শেষ আটে মুখোমুখি সেই দুই দল
ম্যাট প্রিয়র বললেন, ‘আমাদের হারানোর কিছু নেই, প্রত্যাশার চাপ তো শ্রীলঙ্কার ওপর।’ ট্রেভর বেলিসের জবাব, ‘এ আর নতুন কী!’ রবি বোপারার দাবি, ঘরের মাটি, গ্যালারিভরা দর্শকের সামনে চাপে থাকবে শ্রীলঙ্কা। মাহেলা জয়াবর্ধনে শুনে হাসেন, ‘আমাদের স্কুল ক্রিকেটেও এসব থাকে, এসবের মাঝেই আমরা বেড়ে উঠেছি। দর্শক আবার চাপ নাকি!’ সব চাপাচাপিতে কাল জল ঢেলে দিলেন দুই দলের অধিনায়ক। কুমার সাঙ্গাকারা আর অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, দুজনেই স্বীকার করলেন, বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের মতো ম্যাচে সব সময়ই চাপ থাকে, খেলা যেখানেই হোক।
কোয়ার্টার ফাইনাল প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচয়টা ভালোই আছে দুই দলের। বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা তখন উঠতি শক্তি আর ইংল্যান্ড ক্ষয়িষ্ণু। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ফয়সালাবাদের সেই ম্যাচেও প্রমাণিত হয়েছিল এটা। ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম সেমিফাইনালে উঠেছিল শ্রীলঙ্কা। আর বিশ্বকাপে সেই প্রথম সেমিফাইনালের আগে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই শুরু, আর কখনো শেষ চারের চেহারা দেখেনি ওয়ানডের জনকেরা। এবার আবার যখন সুযোগ এসেছে, প্রতিপক্ষ কিনা সেই শ্রীলঙ্কা!
কন্ডিশন আর বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স মিলিয়ে আজকের ম্যাচের ফেবারিট দলটার নামও শ্রীলঙ্কা। এ কারণেই হয়তো খানিকটা নির্ভার থাকবে ইংল্যান্ড। সাঙ্গাকারা স্বীকার করুন আর না করুন, চাপটা শ্রীলঙ্কার ওপর একটু বেশি না থেকে পারেই না। ২০০২ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর বসেছিল শ্রীলঙ্কায়, ফাইনালেও খেলেছে তারা। কিন্তু ওই টুর্নামেন্টের আরেক নামই তো মিনি বিশ্বকাপ, ‘মিনি’ বিশ্বকাপের চেয়ে বড় হয় কী করে! চারবার এশিয়া কাপ, চার জাতির ওয়ানডে টুর্নামেন্ট—যা কিছু হয়ছে সেগুলোর তো পাত্তাই পাওয়ার কথা নয়। আজকের কেয়ার্টার ফাইনালটিকে তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় শ্রীলঙ্কার মাটিতে সবচেয়ে বড় ম্যাচ। প্রেমাদাসার ৩৫ হাজার দর্শক, টিভির সামনে গোটা জাতির প্রত্যাশা কী, সাঙ্গাকারাদের মনের কোণে এটা না থেকে পারেই না!
তবে শুধু শ্রীলঙ্কানরাই নয়, ম্যাচটার দিকে সাগ্রহে তাকিয়ে থাকবে নিরপেক্ষ ক্রিকেট দর্শকও। এই বিশ্বকাপের ইংল্যান্ড মানেই যে অনিঃশেষ রোমাঞ্চ! এই বিশ্বকাপের ইংল্যান্ড মানে রোলার-কোস্টারও! এই উঠছে তো এই নামছে। আজ কোনটির পালা কে জানে! এই রোলার কোস্টারে চড়ে হয়তো রোমাঞ্চ পেয়েছে নিরপেক্ষ ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু স্ট্রাউস তা পাবেন কেন? নিখাদ ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন, আর কোনো উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ খেলার কোনো শখ নেই তাঁর। জিততে চান সহজে।
তবে সহজে নয়, কষ্টেসৃষ্টে জিততে হলেও বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে ইংলিশদের। চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে যেভাবে ধুঁকেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা, মুরালিধরন-মেন্ডিসদের বিপক্ষে কাজটা সহজ হওয়ার কোনো কারণ নেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন স্পিনার নিয়ে খেলেছিল শ্রীলঙ্কা, সেই পথে হেঁটে আজ দুই ‘এম’-এর সঙ্গে রঙ্গনা হেরাথকেও নামিয়ে দিতে পারে স্বাগতিকেরা। ইংল্যান্ড চাইলেও সেই সুযোগ নেই। তিন স্পিনারের একজন, মাইকেল ইয়ার্ডি দেশে ফিরে গেছেন মানসিক অবসাদে। ইয়ার্ডির ‘দলত্যাগ’ পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। স্ট্রাউস এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন। তবে সবচেয়ে ভালো উত্তরটা দলের দিয়েছেন রবি বোপারা, ‘মাঠে নামার পর তো আমাদের মাথায় থাকবে না ইয়ার্ডি চলে গেছে। বোলিং করার সময় সেটা কারও মাথায় থাকবে না, ব্যাটিং করার সময়ও না। সবাই নিজের খেলাটাই ভাববে।’ এটা প্রভাব না ফেললেও ক্রিকেটারদের যাওয়া-আসা প্রভাব না ফেলে পারেই না। চোট-আঘাতে জর্জরিত দলটির বিশ্বকাপ দলে পাঁচজন বদল হলো এই নিয়ে। দল হিসেবে গুছিয়ে ওঠার সুযোগটা পাচ্ছে কোথায়!
