ইয়েমেনে চিকিৎসাশিক্ষার ছাত্রী আটক
যুক্তরাষ্ট্রগামী পণ্যবাহী বিমান থেকে বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট উদ্ধারের ঘটনায় গত শনিবার ইয়েমেনে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাশিক্ষার ছাত্রী। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ছাত্রীর মাকেও আটক করা হয়েছে। এদিকে দুবাই পুলিশ জানিয়েছে, দুবাইয়ে উদ্ধার করা বিস্ফোরকের প্যাকেটে ‘আল-কায়েদার নামের ছাপ’ দেওয়া রয়েছে।
ইয়েমেন থেকে পণ্যবাহী বিমানে করে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট পাঠানো হচ্ছিল। হোয়াইট হাউস সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সব বিমানবন্দরে সতর্কাবস্থা জারির নির্দেশ দেয়। হামলার আশঙ্কায় ব্রিটেন ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়। পরে ব্রিটেনের ইস্ট মিডল্যান্ডস বিমানবন্দর ও দুবাইয়ের বিমানবন্দর থেকে বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের দুটি সিনাগগের (ইহুদিদের উপাসনালয়) ঠিকানায় এসব বিস্ফোরক পাঠানো হচ্ছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, আল-কায়েদার ইয়েমেন শাখা বিস্ফোরক পাঠানোর সঙ্গে জড়িত।
ইয়েমেনের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, রাজধানী সানার একটি বাসা থেকে চিকিৎসাশিক্ষার ওই ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। ওই ছাত্রীর মাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
ইয়েমেনের কর্মকর্তারা জানান, বিস্ফোরকের প্যাকেট পাঠানোর জন্য পণ্যবাহী বিমান সংস্থার রসিদ নিতে হয়। সেই রসিদ থেকে ওই ছাত্রীর মুঠোফোন নম্বর পাওয়া যায়। ওই নম্বরের সূত্র ধরেই তাঁকে ও তাঁর মাকে আটক করা হয়। ওই ছাত্রীর বাবা একজন প্রকৌশলী। ছাত্রীর পরিচিতদের বরাত দিয়ে তাঁর আইনজীবী আবদেল রাহমান বারম্যান জানান, তিনি খুব শান্ত ও মনোযোগী ছাত্রী। তিনি কোনো ধর্মীয় বা রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত—এমন কোনো কিছু তাঁরা জানেন না। আবদেল রাহমান বলেন, ‘আমার মক্কেল এ ঘটনার শিকার। কারণ, যারা এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তারা রসিদে মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ করবে—এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
এদিকে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্যমতে, ওই নারীই কুরিয়ার কোম্পানি ইউপিএস ও ফেডেক্সের মাধ্যমে বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট ওয়াশিংটনে পাঠাতে চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ অঙ্গীকার করেন, তাঁর দেশ মিত্রদের সহায়তায় আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
বিস্ফোরকের প্যাকেটে ‘আল-কায়েদার নামের ছাপ’ আছে উল্লেখ করে দুবাই পুলিশ জানায়, প্যাকেটের ভেতরে কম্পিউটারের প্রিন্টারের মধ্যে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক পেন্টারিথ্রিটল টেট্রানাইট্রেট (পিইটিএন) লুকানো ছিল। এ ছাড়া প্যাকেটে একটি সার্কিট বোর্ড ও মুঠোফোনের সিমকার্ড পাওয়া যায়।
ইয়েমেনের স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট পাঠানোর ঘটনায় তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। আল-কায়েদার ইয়েমেন শাখাই এ ঘটনায় জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট উদ্ধারের ঘটনায় ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যবাহী বিমানের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বলেন, সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা ছিল আকাশেই বিমান উড়িয়ে দেওয়ার। সম্ভবত ব্রিটেনের আকাশেই এটা করতে চেয়েছিল তারা।
ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ ও দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় আল-কায়েদার বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ইব্রাহিম হাসান আল-আসিরির যোগসূত্র আছে কি না, তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন তদন্তকারীরা।
