মিউচুয়াল ফান্ডে ঋণ দেওয়ার শর্ত শিথিল
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটে বিনিয়োগের জন্য ঋণসুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের আইনি জটিলতা দূর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। ফলে এখন থেকে মিউচুয়াল ফান্ডের বিপরীতে ঋণ দিতে সংশ্লিষ্ট ফান্ডের প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হিসাব করার প্রয়োজন পড়বে না।
তার মানে, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো চাইলে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য সাধারণ নিয়ম মেনেই তাদের গ্রাহকদের ঋণ দিতে পারবে। তবে ঋণ প্রদানের হার বিনিয়োগকারীর নিজস্ব মূলধনের দেড় গুণের (১:১.৫) বেশি হতে পারবে না।
এসইসির মুলতবি সভায় গতকাল বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ২ জানুয়ারি রোববার থেকে এ সুবিধা কার্যকর হবে।
এ ছাড়া সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে দরপ্রস্তাবের (বিডিং) মাধ্যমে শেয়ারের মূল্য নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনাধীন প্রতিটি মিউচুয়াল ফান্ডের নামে আলাদা আলাদাভাবে দরপ্রস্তাব করা যাবে। এর আগে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলো এ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারত না।
এর বাইরে ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের মিউচুয়াল ফান্ডের প্লেসমেন্ট বরাদ্দের সর্বোচ্চ সীমা ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। এর আগে ব্যক্তিশ্রেণীর একজন বিনিয়োগকারীকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকার প্লেসমেন্ট বরাদ্দ দেওয়ার বিধান ছিল।
তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্লেসমেন্ট বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকম সর্বোচ্চ সীমা থাকছে না। অর্থাৎ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের যেকোনো পরিমাণ ইউনিট বরাদ্দ দিতে পারবে। এতদিন এর সীমা ছিল এক কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে এসইসির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান বাজার পরিস্থিতি, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ এবং মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পের বিকাশের স্বার্থে এসইসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া বলেন, এর আগে মিউচুয়াল ফান্ডের ঋণসুবিধার ওপর যখন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তখন বাজারে একটা ভিন্ন পরিস্থিতি ছিল। বিনিয়োগকারীদের একটা অংশ সেই সময় অনেকটা হুজুগে অতি মূল্যে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে। এ সুযোগে মিউচুয়াল ফান্ডের প্লেসমেন্ট বাণিজ্য শুরু করে একটি গোষ্ঠী যা সামগ্রিকভাবে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
এসব কারণে এসইসি প্লেসমেন্ট বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগ-ঝুঁকি কমাতে মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে বলে এসইসির নির্বাহী পরিচালক জানান। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মিউচুয়াল ফান্ড স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় এসইসি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
মিউচুয়াল ফান্ডের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির (এএএমসি) একটি প্রতিনিধিদল এসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
ওই বৈঠকে ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে এনএভি সূত্র শর্ত তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের অনীহা দূর করতে এসইসির হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
এর আগে মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারমূল্য সংশ্লিষ্ট ফান্ডের এনএভির দেড় গুণের মধ্যে থাকলেই কেবল ঋণ পাওয়া যেত। অর্থাৎ, ফান্ডের এনএভি যদি ১০ টাকা হয়, তাহলে বাজারমূল্য ১৫ টাকা পর্যন্ত হলে তা ঋণযোগ্য বলে বিবেচিত হতো।
এ হিসেবে অনেক ফান্ড ঋণসুবিধার আওতায় থাকলেও অনেক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস ঋণ প্রদানে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। জটিল হিসাবের কারণে তারা এ বিষয়টি নানাভাবে এড়িয়ে গেছে। তবে নতুন নিয়মে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে আগ্রহী হবে বলে বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন।
কয়েকটি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর এসইসি প্রথমবারের মতো ঋণসীমা বেঁধে দেয়। ওই সময়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের বাজারমূল্য এনএভির ১০৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে থাকলেই কেবল ঋণসুবিধা পেত।
তার মানে, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো চাইলে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য সাধারণ নিয়ম মেনেই তাদের গ্রাহকদের ঋণ দিতে পারবে। তবে ঋণ প্রদানের হার বিনিয়োগকারীর নিজস্ব মূলধনের দেড় গুণের (১:১.৫) বেশি হতে পারবে না।
এসইসির মুলতবি সভায় গতকাল বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ২ জানুয়ারি রোববার থেকে এ সুবিধা কার্যকর হবে।
এ ছাড়া সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে দরপ্রস্তাবের (বিডিং) মাধ্যমে শেয়ারের মূল্য নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনাধীন প্রতিটি মিউচুয়াল ফান্ডের নামে আলাদা আলাদাভাবে দরপ্রস্তাব করা যাবে। এর আগে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলো এ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারত না।
এর বাইরে ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের মিউচুয়াল ফান্ডের প্লেসমেন্ট বরাদ্দের সর্বোচ্চ সীমা ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। এর আগে ব্যক্তিশ্রেণীর একজন বিনিয়োগকারীকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকার প্লেসমেন্ট বরাদ্দ দেওয়ার বিধান ছিল।
তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্লেসমেন্ট বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকম সর্বোচ্চ সীমা থাকছে না। অর্থাৎ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের যেকোনো পরিমাণ ইউনিট বরাদ্দ দিতে পারবে। এতদিন এর সীমা ছিল এক কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে এসইসির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান বাজার পরিস্থিতি, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ এবং মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পের বিকাশের স্বার্থে এসইসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া বলেন, এর আগে মিউচুয়াল ফান্ডের ঋণসুবিধার ওপর যখন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তখন বাজারে একটা ভিন্ন পরিস্থিতি ছিল। বিনিয়োগকারীদের একটা অংশ সেই সময় অনেকটা হুজুগে অতি মূল্যে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে। এ সুযোগে মিউচুয়াল ফান্ডের প্লেসমেন্ট বাণিজ্য শুরু করে একটি গোষ্ঠী যা সামগ্রিকভাবে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
এসব কারণে এসইসি প্লেসমেন্ট বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগ-ঝুঁকি কমাতে মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে বলে এসইসির নির্বাহী পরিচালক জানান। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মিউচুয়াল ফান্ড স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় এসইসি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
মিউচুয়াল ফান্ডের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির (এএএমসি) একটি প্রতিনিধিদল এসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
ওই বৈঠকে ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে এনএভি সূত্র শর্ত তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের অনীহা দূর করতে এসইসির হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
এর আগে মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারমূল্য সংশ্লিষ্ট ফান্ডের এনএভির দেড় গুণের মধ্যে থাকলেই কেবল ঋণ পাওয়া যেত। অর্থাৎ, ফান্ডের এনএভি যদি ১০ টাকা হয়, তাহলে বাজারমূল্য ১৫ টাকা পর্যন্ত হলে তা ঋণযোগ্য বলে বিবেচিত হতো।
এ হিসেবে অনেক ফান্ড ঋণসুবিধার আওতায় থাকলেও অনেক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস ঋণ প্রদানে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। জটিল হিসাবের কারণে তারা এ বিষয়টি নানাভাবে এড়িয়ে গেছে। তবে নতুন নিয়মে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে আগ্রহী হবে বলে বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন।
কয়েকটি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর এসইসি প্রথমবারের মতো ঋণসীমা বেঁধে দেয়। ওই সময়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের বাজারমূল্য এনএভির ১০৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে থাকলেই কেবল ঋণসুবিধা পেত।
No comments