তবে নকআউট পর্বের একটা সুবিধা হলো, আগের হিসাব-নিকাশ বা প্রেক্ষাপট খুব একটা কাজে আসে না। দুই দলই জানে ‘ডু অর ডাই’, কাজেই ঝাঁপিয়ে পড়ো, যা আছে তাই নিয়ে। লড়াই করো বেঁচে থাকার। লড়াই শেষে হয়তো নিস্তব্ধ হবে প্রেমাদাসার গ্যালারি কিংবা দেশের বিমানে উঠবেন ইংলিশরা। তবে লড়াইটা যদি জমে ওঠে, তাহলেই লাভ নিখাদ ক্রিকেটপ্রেমীদের!
কোয়ার্টার ফাইনাল প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচয়টা ভালোই আছে দুই দলের। বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা তখন উঠতি শক্তি আর ইংল্যান্ড ক্ষয়িষ্ণু। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ফয়সালাবাদের সেই ম্যাচেও প্রমাণিত হয়েছিল এটা। ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম সেমিফাইনালে উঠেছিল শ্রীলঙ্কা। আর বিশ্বকাপে সেই প্রথম সেমিফাইনালের আগে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই শুরু, আর কখনো শেষ চারের চেহারা দেখেনি ওয়ানডের জনকেরা। এবার আবার যখন সুযোগ এসেছে, প্রতিপক্ষ কিনা সেই শ্রীলঙ্কা!
কন্ডিশন আর বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স মিলিয়ে আজকের ম্যাচের ফেবারিট দলটার নামও শ্রীলঙ্কা। এ কারণেই হয়তো খানিকটা নির্ভার থাকবে ইংল্যান্ড। সাঙ্গাকারা স্বীকার করুন আর না করুন, চাপটা শ্রীলঙ্কার ওপর একটু বেশি না থেকে পারেই না। ২০০২ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর বসেছিল শ্রীলঙ্কায়, ফাইনালেও খেলেছে তারা। কিন্তু ওই টুর্নামেন্টের আরেক নামই তো মিনি বিশ্বকাপ, ‘মিনি’ বিশ্বকাপের চেয়ে বড় হয় কী করে! চারবার এশিয়া কাপ, চার জাতির ওয়ানডে টুর্নামেন্ট—যা কিছু হয়ছে সেগুলোর তো পাত্তাই পাওয়ার কথা নয়। আজকের কেয়ার্টার ফাইনালটিকে তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় শ্রীলঙ্কার মাটিতে সবচেয়ে বড় ম্যাচ। প্রেমাদাসার ৩৫ হাজার দর্শক, টিভির সামনে গোটা জাতির প্রত্যাশা কী, সাঙ্গাকারাদের মনের কোণে এটা না থেকে পারেই না!
তবে শুধু শ্রীলঙ্কানরাই নয়, ম্যাচটার দিকে সাগ্রহে তাকিয়ে থাকবে নিরপেক্ষ ক্রিকেট দর্শকও। এই বিশ্বকাপের ইংল্যান্ড মানেই যে অনিঃশেষ রোমাঞ্চ! এই বিশ্বকাপের ইংল্যান্ড মানে রোলার-কোস্টারও! এই উঠছে তো এই নামছে। আজ কোনটির পালা কে জানে! এই রোলার কোস্টারে চড়ে হয়তো রোমাঞ্চ পেয়েছে নিরপেক্ষ ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু স্ট্রাউস তা পাবেন কেন? নিখাদ ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন, আর কোনো উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ খেলার কোনো শখ নেই তাঁর। জিততে চান সহজে।
তবে সহজে নয়, কষ্টেসৃষ্টে জিততে হলেও বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে ইংলিশদের। চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে যেভাবে ধুঁকেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা, মুরালিধরন-মেন্ডিসদের বিপক্ষে কাজটা সহজ হওয়ার কোনো কারণ নেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন স্পিনার নিয়ে খেলেছিল শ্রীলঙ্কা, সেই পথে হেঁটে আজ দুই ‘এম’-এর সঙ্গে রঙ্গনা হেরাথকেও নামিয়ে দিতে পারে স্বাগতিকেরা। ইংল্যান্ড চাইলেও সেই সুযোগ নেই। তিন স্পিনারের একজন, মাইকেল ইয়ার্ডি দেশে ফিরে গেছেন মানসিক অবসাদে। ইয়ার্ডির ‘দলত্যাগ’ পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। স্ট্রাউস এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন। তবে সবচেয়ে ভালো উত্তরটা দলের দিয়েছেন রবি বোপারা, ‘মাঠে নামার পর তো আমাদের মাথায় থাকবে না ইয়ার্ডি চলে গেছে। বোলিং করার সময় সেটা কারও মাথায় থাকবে না, ব্যাটিং করার সময়ও না। সবাই নিজের খেলাটাই ভাববে।’ এটা প্রভাব না ফেললেও ক্রিকেটারদের যাওয়া-আসা প্রভাব না ফেলে পারেই না। চোট-আঘাতে জর্জরিত দলটির বিশ্বকাপ দলে পাঁচজন বদল হলো এই নিয়ে। দল হিসেবে গুছিয়ে ওঠার সুযোগটা পাচ্ছে কোথায়!
তবে নকআউট পর্বের একটা সুবিধা হলো, আগের হিসাব-নিকাশ বা প্রেক্ষাপট খুব একটা কাজে আসে না। দুই দলই জানে ‘ডু অর ডাই’, কাজেই ঝাঁপিয়ে পড়ো, যা আছে তাই নিয়ে। লড়াই করো বেঁচে থাকার। লড়াই শেষে হয়তো নিস্তব্ধ হবে প্রেমাদাসার গ্যালারি কিংবা দেশের বিমানে উঠবেন ইংলিশরা। তবে লড়াইটা যদি জমে ওঠে, তাহলেই লাভ নিখাদ ক্রিকেটপ্রেমীদের!
No comments