ফ্রান্সের সিনেটে পেনশন সংস্কার বিল পাস
ফ্রান্সে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে গত শুক্রবার বিতর্কিত পেনশন সংস্কার বিল পাস হয়েছে। বিলটির পক্ষে ১৭৭ ভোট এবং বিপক্ষে ১৫৩ ভোট পড়ে।
এই বিলকে কেন্দ্র করে ১০ দিন ধরে ফ্রান্সজুড়ে অবরোধ ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। বিলটির বিরোধিতা করে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। বিক্ষোভকারীদের অবরোধে ফ্রান্সে জ্বালানি-সংকটসহ নানা খাতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
সিনেটে প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির পেনশন সংস্কার বিল অনুমোদন পাওয়ার ফলে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এটি আইনে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পেনশন সংস্কার বিলে সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ এবং পূর্ণ অবসরকালীন ভাতা পাওয়ার বয়সসীমা ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ঘাটতি কমাতে এই পদক্ষেপ অপরিহার্য বলে সারকোজি মন্তব্য করেছেন।
পেনশন সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সারকোজির সরকারের এই পদক্ষেপ শুরু থেকেই কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছে। কর্মচারীদের অবসরকালীন বয়স বাড়ালে সরকারি অর্থব্যয়ের শ্রাদ্ধ হবে বলে অনেকে মনে করছেন। অনেকের মতে, সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফরাসি নাগরিক হিসেবে তাঁদের জন্মগত অধিকার ক্ষুণ্ন হবে। এ নিয়ে বিতর্ক ও ক্ষোভের জের ধরে ১২ অক্টোবর থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী প্যারিসসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তেলের ডিপো ও শোধনাগারে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেন ধর্মঘটি কর্মচারীরা। এতে প্যারিসের দুটি প্রধান বিমানবন্দরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দেখা দেয় তেল-সংকট।
চলমান আন্দোলনের জের ধরে ফ্রান্সের রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও যোগ দিয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। একপর্যায়ে সারকোজি তেলের ডিপো ও শোধনাগার থেকে সরবরাহ পুনরায় চালু করতে পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সিনেটে ভোটাভুটির কয়েক ঘণ্টা আগে পুলিশ দেশের একটি কৌশলগত তেল শোধনাগার কেন্দ্র আবার চালু করতে সক্ষম হয়।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সরকারের পেনশন সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া নাগরিকদের আন্দোলন জোরদার হবে। তবে সারকোজি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়। গতকাল একটি কারখানা পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস মনে রাখবে, কার কথা সত্য। একজন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কী আশা করেন আপনারা? তিনি সত্য কথা বলছেন এবং যা করা দরকার, তা-ই করছেন।
এই বিলকে কেন্দ্র করে ১০ দিন ধরে ফ্রান্সজুড়ে অবরোধ ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। বিলটির বিরোধিতা করে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। বিক্ষোভকারীদের অবরোধে ফ্রান্সে জ্বালানি-সংকটসহ নানা খাতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
সিনেটে প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির পেনশন সংস্কার বিল অনুমোদন পাওয়ার ফলে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এটি আইনে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পেনশন সংস্কার বিলে সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ এবং পূর্ণ অবসরকালীন ভাতা পাওয়ার বয়সসীমা ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ঘাটতি কমাতে এই পদক্ষেপ অপরিহার্য বলে সারকোজি মন্তব্য করেছেন।
পেনশন সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সারকোজির সরকারের এই পদক্ষেপ শুরু থেকেই কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছে। কর্মচারীদের অবসরকালীন বয়স বাড়ালে সরকারি অর্থব্যয়ের শ্রাদ্ধ হবে বলে অনেকে মনে করছেন। অনেকের মতে, সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফরাসি নাগরিক হিসেবে তাঁদের জন্মগত অধিকার ক্ষুণ্ন হবে। এ নিয়ে বিতর্ক ও ক্ষোভের জের ধরে ১২ অক্টোবর থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী প্যারিসসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তেলের ডিপো ও শোধনাগারে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেন ধর্মঘটি কর্মচারীরা। এতে প্যারিসের দুটি প্রধান বিমানবন্দরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দেখা দেয় তেল-সংকট।
চলমান আন্দোলনের জের ধরে ফ্রান্সের রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও যোগ দিয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। একপর্যায়ে সারকোজি তেলের ডিপো ও শোধনাগার থেকে সরবরাহ পুনরায় চালু করতে পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সিনেটে ভোটাভুটির কয়েক ঘণ্টা আগে পুলিশ দেশের একটি কৌশলগত তেল শোধনাগার কেন্দ্র আবার চালু করতে সক্ষম হয়।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সরকারের পেনশন সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া নাগরিকদের আন্দোলন জোরদার হবে। তবে সারকোজি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়। গতকাল একটি কারখানা পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস মনে রাখবে, কার কথা সত্য। একজন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কী আশা করেন আপনারা? তিনি সত্য কথা বলছেন এবং যা করা দরকার, তা-ই করছেন।
No comments