গোল-খরা ঘোচাল বার্সা
জালে বল ঢুকিয়ে দিয়েই কান পাতলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গ্যালারির গর্জন ‘রোনালদো রোনালদো’ চিৎকারে ভরিয়ে দিল মন। একবার তর্জনী উঁচিয়ে কী যেন বিড়বিড় করলেন। অদৃশ্য কাউকেই কি বার্তা পাঠালেন, ‘কী, কেমন দিলাম!’
এই ছবিটার ঘণ্টা দুয়েক পর ন্যু ক্যাম্পেও একজন মেতেছেন একই রকম উদ্যাপনে। প্রকাশভঙ্গিতে অবশ্য রোনালদো-সুলভ ঔদ্ধত্য তাঁর ছিল না। কিন্তু সেই বিনম্র উল্লাসের মধ্যেও যেন লুকিয়ে থাকল তর্জনী উঁচিয়ে নীল আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি। লিওনেল মেসিও যেন বলতে চাইলেন, ‘কী, কেমন দিলাম!’
সত্যের সঙ্গে কল্পনা মিশিয়ে দিলে ওপরের ছবিটা জমে ভালো। প্রকাশ্যে তাঁদের মধ্যে কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু দুজনের মধ্যে এক অনিবার্য লড়াই চলে আসছে রোনালদো সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকার সময় থেকেই।
ঠিকানা পাল্টে রোনালদো কাছাকাছি শত্রুশিবিরে নাম লিখিয়েছেন। গতবার ইনজুরিতে না পড়লে হয়তো গোলসংখ্যায় মেসির সঙ্গে পাল্লাও দিতেন। সেটা হয়ে ওঠেনি। এবার কিন্তু রোনালদো ভালোই জমিয়ে তুলেছেন। মেসিও ছেড়ে কথা কইছেন না। ফলাফল, স্প্যানিশ ফুটবলে দলীয় লড়াইয়ের বাইরে জমে উঠেছে দুর্দান্ত এক ব্যক্তিগত খণ্ডযুদ্ধ।
আর তাই পরশু হারকিউলিসের বিপক্ষে জোড়া গোল করে রোনালদো যখন রিয়ালকে জিতিয়ে নায়কের আসনে, পরের ম্যাচেই ওই জোড়া গোলই করে মেসিও জিতলেন সেভিয়ার বিপক্ষে। এই মৌসুমে ১৩ ম্যাচে ১২ গোল করেছেন রোনালদো, ১২ ম্যাচে ১৪ গোল মেসির। দুই মৌসুম মিলে স্প্যানিশ লিগে ৩৮ ম্যাচে ৩৭ গোল রোনালদোর।
পরশু রোনালদোর দলকে জেতানোর তাগিদ ছিল। মেসির সেটা ছিল না। বার্সাকে হারিয়ে চমকে দেওয়া হারকিউলিস পরশু আরেকটি দৈত্য-বধের স্বপ্ন দেখছিল। ৩ মিনিটেই ডেভিড ত্রেজেগের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল হারকিউলিস। ১০ বছর জুভেন্টাসে কাটিয়ে এসে এবার হারকিউলিসে নাম লিখেয়েছেন ত্রেজেগে। ফরাসি স্ট্রাইকার লিগে সর্বশেষ চার ম্যাচে করলেন চার গোল। পরশু তাঁর সেই গোল শোধ করতে রিয়ালকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫২ মিনিট পর্যন্ত। গোলরক্ষকের হাত ফসকে বেরিয়ে আসা বলে জোরাল শট নিয়ে সমতা ফিরিয়েছেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া।
কিন্তু কোনোভাবেই লিড পাচ্ছিল না রিয়াল। শেষ ২৫ মিনিটে হোসে মরিনহো একটা জুয়া খেলেছিলেন। ডিফেন্স থেকে পেপেকে তুলে আক্রমণভাগে নামিয়ে দিয়েছিলেন করিম বেনজেমাকে। ফরোয়ার্ডে রিয়ালের পাঁচ খেলোয়াড়কে আর সামলাতে পারেনি হারকিউলিস। ৮২ ও ৮৬ মিনিটে রোনালদোর জোড়া গোল।
জিততে জিততে হারকিউলিসের এই পরাজয় দেখে বার্সা হয়তো তেতে থাকবে। প্রথম মিনিট থেকেই সেভিয়ার গোলমুখে হামলে পড়া বার্সাকে ৪ মিনিটে এগিয়ে দেন মেসি। ২৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করা ডেভিড ভিয়ার গোলটি ছিল অসাধারণ। আগের পাঁচ ম্যাচে কোনো গোল না পাওয়া স্পেনের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এই গোল এনে দেয় মুক্তির আনন্দ। এএফপি, ওয়েবসাইট।
