যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হয়ে শক্তি বাড়িয়েছে পাকিস্তান
ভারতের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের ১২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত নতুন এক বইয়ে বলা হয়েছে, পাকিস্তান হচ্ছে ভারতের চিরশত্রু, যারা কি না আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হয়ে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে।
গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস অ্যান্ড দ্য মেকিং অব দ্য ইন্ডিয়ান নেশন শীর্ষক বইটিতে বেইজিং সম্পর্কে কংগ্রেসের মন্তব্য হচ্ছে, ভারতের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক বিষয়ে তাদের আপসকামী মনোভাব নেই।
ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি বইটির প্রধান সম্পাদক। সম্পাদনা বোর্ডের আহ্বায়ক হলেন বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা। ভারতের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ আদিত্য মুখার্জি, মৃদুলা মুখার্জি, সুচেতা মহাজন, রিজওয়ান কায়সার ও ভাশ্যাম কস্তুরি।
বইটিতে সোনিয়া গান্ধীর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ নিতে প্রত্যাখ্যান করায় তাঁর এই গুণগান করা হয়। এই ত্যাগের জন্য তাঁকে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘তাঁর এই ত্যাগ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ ও দলের মধ্যে তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সোনিয়া গান্ধীর এই ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করার ঘটনা জনগণকে মহাত্মা গান্ধীর কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে।’
বইটির বর্ণনায় রয়েছে, ‘সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সরকারি পদ না নেওয়া এই বিষয়টিকে তুলে ধরেছে, নেতারা এখন দলকে নতুনভাবে গড়ার দিকে ঝুঁকেছেন। নিজেদের তাঁরা এখন জনগণের শাসক নয়, সেবক হিসেবে দেখছেন।’
সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) সরকারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রশংসা করা হয়েছে বইয়ে। এ ব্যাপারে চীনের সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়েছে, এটি সুস্পষ্ট যে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আদর্শ চালিত হয় বিদেশি পুঁজিতে, আর ভারতের এই আদর্শ মূলত দেশীয় পুঁজির ওপর নির্ভরশীল। অর্থনৈতিক সংস্কার জোরদার করছে ভারত। আত্মনির্ভরশীলতা, সার্বভৌমত্ব, সমতা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও নেহরু যুগের মূল্যবোধের ব্যাপারে কোনো আপস না করে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে তারা।
বইটির ‘রাজীব ইয়ার্স’ শীর্ষক অধ্যায়ে ১৯৮৮ সালে এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সম্পর্কে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘এই সফরের লক্ষ্য ছিল বাণিজ্যের উন্নয়ন ও যোগাযোগ বাড়ানো। একই সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা।’ চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক করতে ভারত ১৯৮৯ সালে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণহত্যার ঘটনায় নিন্দা জানায়নি।
গত ২০ ডিসেম্বর কংগ্রেসের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যে পররাষ্ট্রনীতি অনুমোদিত হয়, তাতে বলা হয়েছে, চীনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা কৌশলগত সহযোগিতার মনোভাব হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৬০ বছর পূর্তি উদ্যাপনের সময় দলীয় ও সরকারি পর্যায়ে এই সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টিকে স্বাগত জানায় সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি)।
গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস অ্যান্ড দ্য মেকিং অব দ্য ইন্ডিয়ান নেশন শীর্ষক বইটিতে বেইজিং সম্পর্কে কংগ্রেসের মন্তব্য হচ্ছে, ভারতের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক বিষয়ে তাদের আপসকামী মনোভাব নেই।
ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি বইটির প্রধান সম্পাদক। সম্পাদনা বোর্ডের আহ্বায়ক হলেন বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা। ভারতের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ আদিত্য মুখার্জি, মৃদুলা মুখার্জি, সুচেতা মহাজন, রিজওয়ান কায়সার ও ভাশ্যাম কস্তুরি।
বইটিতে সোনিয়া গান্ধীর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ নিতে প্রত্যাখ্যান করায় তাঁর এই গুণগান করা হয়। এই ত্যাগের জন্য তাঁকে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘তাঁর এই ত্যাগ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ ও দলের মধ্যে তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সোনিয়া গান্ধীর এই ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করার ঘটনা জনগণকে মহাত্মা গান্ধীর কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে।’
বইটির বর্ণনায় রয়েছে, ‘সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সরকারি পদ না নেওয়া এই বিষয়টিকে তুলে ধরেছে, নেতারা এখন দলকে নতুনভাবে গড়ার দিকে ঝুঁকেছেন। নিজেদের তাঁরা এখন জনগণের শাসক নয়, সেবক হিসেবে দেখছেন।’
সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) সরকারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রশংসা করা হয়েছে বইয়ে। এ ব্যাপারে চীনের সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়েছে, এটি সুস্পষ্ট যে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আদর্শ চালিত হয় বিদেশি পুঁজিতে, আর ভারতের এই আদর্শ মূলত দেশীয় পুঁজির ওপর নির্ভরশীল। অর্থনৈতিক সংস্কার জোরদার করছে ভারত। আত্মনির্ভরশীলতা, সার্বভৌমত্ব, সমতা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও নেহরু যুগের মূল্যবোধের ব্যাপারে কোনো আপস না করে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে তারা।
বইটির ‘রাজীব ইয়ার্স’ শীর্ষক অধ্যায়ে ১৯৮৮ সালে এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সম্পর্কে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘এই সফরের লক্ষ্য ছিল বাণিজ্যের উন্নয়ন ও যোগাযোগ বাড়ানো। একই সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা।’ চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক করতে ভারত ১৯৮৯ সালে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণহত্যার ঘটনায় নিন্দা জানায়নি।
গত ২০ ডিসেম্বর কংগ্রেসের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যে পররাষ্ট্রনীতি অনুমোদিত হয়, তাতে বলা হয়েছে, চীনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা কৌশলগত সহযোগিতার মনোভাব হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৬০ বছর পূর্তি উদ্যাপনের সময় দলীয় ও সরকারি পর্যায়ে এই সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টিকে স্বাগত জানায় সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি)।
No comments