ট্রটের ব্যাটিং-দ্বন্দ্ব
আবারও জোনাথন ট্রট...দলকে জেতালেন, না ডোবালেন?
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তাঁকে নিয়ে এই দ্বন্দ্ব। চোখ ধাঁধানো সব পরিসংখ্যান। ‘মাইকেল বেভানীয়’ গড়, আদতে বেভানের (৫৩.৫৮) চেয়েও বেশি, কালকের ৮৬ রানের ইনিংসটির পর ৫৫.৬৫। ২৫ ইনিংসে ৩টি সেঞ্চুরি, ১১টি হাফ সেঞ্চুরি। সবচেয়ে কম ইনিংস (২১) খেলে হাজার রানের বিশ্ব রেকর্ড। এই বিশ্বকাপের সাত ইনিংসে ৫টি ফিফটি (বাকি দুটিতে ৪৭ ও ১৬)। শচীন টেন্ডুলকারকে (৩৭৯) টপকে এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানও এখন তাঁর (৪২২)। তবুও তাঁকে নিয়ে কতই প্রশ্ন!
কারণ সবকিছুর আগে সবার চোখ যায় তাঁর স্ট্রাইক রেটের দিকে। ৭৮.৬২, বছর দশেক আগে হলে হয়তো বলা হতো দারুণ, আর এখন ‘মন্দ নয়।’ কিন্তু ‘মন্দ নয়’ দিয়ে যে ইদানীং ঠিক চলে না! ২৫ ইনিংস খেলে এখনো ওয়ানডেতে ছক্কা নেই, এটাও বড় বেশি দৃষ্টিকটু লাগে অনেকের। এমন ধারাবাহিকতার পরও তাই যেমন বারবার প্রশ্ন ওঠে, ট্রটের ব্যাটিং ওয়ানডের চলমান গতির জন্য কতটা মানানসই।
অথচ ইংল্যান্ডের এই দলের অন্যদের সঙ্গে তুলনা করে দেখুন, এই প্রশ্ন ওঠাকে মনে হবে অযৌক্তিক। স্ট্রাউস-মরগানের স্ট্রাইক রেট ৮১, ট্রটের চেয়ে মাত্র ৩ বেশি। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান বলে যাঁকে বারবার ওপেনিংয়ে নামানো হয়েছে, সেই ম্যাট প্রিয়রের স্ট্রাইক রেট তো ট্রটের চেয়ে কমই (৭৬.১৬)। ইয়ান বেলের কথা (৭২.৭৬) না বলাই ভালো। আর গড়ের কারণে যাঁর সঙ্গে সবার তুলনা হয়, সেই বেভানের স্ট্রাইক রেটও (৭৬.১৭) কিন্তু ট্রটের চেয়ে কম।
তাহলে ট্রটকে নিয়ে এত প্রশ্ন কেন? একটা কারণ হতে পারে ট্রটের ব্যাটিংয়ে দানবীয় শক্তির প্রদর্শনী নেই, নেই সৌন্দর্যপিপাসুদের মন ভরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও। সবচেয়ে বড় কারণ হয়তো শরীরী ভাষা, আর যা-ই হোক ‘আক্রমণাত্মক’ ব্যাপারটা যেখানে নেই। পরিসংখ্যান বা বাস্তবতাকে হয়তো ছাপিয়ে যায় এই শরীরী ভাষাই, এ কারণেই হয়তো তাঁর ব্যাটিং নিয়ে এত প্রশ্ন।
এ সমালোচনার ব্যাপারটা নিয়ে কয়েক দিন আগে খুব বিস্মিত মনে হচ্ছিল ট্রটকে, ‘আমি জানি না কেন আমার ব্যাটিং নিয়ে এত সমালোচনা। তবে আমি যতক্ষণ কার্যকর ব্যাটিং করতে পারছি, যতক্ষণ আমার দল আর অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (কোচ) আমার ব্যাটিংয়ে খুশি, অন্যরা কে কী বলল তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।’ ট্রটকে নিয়ে সবচেয়ে বড় দ্বন্দ্ব এই ‘কার্যকর’ শব্দটা নিয়েই। তিনি তাঁর মতোই ব্যাটিং করে যান, সব ম্যাচে একই রকম। কিন্তু দল জিতলে তাঁর ব্যাটিং হয়ে যায় কার্যকর, হারলে সবার মনে হয় ট্রটের মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্যই আর কিছু রান হলো না!
এমন দোলাচলে থাকল কোয়ার্টার ফাইনালের ইনিংসটাও। ৬৫ বলে পেয়েছেন প্রথম বাউন্ডারি, দ্বিতীয় ও শেষটি ১১৪ নম্বর বলে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে একটিও নয়। তবু একবার ভাবুন, ট্রট না দাঁড়ালে কী চেহারা হতো ইংল্যান্ড ইনিংসের!