৪৫ মিনিটে সেভিয়া ১০ জনের দল হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে হজম করে আরও তিন গোল। গোল তিনটি করেন দানি আলভেজ, মেসি ও ভিয়া। ৯ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল শীর্ষে, দুইয়ে থাকা বার্সেলোনা এক পয়েন্ট পিছিয়ে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে চেলসি। আগের ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটনের সঙ্গে নিজেদের মাঠে ড্র করা চেলসি পরশু প্রথমেই পিছিয়ে পড়েছিল ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে। ৩৯ মিনিটে আনেলকা সমতা ফেরালেও জয়সূচক গোলের দেখা পেতে চেলসিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮৪ মিনিট পর্যন্ত। অবশেষে ব্রানিসলাভ ইভানোভিচের হেডে ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে চেলসি। ওয়েস্টহামের বিপক্ষে আর্সেনালও উদ্ধার পেয়েছে ৮৮ মিনিটে অ্যালেক্স সংয়ের একমাত্র গোলে।
টটেনহামের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতলেও ম্যানইউও খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না এদিন। ৩৩ মিনিটে নেমানিয়া ভিদিচ এগিয়ে দেন। ৮৪ মিনিটে জয় নিশ্চিত করা গোলটি করেন নানি। যদিও তাঁর দ্বিতীয় গোলটি বিতর্কিত। ফ্রি-কিক পেয়েছেন মনে করে টটেনহাম গোলরক্ষক মাটিতে বল বসিয়েছিলেন। কিন্তু রেফারি আসলে কোনো বাঁশিই বাজাননি। সেই সুযোগে ডি-বক্সেই পড়ে থাকা নানি টপ করে উঠে গিয়ে বল ঢুকিয়ে দেন জালে।
ওদিকে ইতালির সিরি ‘আ’তে এসি মিলানকে তাদের মাঠেই ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপার দাবি আরেকবার জানিয়ে রাখল ২০০২-০৩ মৌসুমে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া জুভেন্টাস।
এই ছবিটার ঘণ্টা দুয়েক পর ন্যু ক্যাম্পেও একজন মেতেছেন একই রকম উদ্যাপনে। প্রকাশভঙ্গিতে অবশ্য রোনালদো-সুলভ ঔদ্ধত্য তাঁর ছিল না। কিন্তু সেই বিনম্র উল্লাসের মধ্যেও যেন লুকিয়ে থাকল তর্জনী উঁচিয়ে নীল আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রচ্ছন্ন হুমকি। লিওনেল মেসিও যেন বলতে চাইলেন, ‘কী, কেমন দিলাম!’
সত্যের সঙ্গে কল্পনা মিশিয়ে দিলে ওপরের ছবিটা জমে ভালো। প্রকাশ্যে তাঁদের মধ্যে কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু দুজনের মধ্যে এক অনিবার্য লড়াই চলে আসছে রোনালদো সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকার সময় থেকেই।
ঠিকানা পাল্টে রোনালদো কাছাকাছি শত্রুশিবিরে নাম লিখিয়েছেন। গতবার ইনজুরিতে না পড়লে হয়তো গোলসংখ্যায় মেসির সঙ্গে পাল্লাও দিতেন। সেটা হয়ে ওঠেনি। এবার কিন্তু রোনালদো ভালোই জমিয়ে তুলেছেন। মেসিও ছেড়ে কথা কইছেন না। ফলাফল, স্প্যানিশ ফুটবলে দলীয় লড়াইয়ের বাইরে জমে উঠেছে দুর্দান্ত এক ব্যক্তিগত খণ্ডযুদ্ধ।
আর তাই পরশু হারকিউলিসের বিপক্ষে জোড়া গোল করে রোনালদো যখন রিয়ালকে জিতিয়ে নায়কের আসনে, পরের ম্যাচেই ওই জোড়া গোলই করে মেসিও জিতলেন সেভিয়ার বিপক্ষে। এই মৌসুমে ১৩ ম্যাচে ১২ গোল করেছেন রোনালদো, ১২ ম্যাচে ১৪ গোল মেসির। দুই মৌসুম মিলে স্প্যানিশ লিগে ৩৮ ম্যাচে ৩৭ গোল রোনালদোর।
