বিক্ষোভে উত্তাল সিরিয়া, গভীর রাজনৈতিক সংকটে আসাদ
সিরিয়ার বিভিন্ন জায়গায় গতকাল শনিবারও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার সেনাদের গুলিতে ২০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। দেরা শহরের কাছে তাফা নামে একটি গ্রামে হাজার হাজার শোকার্ত জনতা গতকাল ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির স্থানীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। দেশজুড়ে বিক্ষোভ-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় গভীর রাজনৈতিক সংকটে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।
যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ক্ষমতায় আসার ১১ বছরের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বিপদে আছেন। দেশজুড়ে বিক্ষোভ-সহিংসতার কারণে তাঁর সরকার এখন গভীর সংকটে। শুক্রবার দেরা শহরে সেনাদের গুলিতে ২০ জন নিহত হওয়ার পর রাজধানী দামেস্ক ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর হামাতে গতকাল বিক্ষোভ হয়েছে। ১৯৮২ সালে এই হামা শহরে বর্তমান প্রেসিডেন্টের বাবা হাফিজ আল আসাদ বিক্ষোভ দমনের অজুহাতে মুসলিম ব্রাদার হুডের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেন।
বিক্ষোভকারীরা এখন রাজনৈতিক সংস্কারের পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট বাশারের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। মিসর ও তিউনিসিয়ার সফল গণ-অভ্যুত্থান এ ক্ষেত্রে তাদের প্রেরণা জোগাচ্ছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সিরিয়া সরকারের সামনে এখন দুটি পথ খোলা রয়েছে। একটি হচ্ছে, জনগণকে শান্ত করতে অবিলম্বে দেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংস্কারের ঝুঁকি নেওয়া; অন্যটি হলো, দমন-পীড়নের পথ বেছে নেওয়া, যা দেশটিতে বড় ধরনের রক্তপাতের সূচনা করতে পারে। এদিকে সিরিয়া সরকার ২০০ জনের বেশি রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
দেরা শহরে শুক্রবারের গুলিবর্ষণের বিষয়টি প্রথমে অসমর্থিত সূত্রে বলা হলেও পরে সেখানকার চিকিৎসকেরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল দেরা শহরের প্রধান মসজিদের মাইকে শুক্রবার গুলিবর্ষণে যারা নিহত হয়েছে, তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দিনের শেষে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা অনুষ্ঠান শেষে দেরা শহরের কাছে তাফা নামে একটি গ্রামে হাজার হাজার শোকার্ত জনতা ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির স্থানীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা সেখানকার একটি থানায়ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা সরকারবিরোধী এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও একটি মানবাধিকার সংস্থা শুক্রবারের গুলিবর্ষণের ঘটনার নিন্দা করেছে। তারা বিক্ষোভকারীদের প্রতি আরও সংযমী হওয়ার জন্য সিরিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নি বলেন, সিরিয়ায় যা ঘটছে, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ওই ঘটনার পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে টেলিফোন করেন এবং বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংযত আচরণের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত দামেস্কের।
গত এক সপ্তাহে সিরিয়ায় ৫৫ জন বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ক্ষমতায় আসার ১১ বছরের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বিপদে আছেন। দেশজুড়ে বিক্ষোভ-সহিংসতার কারণে তাঁর সরকার এখন গভীর সংকটে। শুক্রবার দেরা শহরে সেনাদের গুলিতে ২০ জন নিহত হওয়ার পর রাজধানী দামেস্ক ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর হামাতে গতকাল বিক্ষোভ হয়েছে। ১৯৮২ সালে এই হামা শহরে বর্তমান প্রেসিডেন্টের বাবা হাফিজ আল আসাদ বিক্ষোভ দমনের অজুহাতে মুসলিম ব্রাদার হুডের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেন।
বিক্ষোভকারীরা এখন রাজনৈতিক সংস্কারের পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট বাশারের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। মিসর ও তিউনিসিয়ার সফল গণ-অভ্যুত্থান এ ক্ষেত্রে তাদের প্রেরণা জোগাচ্ছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সিরিয়া সরকারের সামনে এখন দুটি পথ খোলা রয়েছে। একটি হচ্ছে, জনগণকে শান্ত করতে অবিলম্বে দেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংস্কারের ঝুঁকি নেওয়া; অন্যটি হলো, দমন-পীড়নের পথ বেছে নেওয়া, যা দেশটিতে বড় ধরনের রক্তপাতের সূচনা করতে পারে। এদিকে সিরিয়া সরকার ২০০ জনের বেশি রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
দেরা শহরে শুক্রবারের গুলিবর্ষণের বিষয়টি প্রথমে অসমর্থিত সূত্রে বলা হলেও পরে সেখানকার চিকিৎসকেরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল দেরা শহরের প্রধান মসজিদের মাইকে শুক্রবার গুলিবর্ষণে যারা নিহত হয়েছে, তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দিনের শেষে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা অনুষ্ঠান শেষে দেরা শহরের কাছে তাফা নামে একটি গ্রামে হাজার হাজার শোকার্ত জনতা ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির স্থানীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা সেখানকার একটি থানায়ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা সরকারবিরোধী এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও একটি মানবাধিকার সংস্থা শুক্রবারের গুলিবর্ষণের ঘটনার নিন্দা করেছে। তারা বিক্ষোভকারীদের প্রতি আরও সংযমী হওয়ার জন্য সিরিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নি বলেন, সিরিয়ায় যা ঘটছে, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ওই ঘটনার পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে টেলিফোন করেন এবং বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংযত আচরণের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত দামেস্কের।
গত এক সপ্তাহে সিরিয়ায় ৫৫ জন বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
No comments