বিরুদ্ধ স্রোতের নাবিক
যতই দাবি উঠুক, রিকি পন্টিং টলছেন না। অবসরের কথা উড়িয়ে তো দিলেনই, জানালেন স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোরও বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। তবে বিশ্বকাপ-ব্যর্থতায় পায়ের তলার মাটি আলগা হয়ে গেছে, এ ব্যাপারটা বুঝতে বাকি নেই অস্ট্রেলিয়াকে অধিনায়ক হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ জেতানো পন্টিংয়ের। তাই ক্যারিয়ারের কঠিন এ পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে পন্টিং ‘অধিনায়কত্বের বিষয়টা’ ঠেলে দিলেন নির্বাচকদের কোর্টে। বললেন, তাঁর ভাগ্য নির্বাচকদের হাতে।
পন্টিংয়ের সামনে সুযোগ ছিল অধিনায়ক হিসেবে টানা তিনবার বিশ্বকাপ জিতে অনন্য ইতিহাস গড়ার। কিন্তু ভারতের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে পন্টিংয়ের সেই আশা ধুলোয় লুটোপুটি খেয়েছে। এক দিকে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা, আরেক দিকে ‘অধিনায়ক পন্টিং হটাও’ আন্দোলন—অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের অন্যতম সফল অধিনায়ক পন্টিং যেন অসহায়!
বিশ্বকাপ হতাশার মধ্যেই তাই পন্টিংকে নিজের পক্ষে ধরতে হচ্ছে কলম। ক্রমেই চাঙা হয়ে ওঠা ‘অধিনায়ক পন্টিং হটাও’ আন্দোলনের বিপরীত স্রোতে দাঁড়িয়ে দি অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় নিজের কলামে পন্টিং লিখেছেন, ‘আমি অবসর নেব কি না, এর উত্তর কোয়ার্টার ফাইনালের আগে এবং সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনেই দিয়েছি, অবসরের কথা আমি ভাবছি না।’
অধিনায়কত্বের প্রশ্নে বলেছেন, ‘ক্রিকেট খেলে যাওয়াটাই আমার সংকল্প। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে আমার অবদান কতটুকু তার বিচারক আমি নই। নির্বাচক কমিটি আছে, এটা তাঁদের কাজ। তাঁদের যেকোনো রায়ই আমি খুশি মনে গ্রহণ করব।’
অধিনায়ক পন্টিংয়ের সমালোচনার শুরু ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডের কাছে অ্যাশেজ হারের পর থেকে। পরে ভারতের মাটিতে ভারতের কাছে টেস্ট সিরিজ হারে সমালোচনাটা জোরালো হয়। বিশ্বকাপের আগে আগে নিজেদের মাটিতে টানা দ্বিতীয় অ্যাশেজ হারের পর তো পন্টিংকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিটা প্রবল হয়। বিশ্বকাপ-ব্যর্থতার পর দাবিটা এখন গণদাবিতে রূপ নিয়েছে! বিশ্বকাপ-ব্যর্থতার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অস্ট্রেলীয় পত্রিকার সমীক্ষা অন্তত সেটাই বলছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৬৫ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ানই চান না, অধিনায়কত্ব পন্টিংয়ের হাতে থাক।
চরম এই দুঃসময়ে পন্টিংয়ের পাশে এসেও দাঁড়িয়েছেন অনেকে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কোচ জন বুকানন তাঁদের অন্যতম। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বাজে পারফরম্যান্সের দায়টা তিনি চাপিয়ে দিচ্ছেন পন্টিংয়ের সমালোচকদের কাঁধেই। বলছেন, পন্টিংয়ের ওপর অতিমাত্রায় চাপ দেওয়া হয়েছিল। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রায় একাই লড়েছেন পন্টিং। বুকানন মনে করেন, পন্টিংয়ের অধিনায়কত্ব এখনো উদাহরণ দেওয়ার মতো, ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে দেওয়ার মতো অনেক কিছুই রিকির মধ্যে এখনো রয়েছে। সেজন্য মানসিকভাবে তৈরি থাকাটা দরকার।’
অধিনায়কত্বের বিষয়টা নির্বাচকদের কোর্টে ঠেলে দিলেও পন্টিং মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের দুর্বলতাগুলো নিশ্চিত করে এখন থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের শক্তি বাড়াতে হবে। তাহলেই সামনের বছরগুলোয় ২০১৫ বিশ্বকাপ, অ্যাশেজ এবং অন্যান্য বড় টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সুযোগ তৈরি হবে।
পন্টিংয়ের সামনে সুযোগ ছিল অধিনায়ক হিসেবে টানা তিনবার বিশ্বকাপ জিতে অনন্য ইতিহাস গড়ার। কিন্তু ভারতের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে পন্টিংয়ের সেই আশা ধুলোয় লুটোপুটি খেয়েছে। এক দিকে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা, আরেক দিকে ‘অধিনায়ক পন্টিং হটাও’ আন্দোলন—অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের অন্যতম সফল অধিনায়ক পন্টিং যেন অসহায়!