পরশু রোনালদোর দলকে জেতানোর তাগিদ ছিল। মেসির সেটা ছিল না। বার্সাকে হারিয়ে চমকে দেওয়া হারকিউলিস পরশু আরেকটি দৈত্য-বধের স্বপ্ন দেখছিল। ৩ মিনিটেই ডেভিড ত্রেজেগের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল হারকিউলিস। ১০ বছর জুভেন্টাসে কাটিয়ে এসে এবার হারকিউলিসে নাম লিখেয়েছেন ত্রেজেগে। ফরাসি স্ট্রাইকার লিগে সর্বশেষ চার ম্যাচে করলেন চার গোল। পরশু তাঁর সেই গোল শোধ করতে রিয়ালকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫২ মিনিট পর্যন্ত। গোলরক্ষকের হাত ফসকে বেরিয়ে আসা বলে জোরাল শট নিয়ে সমতা ফিরিয়েছেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া।
কিন্তু কোনোভাবেই লিড পাচ্ছিল না রিয়াল। শেষ ২৫ মিনিটে হোসে মরিনহো একটা জুয়া খেলেছিলেন। ডিফেন্স থেকে পেপেকে তুলে আক্রমণভাগে নামিয়ে দিয়েছিলেন করিম বেনজেমাকে। ফরোয়ার্ডে রিয়ালের পাঁচ খেলোয়াড়কে আর সামলাতে পারেনি হারকিউলিস। ৮২ ও ৮৬ মিনিটে রোনালদোর জোড়া গোল।
জিততে জিততে হারকিউলিসের এই পরাজয় দেখে বার্সা হয়তো তেতে থাকবে। প্রথম মিনিট থেকেই সেভিয়ার গোলমুখে হামলে পড়া বার্সাকে ৪ মিনিটে এগিয়ে দেন মেসি। ২৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করা ডেভিড ভিয়ার গোলটি ছিল অসাধারণ। আগের পাঁচ ম্যাচে কোনো গোল না পাওয়া স্পেনের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এই গোল এনে দেয় মুক্তির আনন্দ। এএফপি, ওয়েবসাইট।
৪৫ মিনিটে সেভিয়া ১০ জনের দল হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে হজম করে আরও তিন গোল। গোল তিনটি করেন দানি আলভেজ, মেসি ও ভিয়া। ৯ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল শীর্ষে, দুইয়ে থাকা বার্সেলোনা এক পয়েন্ট পিছিয়ে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে চেলসি। আগের ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটনের সঙ্গে নিজেদের মাঠে ড্র করা চেলসি পরশু প্রথমেই পিছিয়ে পড়েছিল ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে। ৩৯ মিনিটে আনেলকা সমতা ফেরালেও জয়সূচক গোলের দেখা পেতে চেলসিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮৪ মিনিট পর্যন্ত। অবশেষে ব্রানিসলাভ ইভানোভিচের হেডে ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে চেলসি। ওয়েস্টহামের বিপক্ষে আর্সেনালও উদ্ধার পেয়েছে ৮৮ মিনিটে অ্যালেক্স সংয়ের একমাত্র গোলে।
টটেনহামের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতলেও ম্যানইউও খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না এদিন। ৩৩ মিনিটে নেমানিয়া ভিদিচ এগিয়ে দেন। ৮৪ মিনিটে জয় নিশ্চিত করা গোলটি করেন নানি। যদিও তাঁর দ্বিতীয় গোলটি বিতর্কিত। ফ্রি-কিক পেয়েছেন মনে করে টটেনহাম গোলরক্ষক মাটিতে বল বসিয়েছিলেন। কিন্তু রেফারি আসলে কোনো বাঁশিই বাজাননি। সেই সুযোগে ডি-বক্সেই পড়ে থাকা নানি টপ করে উঠে গিয়ে বল ঢুকিয়ে দেন জালে।
ওদিকে ইতালির সিরি ‘আ’তে এসি মিলানকে তাদের মাঠেই ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপার দাবি আরেকবার জানিয়ে রাখল ২০০২-০৩ মৌসুমে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া জুভেন্টাস।
No comments