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তাঁকে নিয়ে এই দ্বন্দ্ব। চোখ ধাঁধানো সব পরিসংখ্যান। ‘মাইকেল বেভানীয়’ গড়, আদতে বেভানের (৫৩.৫৮) চেয়েও বেশি, কালকের ৮৬ রানের ইনিংসটির পর ৫৫.৬৫। ২৫ ইনিংসে ৩টি সেঞ্চুরি, ১১টি হাফ সেঞ্চুরি। সবচেয়ে কম ইনিংস (২১) খেলে হাজার রানের বিশ্ব রেকর্ড। এই বিশ্বকাপের সাত ইনিংসে ৫টি ফিফটি (বাকি দুটিতে ৪৭ ও ১৬)। শচীন টেন্ডুলকারকে (৩৭৯) টপকে এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানও এখন তাঁর (৪২২)। তবুও তাঁকে নিয়ে কতই প্রশ্ন!
কারণ সবকিছুর আগে সবার চোখ যায় তাঁর স্ট্রাইক রেটের দিকে। ৭৮.৬২, বছর দশেক আগে হলে হয়তো বলা হতো দারুণ, আর এখন ‘মন্দ নয়।’ কিন্তু ‘মন্দ নয়’ দিয়ে যে ইদানীং ঠিক চলে না! ২৫ ইনিংস খেলে এখনো ওয়ানডেতে ছক্কা নেই, এটাও বড় বেশি দৃষ্টিকটু লাগে অনেকের। এমন ধারাবাহিকতার পরও তাই যেমন বারবার প্রশ্ন ওঠে, ট্রটের ব্যাটিং ওয়ানডের চলমান গতির জন্য কতটা মানানসই।
অথচ ইংল্যান্ডের এই দলের অন্যদের সঙ্গে তুলনা করে দেখুন, এই প্রশ্ন ওঠাকে মনে হবে অযৌক্তিক। স্ট্রাউস-মরগানের স্ট্রাইক রেট ৮১, ট্রটের চেয়ে মাত্র ৩ বেশি। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান বলে যাঁকে বারবার ওপেনিংয়ে নামানো হয়েছে, সেই ম্যাট প্রিয়রের স্ট্রাইক রেট তো ট্রটের চেয়ে কমই (৭৬.১৬)। ইয়ান বেলের কথা (৭২.৭৬) না বলাই ভালো। আর গড়ের কারণে যাঁর সঙ্গে সবার তুলনা হয়, সেই বেভানের স্ট্রাইক রেটও (৭৬.১৭) কিন্তু ট্রটের চেয়ে কম।
তাহলে ট্রটকে নিয়ে এত প্রশ্ন কেন? একটা কারণ হতে পারে ট্রটের ব্যাটিংয়ে দানবীয় শক্তির প্রদর্শনী নেই, নেই সৌন্দর্যপিপাসুদের মন ভরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও। সবচেয়ে বড় কারণ হয়তো শরীরী ভাষা, আর যা-ই হোক ‘আক্রমণাত্মক’ ব্যাপারটা যেখানে নেই। পরিসংখ্যান বা বাস্তবতাকে হয়তো ছাপিয়ে যায় এই শরীরী ভাষাই, এ কারণেই হয়তো তাঁর ব্যাটিং নিয়ে এত প্রশ্ন।
এ সমালোচনার ব্যাপারটা নিয়ে কয়েক দিন আগে খুব বিস্মিত মনে হচ্ছিল ট্রটকে, ‘আমি জানি না কেন আমার ব্যাটিং নিয়ে এত সমালোচনা। তবে আমি যতক্ষণ কার্যকর ব্যাটিং করতে পারছি, যতক্ষণ আমার দল আর অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (কোচ) আমার ব্যাটিংয়ে খুশি, অন্যরা কে কী বলল তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।’ ট্রটকে নিয়ে সবচেয়ে বড় দ্বন্দ্ব এই ‘কার্যকর’ শব্দটা নিয়েই। তিনি তাঁর মতোই ব্যাটিং করে যান, সব ম্যাচে একই রকম। কিন্তু দল জিতলে তাঁর ব্যাটিং হয়ে যায় কার্যকর, হারলে সবার মনে হয় ট্রটের মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্যই আর কিছু রান হলো না!
এমন দোলাচলে থাকল কোয়ার্টার ফাইনালের ইনিংসটাও। ৬৫ বলে পেয়েছেন প্রথম বাউন্ডারি, দ্বিতীয় ও শেষটি ১১৪ নম্বর বলে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে একটিও নয়। তবু একবার ভাবুন, ট্রট না দাঁড়ালে কী চেহারা হতো ইংল্যান্ড ইনিংসের!
No comments