চাপ এখন নিউজিল্যান্ডের ওপরই!
পায়ের প্যাড পায়েই থাকার কথা। কিন্তু সামান্য প্যাডের কী সৌভাগ্য; কাল দুপুরে চড়ে বসল সাকিব আল হাসানের মাথায়! প্যাড নিজে মাথায় চাপেনি। বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য সাকিবই প্যাডকে ছাতার মতো করে মাথায় তুললেন।
কেউ প্যাড, কেউ বিশাল ছাতা, আবার কেউ হাত দিয়ে মাথা ঢেকে দৌড়ে মাঠ পার হলেন। ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে অমন করেই মাঠ পেরিয়ে আসা শাহরিয়ার নাফীস সাংবাদিকদেরই উল্টো প্রশ্ন করে বসলেন, ‘কাল খেলা হবে তো?’
কোটি টাকার এই প্রশ্ন এখন বাংলাদেশ-জুড়ে—খেলা হবে তো! খেলোয়াড়দেরও মনেও এই প্রশ্ন আছে। তবে আপাতত আবহাওয়াকে প্রধান প্রতিপক্ষ বানাতে রাজি নন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। ইমরুল কায়েস যেমন হেসে বললেন, ‘আমরা তো বৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। তাই বৃষ্টি নিয়ে ভাবছি না। ভাবছি খেলা নিয়ে।’
খেলা নিয়ে ভাবতে গিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা নিজেদের এই ম্যাচে একটু হলেও এগিয়ে রাখছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজ; সেখানে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। দল তো মানসিকভাবে একটু এগিয়ে থাকবেই।
তবে চোটের ধাক্কায় মাঠের বাইরে চলে যাওয়া ‘আসল’ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে নিউজিল্যান্ড চাপে পড়ে যাওয়ার কারণে, ‘দেখেন, প্রথম ম্যাচ আমরা জেতায় আমাদের ওপর একটা প্রত্যাশা থাকবে। কিন্তু সেটা চাপ না। কারণ ওরা তুলনামূলক বড় দল। আর এ জন্যই ওরা সিরিজে পিছিয়ে থাকায় একটু চাপে পড়ে গেছে। এই চাপটাই আমাদের এগিয়ে রাখবে।’
নিউজিল্যান্ড চাপে পড়ে গেছে—এই তত্ত্বটা দেখা গেল বাংলাদেশ দলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রকিবুল হাসান চাপের স্বরূপটা ব্যাখ্যাও করলেন, ‘ওরা এখন নিজেদের সেরাটা খেলার জন্য মরিয়া হয়ে যাবে। এমন করতে গেলে ভুলচুক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।’
শাহরিয়ার নাফীসও বলছেন, প্রথম ম্যাচ জেতায় তারা এই চাপের সুবিধাটা নিতে পারবেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে আরও শক্ত আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের। তবে মনে রাখতে হবে, ওরা এই ম্যাচ খেলবে সিরিজে সমতা ফেরানোর জন্য। আর এটাই ওদের নড়বড়ে করে দিতে পারে।’
এসব কথার সঙ্গে দারুণ একমত বাঁহাতি স্পিনারও আবদুর রাজ্জাকও। তাঁরও ধারণা, যদি আজ খেলা হয়, তাহলে নিউজিল্যান্ড চাপে থাকবে। তবে কথা বলতে গিয়ে রাজ্জাক বৃষ্টি প্রসঙ্গটাকেও এড়াতে পারলেন না, ‘বৃষ্টি যেমন হচ্ছে, তাতে খেলা হবে কি না, কে জানে। খেলা হলেও কন্ডিশনে কিন্তু প্রভাব পড়তে পারে। ফলে সব দিক বিবেচনা করেই প্রস্তুত হচ্ছি আমরা।’
এই সতর্কতা সবার মধ্যেই আছে। রকিবুল হাসান যেমন মনে করিয়ে দিলেন, কন্ডিশন যেমনই হোক, নিউজিল্যান্ড আহত বাঘের মতো ফিরে আসতে চেষ্টা করবে। রকিবুলরা তাই আহত বাঘ সামলানোরই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নিউজিল্যান্ড মরিয়া হয়ে উঠবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মরিয়া নিউজিল্যান্ডের স্বভাবতই আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠার কথা। কিন্তু তাতেও বিচলিত নন ইমরুল কায়েস, ‘ওরা তো ওদের সেরাটাই খেলবে। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যখন খেলছি, তাদের সেরা পারফরম্যান্সের বিপক্ষে খেলার জন্যই প্রস্তুত আমরা।’
সেই ভালো। সেরা পারফরম্যান্সের বিপক্ষে খেলেই জেতা ভালো!
