আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গড়ে তোলার অঙ্গীকার
আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গড়ে তোলার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছেন ২১ সদস্যের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতা (অ্যাপেক) ফোরামের নেতারা। জাপানের ইয়োকোহামায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী অ্যাপেক সম্মেলনের শেষ দিনে গতকাল রোববার বিশ্বনেতারা এ অঙ্গীকার করেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আশার সঞ্চার হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও বলেছেন, তাঁর দেশ ভালো প্রতিবেশী হিসেবে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রতিবেশী দেশ জাপানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দুই দেশেরই উচিত শান্তি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার পথ অনুসরণ করা। এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আচরণ নিয়ে অভিযোগ ও উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে হু জিনতাও এ কথা বললেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব অর্থনীতি একীভূত করার লক্ষ্যে ‘ইয়োকোহামা ভিশন’ নামে একটি রূপকল্প ঘোষণা করেছেন। সমন্বিত নীতির মাধ্যমে অ্যাপেকভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সঞ্জীবনী শক্তি পুনরুদ্ধার করাই এই রূপকল্পের প্রধান লক্ষ্য।
এদিকে চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আটটি দেশ ২০১২ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে রাজি হয়েছে। এ-সংক্রান্ত ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য নয়টি দেশের নেতারা এবারই প্রথম কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হলেন।
টিপিপিতে এরই মধ্যে ব্রুনাই, চিলি, সিঙ্গাপুর ও নিউজিল্যান্ড স্বাক্ষর করেছে। আর চুক্তিতে আগ্রহী অন্য দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, পেরু ও ভিয়েতনাম। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া ও কানাডাও চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি ও মুদ্রাবৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে এবারও কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে রপ্তানি বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করে বলেছে, ওয়াশিংটন এ অঞ্চলে রপ্তানি বাড়াতে চায়, তবে চীনের সস্তা মুদ্রা ব্যবস্থাই হলো এ ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা। যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চীন বলেছে, নিজস্ব স্বার্থ ছাড়া মুদ্রাব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনবে না বেইজিং।
এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত বাণিজ্য এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্বনেতারা গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করলেও কবে নাগাদ এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সে সম্পর্কে তাঁরা কিছু বলেননি।
চিলির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘টিপিপি বাস্তবায়নের ব্যাপারে জোরালো দাবি উঠেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে আজকের (রোববার) এক বৈঠকে পরবর্তী অ্যাপেক সম্মেলনের আগেই এ চুক্তি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী বছরের নভেম্বরে হনুলুলুতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’
চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও বলেছেন, তাঁর দেশ ভালো প্রতিবেশী হিসেবে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রতিবেশী দেশ জাপানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দুই দেশেরই উচিত শান্তি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার পথ অনুসরণ করা। এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আচরণ নিয়ে অভিযোগ ও উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে হু জিনতাও এ কথা বললেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব অর্থনীতি একীভূত করার লক্ষ্যে ‘ইয়োকোহামা ভিশন’ নামে একটি রূপকল্প ঘোষণা করেছেন। সমন্বিত নীতির মাধ্যমে অ্যাপেকভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সঞ্জীবনী শক্তি পুনরুদ্ধার করাই এই রূপকল্পের প্রধান লক্ষ্য।
এদিকে চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আটটি দেশ ২০১২ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে রাজি হয়েছে। এ-সংক্রান্ত ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য নয়টি দেশের নেতারা এবারই প্রথম কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হলেন।
টিপিপিতে এরই মধ্যে ব্রুনাই, চিলি, সিঙ্গাপুর ও নিউজিল্যান্ড স্বাক্ষর করেছে। আর চুক্তিতে আগ্রহী অন্য দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, পেরু ও ভিয়েতনাম। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া ও কানাডাও চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি ও মুদ্রাবৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে এবারও কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে রপ্তানি বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করে বলেছে, ওয়াশিংটন এ অঞ্চলে রপ্তানি বাড়াতে চায়, তবে চীনের সস্তা মুদ্রা ব্যবস্থাই হলো এ ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা। যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চীন বলেছে, নিজস্ব স্বার্থ ছাড়া মুদ্রাব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনবে না বেইজিং।
এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত বাণিজ্য এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্বনেতারা গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করলেও কবে নাগাদ এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সে সম্পর্কে তাঁরা কিছু বলেননি।
চিলির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘টিপিপি বাস্তবায়নের ব্যাপারে জোরালো দাবি উঠেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে আজকের (রোববার) এক বৈঠকে পরবর্তী অ্যাপেক সম্মেলনের আগেই এ চুক্তি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী বছরের নভেম্বরে হনুলুলুতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’
No comments