নিউইয়র্ক টাইমস তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে লিখেছে, বিস্ফোরকের প্যাকেট ও এতে থাকা উপাদান থেকে বোঝা যায়, বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরাই এ কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
ইয়েমেন থেকে পণ্যবাহী বিমানে করে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট পাঠানো হচ্ছিল। হোয়াইট হাউস সৌদি আরবের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সব বিমানবন্দরে সতর্কাবস্থা জারির নির্দেশ দেয়। হামলার আশঙ্কায় ব্রিটেন ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়। পরে ব্রিটেনের ইস্ট মিডল্যান্ডস বিমানবন্দর ও দুবাইয়ের বিমানবন্দর থেকে বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের দুটি সিনাগগের (ইহুদিদের উপাসনালয়) ঠিকানায় এসব বিস্ফোরক পাঠানো হচ্ছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, আল-কায়েদার ইয়েমেন শাখা বিস্ফোরক পাঠানোর সঙ্গে জড়িত।
ইয়েমেনের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, রাজধানী সানার একটি বাসা থেকে চিকিৎসাশিক্ষার ওই ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। ওই ছাত্রীর মাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
ইয়েমেনের কর্মকর্তারা জানান, বিস্ফোরকের প্যাকেট পাঠানোর জন্য পণ্যবাহী বিমান সংস্থার রসিদ নিতে হয়। সেই রসিদ থেকে ওই ছাত্রীর মুঠোফোন নম্বর পাওয়া যায়। ওই নম্বরের সূত্র ধরেই তাঁকে ও তাঁর মাকে আটক করা হয়। ওই ছাত্রীর বাবা একজন প্রকৌশলী। ছাত্রীর পরিচিতদের বরাত দিয়ে তাঁর আইনজীবী আবদেল রাহমান বারম্যান জানান, তিনি খুব শান্ত ও মনোযোগী ছাত্রী। তিনি কোনো ধর্মীয় বা রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত—এমন কোনো কিছু তাঁরা জানেন না। আবদেল রাহমান বলেন, ‘আমার মক্কেল এ ঘটনার শিকার। কারণ, যারা এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তারা রসিদে মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ করবে—এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
এদিকে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্যমতে, ওই নারীই কুরিয়ার কোম্পানি ইউপিএস ও ফেডেক্সের মাধ্যমে বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট ওয়াশিংটনে পাঠাতে চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ অঙ্গীকার করেন, তাঁর দেশ মিত্রদের সহায়তায় আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
বিস্ফোরকের প্যাকেটে ‘আল-কায়েদার নামের ছাপ’ আছে উল্লেখ করে দুবাই পুলিশ জানায়, প্যাকেটের ভেতরে কম্পিউটারের প্রিন্টারের মধ্যে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক পেন্টারিথ্রিটল টেট্রানাইট্রেট (পিইটিএন) লুকানো ছিল। এ ছাড়া প্যাকেটে একটি সার্কিট বোর্ড ও মুঠোফোনের সিমকার্ড পাওয়া যায়।
ইয়েমেনের স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট পাঠানোর ঘটনায় তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। আল-কায়েদার ইয়েমেন শাখাই এ ঘটনায় জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট উদ্ধারের ঘটনায় ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যবাহী বিমানের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বলেন, সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা ছিল আকাশেই বিমান উড়িয়ে দেওয়ার। সম্ভবত ব্রিটেনের আকাশেই এটা করতে চেয়েছিল তারা।
ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ ও দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় আল-কায়েদার বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ইব্রাহিম হাসান আল-আসিরির যোগসূত্র আছে কি না, তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন তদন্তকারীরা।
নিউইয়র্ক টাইমস তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে লিখেছে, বিস্ফোরকের প্যাকেট ও এতে থাকা উপাদান থেকে বোঝা যায়, বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরাই এ কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
No comments