কেউ প্যাড, কেউ বিশাল ছাতা, আবার কেউ হাত দিয়ে মাথা ঢেকে দৌড়ে মাঠ পার হলেন। ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে অমন করেই মাঠ পেরিয়ে আসা শাহরিয়ার নাফীস সাংবাদিকদেরই উল্টো প্রশ্ন করে বসলেন, ‘কাল খেলা হবে তো?’
কোটি টাকার এই প্রশ্ন এখন বাংলাদেশ-জুড়ে—খেলা হবে তো! খেলোয়াড়দেরও মনেও এই প্রশ্ন আছে। তবে আপাতত আবহাওয়াকে প্রধান প্রতিপক্ষ বানাতে রাজি নন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। ইমরুল কায়েস যেমন হেসে বললেন, ‘আমরা তো বৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। তাই বৃষ্টি নিয়ে ভাবছি না। ভাবছি খেলা নিয়ে।’
খেলা নিয়ে ভাবতে গিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা নিজেদের এই ম্যাচে একটু হলেও এগিয়ে রাখছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজ; সেখানে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। দল তো মানসিকভাবে একটু এগিয়ে থাকবেই।
তবে চোটের ধাক্কায় মাঠের বাইরে চলে যাওয়া ‘আসল’ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে নিউজিল্যান্ড চাপে পড়ে যাওয়ার কারণে, ‘দেখেন, প্রথম ম্যাচ আমরা জেতায় আমাদের ওপর একটা প্রত্যাশা থাকবে। কিন্তু সেটা চাপ না। কারণ ওরা তুলনামূলক বড় দল। আর এ জন্যই ওরা সিরিজে পিছিয়ে থাকায় একটু চাপে পড়ে গেছে। এই চাপটাই আমাদের এগিয়ে রাখবে।’
নিউজিল্যান্ড চাপে পড়ে গেছে—এই তত্ত্বটা দেখা গেল বাংলাদেশ দলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রকিবুল হাসান চাপের স্বরূপটা ব্যাখ্যাও করলেন, ‘ওরা এখন নিজেদের সেরাটা খেলার জন্য মরিয়া হয়ে যাবে। এমন করতে গেলে ভুলচুক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।’
শাহরিয়ার নাফীসও বলছেন, প্রথম ম্যাচ জেতায় তারা এই চাপের সুবিধাটা নিতে পারবেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে আরও শক্ত আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের। তবে মনে রাখতে হবে, ওরা এই ম্যাচ খেলবে সিরিজে সমতা ফেরানোর জন্য। আর এটাই ওদের নড়বড়ে করে দিতে পারে।’
এসব কথার সঙ্গে দারুণ একমত বাঁহাতি স্পিনারও আবদুর রাজ্জাকও। তাঁরও ধারণা, যদি আজ খেলা হয়, তাহলে নিউজিল্যান্ড চাপে থাকবে। তবে কথা বলতে গিয়ে রাজ্জাক বৃষ্টি প্রসঙ্গটাকেও এড়াতে পারলেন না, ‘বৃষ্টি যেমন হচ্ছে, তাতে খেলা হবে কি না, কে জানে। খেলা হলেও কন্ডিশনে কিন্তু প্রভাব পড়তে পারে। ফলে সব দিক বিবেচনা করেই প্রস্তুত হচ্ছি আমরা।’
এই সতর্কতা সবার মধ্যেই আছে। রকিবুল হাসান যেমন মনে করিয়ে দিলেন, কন্ডিশন যেমনই হোক, নিউজিল্যান্ড আহত বাঘের মতো ফিরে আসতে চেষ্টা করবে। রকিবুলরা তাই আহত বাঘ সামলানোরই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নিউজিল্যান্ড মরিয়া হয়ে উঠবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মরিয়া নিউজিল্যান্ডের স্বভাবতই আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠার কথা। কিন্তু তাতেও বিচলিত নন ইমরুল কায়েস, ‘ওরা তো ওদের সেরাটাই খেলবে। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যখন খেলছি, তাদের সেরা পারফরম্যান্সের বিপক্ষে খেলার জন্যই প্রস্তুত আমরা।’
সেই ভালো। সেরা পারফরম্যান্সের বিপক্ষে খেলেই জেতা ভালো!
No comments