বিশ্বকাপ হতাশার মধ্যেই তাই পন্টিংকে নিজের পক্ষে ধরতে হচ্ছে কলম। ক্রমেই চাঙা হয়ে ওঠা ‘অধিনায়ক পন্টিং হটাও’ আন্দোলনের বিপরীত স্রোতে দাঁড়িয়ে দি অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় নিজের কলামে পন্টিং লিখেছেন, ‘আমি অবসর নেব কি না, এর উত্তর কোয়ার্টার ফাইনালের আগে এবং সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনেই দিয়েছি, অবসরের কথা আমি ভাবছি না।’
অধিনায়কত্বের প্রশ্নে বলেছেন, ‘ক্রিকেট খেলে যাওয়াটাই আমার সংকল্প। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে আমার অবদান কতটুকু তার বিচারক আমি নই। নির্বাচক কমিটি আছে, এটা তাঁদের কাজ। তাঁদের যেকোনো রায়ই আমি খুশি মনে গ্রহণ করব।’
অধিনায়ক পন্টিংয়ের সমালোচনার শুরু ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডের কাছে অ্যাশেজ হারের পর থেকে। পরে ভারতের মাটিতে ভারতের কাছে টেস্ট সিরিজ হারে সমালোচনাটা জোরালো হয়। বিশ্বকাপের আগে আগে নিজেদের মাটিতে টানা দ্বিতীয় অ্যাশেজ হারের পর তো পন্টিংকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিটা প্রবল হয়। বিশ্বকাপ-ব্যর্থতার পর দাবিটা এখন গণদাবিতে রূপ নিয়েছে! বিশ্বকাপ-ব্যর্থতার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অস্ট্রেলীয় পত্রিকার সমীক্ষা অন্তত সেটাই বলছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৬৫ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ানই চান না, অধিনায়কত্ব পন্টিংয়ের হাতে থাক।
চরম এই দুঃসময়ে পন্টিংয়ের পাশে এসেও দাঁড়িয়েছেন অনেকে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কোচ জন বুকানন তাঁদের অন্যতম। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বাজে পারফরম্যান্সের দায়টা তিনি চাপিয়ে দিচ্ছেন পন্টিংয়ের সমালোচকদের কাঁধেই। বলছেন, পন্টিংয়ের ওপর অতিমাত্রায় চাপ দেওয়া হয়েছিল। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রায় একাই লড়েছেন পন্টিং। বুকানন মনে করেন, পন্টিংয়ের অধিনায়কত্ব এখনো উদাহরণ দেওয়ার মতো, ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে দেওয়ার মতো অনেক কিছুই রিকির মধ্যে এখনো রয়েছে। সেজন্য মানসিকভাবে তৈরি থাকাটা দরকার।’
অধিনায়কত্বের বিষয়টা নির্বাচকদের কোর্টে ঠেলে দিলেও পন্টিং মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের দুর্বলতাগুলো নিশ্চিত করে এখন থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের শক্তি বাড়াতে হবে। তাহলেই সামনের বছরগুলোয় ২০১৫ বিশ্বকাপ, অ্যাশেজ এবং অন্যান্য বড় টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সুযোগ তৈরি হবে।
No comments