কেন থেকে গেলেন রুনি?
আজ জন্মদিনটা ভালোই কাটার কথা তাঁর। কলিনের সঙ্গে শ্যাম্পেনের গ্লাস ঠুকবেন যখন, সুস্বাস্থ্য কামনার পাশাপাশি স্ত্রীর কাছ থেকে বিশেষ অভিনন্দনও হয়তো পাবেন। যুদ্ধ জয়ের অভিনন্দন। যুদ্ধই তো। অ্যালেক্স ফার্গুসনের সঙ্গে লড়াইয়ে নেমে জেতার বিরল নজিরই তো স্থাপন করেছেন ওয়েইন রুনি!
কিন্তু কী সেই মন্ত্র যার বলে ভোজবাজির মতো পাল্টে গেল দৃশ্যপট? এক দিন আগেও যাঁর বিদায় ছিল অনিবার্য, সেই তিনিই কি না ম্যানইউতে এক-দুই নয়, আরও পাঁচ বছরের জন্য থেকে যাওয়ার ব্যবস্থা পাকা করলেন। আগের দিন যাঁর কণ্ঠে ছিল বিরহের সুর, ‘আজ দুজনার দুটি পথ...’, পরদিনই তিনি কিনা গাইছেন, ‘তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমারও প্রাণ...।’
ইংলিশ মিডিয়া ধন্দে আছে। রহস্য উদ্ধার হচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে, রুনির সাপ্তাহিক বেতন আগের চেয়ে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। আসল অঙ্কটাও ধোঁয়াশার জালে। ইংলিশ পত্রিকাগুলো রুনির নতুন সাপ্তাহিক বেতন দেড় থেকে ২ লাখ পাউন্ড পর্যন্ত লেখা হচ্ছে। আসল অঙ্ক যেটাই হোক, রুনি যে ম্যানইউর ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের নতুন রেকর্ড গড়েছেন, এটা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই।
সবচেয়ে বড় বিস্ময়টা হলো, রুনি এমন একসময় ম্যানইউকে দর-কষাকষিতে কোণঠাসা করেছেন, যখন উল্টো চাপের মুখে থাকার কথা ছিল তাঁরই। মাঠে পারফরম্যান্স ভালো নয়, মাঠের বাইরেও পতিতা-কেলেঙ্কারি নিয়ে জীবন অতিষ্ঠ। বড় স্পনসররা ফিরিয়ে নিচ্ছে মুখ। সেই সময় ক্লাবের সঙ্গে দর-কষাকষির লড়াইয়ে রুনিকে জিতেয়ে আনার পুরো কৃতিত্ব পাচ্ছেন রুনির এজেন্ট পল স্ট্রেটফোর্ড।
ট্যাবলয়েডগুলো অবশ্য তাদের নিজস্ব তত্ত্ব খাটিয়ে রুনির ম্যানইউতে থেকে যাওয়ার আরও কিছু কারণ বের করছে। কিছু পত্রিকা লিখেছে, রুনি আসলে যেতে চেয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে। সেখানে হোসে মরিনহোর সঙ্গে কাজ করার লোভ তো আছেই, উপরি হিসেবে আছে বন্ধু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে আবারও জুটি বাঁধা। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত রুনি পাল্টাতে বাধ্য হন তাঁর শাশুড়ি কলেট্টে ম্যাকলাফলিনের প্রভাবে।
দলবদলের সব নাটকের পেছন থেকে নাকি কলকাঠি নেড়েছেন কলিনের মা। কলিনও স্বামীকে চাপ দিয়েছেন। বিশেষ করে হুলিগানদের (ফুটবলের দাঙ্গাবাজ সমর্থক) হুমকি-ধমকিতে ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলেন কলিন।
আসল কারণ যা-ই হোক না কেন রুনি ম্যানইউতে থাকছেন এটা আসলে ক্লাবটির জন্য সুখবরই। এই সুখবর নিয়ে আজ স্টোক সিটির বিপক্ষে মাঠে নামছে লিগে ৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পাওয়া ম্যানইউ। অ্যাঙ্কেলে চোট পাওয়া রুনি অবশ্য এ ম্যাচে থাকবেন না।
এদিকে রুনির থেকে যাওয়া নিয়ে মিডিয়া যতই বিস্মিত হোক, ইংলিশ লিগের কোচরা কিন্তু বলছেন, এমনটা যে হবে, সেটি তাঁরা আগেই অনুমান করে রেখেছিলেন। আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার তো দাবি করলেন, রুনি-সংক্রান্ত কোনো খবরই তিনি পড়েননি। এরই মধ্যে টটেনহাম কোচ হ্যারি রেডন্যাপ একটা যুক্তিসংগত প্রশ্ন তুলেছেন। ভবিষ্যতে কি তারকা খেলোয়াড়দের নিরঙ্কুশ ক্ষমতার কাছে মাথা নুয়ে থাকতে হবে ক্লাবকেই?
