স্মিথের জন্য সমবেদনা
খারাপ লাগছে। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে। কাল যে ফলটি হলো, সেটি ওদের আসলেই প্রাপ্য নয়। জানি, একটা দল হেরে যাওয়ার পর তাদের নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য অনেকটা মায়াকান্নার মতো লাগে। কিন্তু এ-ও জানি, সবাই একমত হবেন, এবার বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দলটিকে আমরা একটু আগেই হারিয়ে ফেললাম।
ক্রিকেটে এমন কিছু কিছু দিন আসে, যেখানে কোনো ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা অর্থহীন হয়ে পড়ে। কাল ছিল সে রকমই একটা দিন। দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক ফর্ম, দুই দলের খেলোয়াড়দের শক্তির ব্যবধান যদি তুলনা করেন; নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ওরা অনেক এগিয়ে ছিল অবশ্যই। ২২২ রানও অনতিক্রমযোগ্য কোনো লক্ষ্য নয়। একপর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল লক্ষ্যের দিকে।
আসলে ক্রিকেটে শেষ বলে কিছু নেই, সেটি আবার প্রমাণিত হলো। একটি মুহূর্তও ম্যাচের ভাগ্য পাল্টে দিতে পারে। আমার দৃষ্টিতে এ ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল জ্যাক ক্যালিসের আউটটি। ঝুঁকি না নিয়ে খেলছিল ক্যালিস। ওর বিশাল অভিজ্ঞতা বলছিল, মাথা ঠান্ডা রাখাটাই আসলে গড়ে দেবে ব্যবধান। ও যে শটটা খেলেছে, তাতে আউটও হওয়ার কথা নয়। হওয়া উচিত ছিল ছক্কা। কিন্তু তাল গাছের উচ্চতার জ্যাকব ওরাম দুর্দান্ত ক্যাচ নিল ডিপ মিড উইকেটে।
ক্যালিসকে বিদায় করে দেওয়া ওরামের ক্যাচটাই ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচের মোড়। ওরাম বোলিংও করেছে দুর্দান্ত। নিঃসন্দেহে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সে-ই। অবশ্য দ্রুত দুটো উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জেসি রাইডার এদিন তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ যে ইনিংসটা খেলল, সেটির মূল্যও এখন বেড়ে যাচ্ছে অনেক।
সব মিলে আমার মনে হয়, উইকেটেরও কিছুটা অবদান ছিল। নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত ফিল্ডিং, যেটিকে আমি আসলে ওদের বোলিংয়ের চেয়েও বেশি নম্বর দেব; সেটাও ম্যাচের ফল নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছে। তবে তার পরও আমি বলব, এদিন উইকেটটা আরও স্পোর্টিং হওয়া উচিত ছিল। এ ধরনের স্লো উইকেট আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু নিরপেক্ষ ম্যাচগুলোতে স্পোর্টিং উইকেটই বানানো উচিত।
আসলে এবার পুরো বিশ্বকাপে মিরপুরের উইকেট যেভাবে আচরণ করল, তাতে উইকেট নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। এ ধরনের উইকেটে পরে ব্যাটিং করা আসলেই মুশকিল। ম্যাচের একটা পর্যায়ে বল অনেক পরে ব্যাটে আসে। দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার-মিডল অর্ডারের এ ধরনের উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা সামান্যই।
গ্রায়েম স্মিথের জন্য খারাপ লাগছে। ওর অধিনায়ক জীবনের সমাপ্তি হয়ে গেল। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। এবং এখানেই মনে হয় ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব।
ক্রিকেটে এমন কিছু কিছু দিন আসে, যেখানে কোনো ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা অর্থহীন হয়ে পড়ে। কাল ছিল সে রকমই একটা দিন। দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক ফর্ম, দুই দলের খেলোয়াড়দের শক্তির ব্যবধান যদি তুলনা করেন; নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ওরা অনেক এগিয়ে ছিল অবশ্যই। ২২২ রানও অনতিক্রমযোগ্য কোনো লক্ষ্য নয়। একপর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল লক্ষ্যের দিকে।
আসলে ক্রিকেটে শেষ বলে কিছু নেই, সেটি আবার প্রমাণিত হলো। একটি মুহূর্তও ম্যাচের ভাগ্য পাল্টে দিতে পারে। আমার দৃষ্টিতে এ ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল জ্যাক ক্যালিসের আউটটি। ঝুঁকি না নিয়ে খেলছিল ক্যালিস। ওর বিশাল অভিজ্ঞতা বলছিল, মাথা ঠান্ডা রাখাটাই আসলে গড়ে দেবে ব্যবধান। ও যে শটটা খেলেছে, তাতে আউটও হওয়ার কথা নয়। হওয়া উচিত ছিল ছক্কা। কিন্তু তাল গাছের উচ্চতার জ্যাকব ওরাম দুর্দান্ত ক্যাচ নিল ডিপ মিড উইকেটে।
ক্যালিসকে বিদায় করে দেওয়া ওরামের ক্যাচটাই ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচের মোড়। ওরাম বোলিংও করেছে দুর্দান্ত। নিঃসন্দেহে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সে-ই। অবশ্য দ্রুত দুটো উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জেসি রাইডার এদিন তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ যে ইনিংসটা খেলল, সেটির মূল্যও এখন বেড়ে যাচ্ছে অনেক।
সব মিলে আমার মনে হয়, উইকেটেরও কিছুটা অবদান ছিল। নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত ফিল্ডিং, যেটিকে আমি আসলে ওদের বোলিংয়ের চেয়েও বেশি নম্বর দেব; সেটাও ম্যাচের ফল নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছে। তবে তার পরও আমি বলব, এদিন উইকেটটা আরও স্পোর্টিং হওয়া উচিত ছিল। এ ধরনের স্লো উইকেট আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু নিরপেক্ষ ম্যাচগুলোতে স্পোর্টিং উইকেটই বানানো উচিত।
আসলে এবার পুরো বিশ্বকাপে মিরপুরের উইকেট যেভাবে আচরণ করল, তাতে উইকেট নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। এ ধরনের উইকেটে পরে ব্যাটিং করা আসলেই মুশকিল। ম্যাচের একটা পর্যায়ে বল অনেক পরে ব্যাটে আসে। দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার-মিডল অর্ডারের এ ধরনের উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা সামান্যই।
গ্রায়েম স্মিথের জন্য খারাপ লাগছে। ওর অধিনায়ক জীবনের সমাপ্তি হয়ে গেল। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। এবং এখানেই মনে হয় ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব।
No comments