎ প্রশিক্ষিত লোকবল থাকলে এই যন্ত্রগুলোর পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহার করা যেত, তাতে যেমন আরও বেশিসংখ্যক রোগী সেবা পেত, তেমনি রশ্মি প্রয়োগে ভুল হওয়ার ঝুঁকিও অনেক কমে যেত।
কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউট—কোনো সরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানেই চিকিৎসা-পদার্থবিদ নিয়োগের কোনো বিধান নেই বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়েছে। তাঁরা বলছেন, চিকিৎসা-পদার্থবিদ নিয়োগের বিধি তৈরির কাজ চলছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদ সৃষ্টির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। বেশ ভালো কথা; তবে লোক নিয়োগের আগেই যন্ত্র কেনার কী প্রয়োজন, যখন আগের যন্ত্রগুলোরই সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না লোকবলের অভাবে? চিকিৎসা-পদার্থবিদ নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে উপযুক্ত লোক নিয়োগ ত্বরান্বিত করা হোক। পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসা-পদার্থবিদ নিয়োগের পরেই কেবল আরও যন্ত্র কেনার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
No comments