এই প্রশ্নের সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে আনুগত্যের ব্যাপারটিও। কোথায় গেল ম্যানইউর প্রতি রুনির অগাধ ভালোবাসা! সামনের দিনগুলোয় রুনিকে ওই ভালোবাসা প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নিয়েই নামতে হবে মাঠে। ব্যর্থ হলে জুটবে ধিক্কার। সফল হলে সমর্থকেরা ভুলেই যাবে, এই রুনিই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন ওল্ড ট্রাফোর্ড।
কিন্তু কী সেই মন্ত্র যার বলে ভোজবাজির মতো পাল্টে গেল দৃশ্যপট? এক দিন আগেও যাঁর বিদায় ছিল অনিবার্য, সেই তিনিই কি না ম্যানইউতে এক-দুই নয়, আরও পাঁচ বছরের জন্য থেকে যাওয়ার ব্যবস্থা পাকা করলেন। আগের দিন যাঁর কণ্ঠে ছিল বিরহের সুর, ‘আজ দুজনার দুটি পথ...’, পরদিনই তিনি কিনা গাইছেন, ‘তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমারও প্রাণ...।’
ইংলিশ মিডিয়া ধন্দে আছে। রহস্য উদ্ধার হচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে, রুনির সাপ্তাহিক বেতন আগের চেয়ে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। আসল অঙ্কটাও ধোঁয়াশার জালে। ইংলিশ পত্রিকাগুলো রুনির নতুন সাপ্তাহিক বেতন দেড় থেকে ২ লাখ পাউন্ড পর্যন্ত লেখা হচ্ছে। আসল অঙ্ক যেটাই হোক, রুনি যে ম্যানইউর ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের নতুন রেকর্ড গড়েছেন, এটা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই।
সবচেয়ে বড় বিস্ময়টা হলো, রুনি এমন একসময় ম্যানইউকে দর-কষাকষিতে কোণঠাসা করেছেন, যখন উল্টো চাপের মুখে থাকার কথা ছিল তাঁরই। মাঠে পারফরম্যান্স ভালো নয়, মাঠের বাইরেও পতিতা-কেলেঙ্কারি নিয়ে জীবন অতিষ্ঠ। বড় স্পনসররা ফিরিয়ে নিচ্ছে মুখ। সেই সময় ক্লাবের সঙ্গে দর-কষাকষির লড়াইয়ে রুনিকে জিতেয়ে আনার পুরো কৃতিত্ব পাচ্ছেন রুনির এজেন্ট পল স্ট্রেটফোর্ড।
ট্যাবলয়েডগুলো অবশ্য তাদের নিজস্ব তত্ত্ব খাটিয়ে রুনির ম্যানইউতে থেকে যাওয়ার আরও কিছু কারণ বের করছে। কিছু পত্রিকা লিখেছে, রুনি আসলে যেতে চেয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে। সেখানে হোসে মরিনহোর সঙ্গে কাজ করার লোভ তো আছেই, উপরি হিসেবে আছে বন্ধু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে আবারও জুটি বাঁধা। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত রুনি পাল্টাতে বাধ্য হন তাঁর শাশুড়ি কলেট্টে ম্যাকলাফলিনের প্রভাবে।
দলবদলের সব নাটকের পেছন থেকে নাকি কলকাঠি নেড়েছেন কলিনের মা। কলিনও স্বামীকে চাপ দিয়েছেন। বিশেষ করে হুলিগানদের (ফুটবলের দাঙ্গাবাজ সমর্থক) হুমকি-ধমকিতে ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলেন কলিন।
আসল কারণ যা-ই হোক না কেন রুনি ম্যানইউতে থাকছেন এটা আসলে ক্লাবটির জন্য সুখবরই। এই সুখবর নিয়ে আজ স্টোক সিটির বিপক্ষে মাঠে নামছে লিগে ৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পাওয়া ম্যানইউ। অ্যাঙ্কেলে চোট পাওয়া রুনি অবশ্য এ ম্যাচে থাকবেন না।
এদিকে রুনির থেকে যাওয়া নিয়ে মিডিয়া যতই বিস্মিত হোক, ইংলিশ লিগের কোচরা কিন্তু বলছেন, এমনটা যে হবে, সেটি তাঁরা আগেই অনুমান করে রেখেছিলেন। আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার তো দাবি করলেন, রুনি-সংক্রান্ত কোনো খবরই তিনি পড়েননি। এরই মধ্যে টটেনহাম কোচ হ্যারি রেডন্যাপ একটা যুক্তিসংগত প্রশ্ন তুলেছেন। ভবিষ্যতে কি তারকা খেলোয়াড়দের নিরঙ্কুশ ক্ষমতার কাছে মাথা নুয়ে থাকতে হবে ক্লাবকেই?
এই প্রশ্নের সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে আনুগত্যের ব্যাপারটিও। কোথায় গেল ম্যানইউর প্রতি রুনির অগাধ ভালোবাসা! সামনের দিনগুলোয় রুনিকে ওই ভালোবাসা প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নিয়েই নামতে হবে মাঠে। ব্যর্থ হলে জুটবে ধিক্কার। সফল হলে সমর্থকেরা ভুলেই যাবে, এই রুনিই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন ওল্ড ট্রাফোর্ড।
No comments