খবর- 'মারা যাবে না একটি শিশুও' -বিলগেটসপত্নী, মেলিন্ডা গেটস

মেলিন্ডা গেটস, বিলগেটসপত্নী সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে নিজেদের সেবাকর্ম নিয়ে কথা বলেছেন স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিনের সঙ্গে, তারই অংশবিশেষ...

১৫০ কোটি ডলারের টিকা কর্মসূচি
এই কর্মসূচি শুরু করে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে পরিকল্পিত ভাবে দরিদ্র মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে কাজ করলে ফল পাওয়া যাবেই। এ কর্মসূচি যদি ধারাবাহিকভাবে চালাতে পারি, তাহলে বিভিন্ন রোগের টিকা সরবরাহের মাধ্যমে বিশ্বে শিশু মৃত্যু হার অনেক কমে যাবে। এপর্যন্ত এই টিকা কর্মসূচির জন্য ৪৫০ কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছি। আমরা ঠিক করেছি এ তহবিল ১০০০কোটি ডলারে উন্নিত করার।
২০৫০ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এসময়ে পৃথিবী থেকে পোলিও ও ম্যালেরিয়ার পুরোপুরি বিলুপ্তি ঘটবে। এইচআইভি’র প্রতিষেধক ওষুধও পাওয়া যাবে পৃথিবীজুড়ে। বিশ্বে স্বাস্থ্য সেবার উন্নতির ফলে বছরে প্রায় ৩০ লাখ শিশু রেহাই পাবে অকাল মৃত্যু থেকে। আমি মনে করি, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের বেশির ভাগ নারীর মাতৃত্ব হবে নিরাপদ। মানুষের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে পৃথিবীর কোনো দেশকেই আর ভাবতে হবে না।
দারিদ্র চিরস্থায়ী অভিশাপ নয়
দারিদ্রকে অবশ্যই জয় করা যায়। ষাট-এর দশকে অনেক দেশ ছিল যারা বিদেশি সাহায্য ছাড়া চলতে পারত না। যেমন- ব্রাজিল, থাইল্যান্ড। আজ ২০১০ সালে এসে এই দেশদুটি দারিদ্র কমিয়ে নিজেদের নাম দাতা দেশের তালিকায় তুলেছে। এমন অনেক উদাহরণ আছে, অনেক হতদরিদ্রই নিজেদের ভাগ্য ফিরিয়েছে। ১৯৬০ সালের দিকে বিশ্বে যে পরিমাণ দেশ বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল, তার সংখ্যা এখন অনেক কমে এসেছে।
কৃষিতে পরিকল্পিত বিনিয়োগ হয়েছে। সবুজ বিপ্লবের কারণে কৃষি উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে অনেক দেশেই। ফলে দারিদ্রের হার কমছে ব্যাপকহারে।
গেটস ফাউন্ডেশন ও বিশ্ব জনসংখ্যা
অনেকই বলে, যদি শিশু মৃত্যুর হার কমে যায় আর বিশ্বের স্বাস্থ্য সেবার মান ভালো হয়ে যায় তাহলে বিশ্বে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঘটবে। এটা ঠিক না। যখন একটি দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হয়, পাশাপাশি দেশটি তখন সব ক্ষেত্রেই উন্নতি করে, সেই উন্নতি হয় জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধেও। স্বাস্থ্যসেবার মান খারাপ হলে একজন মা তাঁর সন্তানের দীর্ঘায়ুর ব্যাপারে সংশয়ে পড়ে, তখন সে আরো বেশি সন্তানের চিন্তা করে যাতে একজন হলেও বেঁচে থাকে। কিন্তু সে যখন তাঁর সন্তানের উন্নত স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপারে নিশ্চিত হবে তখন কম সন্তান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে।
ভ্রমণে অভিজ্ঞতা
এবছর আফ্রিকার মালাউয়িতে গিয়েছিলাম। ওখানে একটা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে দেখি একটি ইনকিউবিটরে দুটি নবজাত শিশুকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। শিশু দুটির একটির জন্ম হয়েছে ওই হাসপাতালেই, অন্যটির জন্ম রাস্তায়। হাসপাতালে জন্ম নেওয়া ও পথে জন্ম হওয়া দুটো শিশুরই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুটিকে কর্তব্যরত ডাক্তারদের চেষ্টায় বাঁচানো সম্ভব হয়, কিন্তু পথে জন্ম নেওয়া শিশুটিকে তাঁরা বাঁচাতে পারেনি। এই ঘটনাটি আমাকে বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। যে শিশুটি হাসপাতালে জন্ম নিয়েছে সে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে বেঁচে গেল, অন্যজন পারল না। তাই সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবা যদি সবার জন্য নিশ্চিত করা যায়, তাহলে কোনো শিশুর অকাল মৃত্যু ঘটবে না।
============================
আলোচনা- 'সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের অঙ্গীকারঃ  নিবন্ধ- সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড-একটি দেশ একটি কবিতার জন্ম by আলীম আজিজ  আলোচনা- 'আরও একটি সর্বনাশা দেশ চুক্তির বোঝা' by আনু মাহমুদ  গল্পালোচনা- হতাশার বিষচক্র থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে  আলোচনা- 'বেঁচে থাকার জীবন্ত পোট্র্রেট' by বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গির  খবর- চলন্ত ট্রেনের নিচে মেয়েকে নিয়ে মা'য়ের আত্মহত্যা  গল্প- 'সেদিন অফিসে যায়নি আন্দালিব' by হাবিব আনিসুর রহমান  বিজ্ঞান আলোচনা- মানবযকৃৎ উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীরা সফল  খবর- দিলমা রুসেফ । নারী গেরিলা থেকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট  আলোচনা- 'সকল গৃহ হারালো যার' by তসলিমা নাসরিন  রাজনৈতিক আলোচনা- 'বিষয় কাশ্মীর-ইনসাফ ও স্বাধীনতা by অরুন্ধতী রায়  ইতিহাস- 'ক্রিস্টোফার কলম্বাসের ডায়েরি' by শাহাদুজ্জামান  বিজ্ঞান আলোচনা- নাসা আজীবনের জন্য মঙ্গলে মানুষ পাঠাবে  ফিচার- ‘বাইশ্যা নাচ' by মৃত্যুঞ্জয় রায়  আদিবাসী আলোচনা- 'বেদিয়া নাকি সাঁওতাল' by সালেক খোকন  আলোচনা- 'পর্যটন ও জীববৈচিত্র্য:প্রেক্ষাপট-বাংলাদেশ হেমায়েত উদ্দীন তালুকদার  খবর- নাগোয়া সম্মেলনে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ঐতিহাসিক চুক্তি  খবর- ছয় দশক পর দুই কোরিয়ার স্বজনদের পুনর্মিলন


প্রথম আলো এর সৌজন্যে
অনুবাদঃ নাইর ইকবাল


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.