আগুন আর রক্ত ঝরালেন লি
একজন অধিনায়ক বা একজন খেলোয়াড় তাঁর দলের জন্য কী করতে পারেন? এমন অনেক অধিনায়ক বা খেলোয়াড় আছেন, যাঁরা বলেন, দলের জন্য রক্ত পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত। পরাজয়ের হাত থেকে দলকে বাঁচাতে পারেননি, তবে পরশু ভারতের বিপক্ষে সত্যিকার অর্থেই রক্ত দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার ব্রেট লি।
ম্যাচটা তখন অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে ছুটেই যাচ্ছিল। শেন ওয়াটসনের বলে যুবরাজের একটি বল বাউন্ডারির দিকে ছুটে চলেছে বুলেট গতিতে। হার না মানা মানসিকতায় বলের দিকে ছুটলেন লি। শেষ মুহূর্তে বাউন্ডারি বাঁচাতে ডাইভ দেন। বাউন্ডারি বাঁচাতে পারলেন না, বল গিয়ে লাগে তাঁর ভ্রুতে। কেটে যায় সঙ্গে সঙ্গেই। ঝরে পড়ে রক্ত।
কাটা ভ্রু নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান লি। মাঠে আর ফিরতে পারবেন বলে কেউ ভাবেনি। কিন্তু অনেকের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে চোখের কোণে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে আবার মাঠে ফেরেন সিংহ-হূদয় লি। ম্যাচ শেষে লির এই চোয়ালবদ্ধ দায়বদ্ধতার প্রশংসা ঝরল অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের, ‘ওর চোখে যে আগুন ছিল, আমাদের সবার যদি সে রকম থাকত; তাহলে ফলটা অন্যরকমই হতো।’
লি যে এদিনই এমন সিংহ-হূদয় হয়ে গেলেন, তা তো নয়। ২০০৫ সালে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে দলের জন্য লড়েছেন ব্যাট হাতে। এবার বল হাতে চেষ্টা করেছেন। ব্যান্ডেজ বেঁধে মাঠে এসে অধিনায়কের ডাকে হাতে নিয়েছেন বল। শেষ পর্যন্ত কিছুই করতে পারেননি। এজবাস্টন টেস্টের মতো আরেকটি পরাজয়ই মেনে নিতে হয়েছে লিকে।
পন্টিং ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে তার অবদান অনেক। সে এমন এক খেলোয়াড়, যাকে আপনি দলে নিতে চাইবেনই। সে কখনোই শেষ চেষ্টা না করে থামে না, যা আজ রাতে (পরশু) দেখলেন।’
ম্যাচ জিতেছে ভারত। ম্যাচসেরা হয়েছেন যুবরাজ সিং। লির কোনো চেষ্টাই কাজে লাগেনি। তবে পরশু সবকিছুর পরও পাদপ্রদীপের আলোটা ছিল সম্ভবত ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা খেলে ফেলা লির ওপরই।
ম্যাচটা তখন অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে ছুটেই যাচ্ছিল। শেন ওয়াটসনের বলে যুবরাজের একটি বল বাউন্ডারির দিকে ছুটে চলেছে বুলেট গতিতে। হার না মানা মানসিকতায় বলের দিকে ছুটলেন লি। শেষ মুহূর্তে বাউন্ডারি বাঁচাতে ডাইভ দেন। বাউন্ডারি বাঁচাতে পারলেন না, বল গিয়ে লাগে তাঁর ভ্রুতে। কেটে যায় সঙ্গে সঙ্গেই। ঝরে পড়ে রক্ত।
কাটা ভ্রু নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান লি। মাঠে আর ফিরতে পারবেন বলে কেউ ভাবেনি। কিন্তু অনেকের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে চোখের কোণে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে আবার মাঠে ফেরেন সিংহ-হূদয় লি। ম্যাচ শেষে লির এই চোয়ালবদ্ধ দায়বদ্ধতার প্রশংসা ঝরল অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের, ‘ওর চোখে যে আগুন ছিল, আমাদের সবার যদি সে রকম থাকত; তাহলে ফলটা অন্যরকমই হতো।’
লি যে এদিনই এমন সিংহ-হূদয় হয়ে গেলেন, তা তো নয়। ২০০৫ সালে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে দলের জন্য লড়েছেন ব্যাট হাতে। এবার বল হাতে চেষ্টা করেছেন। ব্যান্ডেজ বেঁধে মাঠে এসে অধিনায়কের ডাকে হাতে নিয়েছেন বল। শেষ পর্যন্ত কিছুই করতে পারেননি। এজবাস্টন টেস্টের মতো আরেকটি পরাজয়ই মেনে নিতে হয়েছে লিকে।
পন্টিং ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে তার অবদান অনেক। সে এমন এক খেলোয়াড়, যাকে আপনি দলে নিতে চাইবেনই। সে কখনোই শেষ চেষ্টা না করে থামে না, যা আজ রাতে (পরশু) দেখলেন।’
ম্যাচ জিতেছে ভারত। ম্যাচসেরা হয়েছেন যুবরাজ সিং। লির কোনো চেষ্টাই কাজে লাগেনি। তবে পরশু সবকিছুর পরও পাদপ্রদীপের আলোটা ছিল সম্ভবত ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা খেলে ফেলা লির ওপরই।
No comments