সরবরাহ পথে হামলায় আফগান যুদ্ধের ক্ষতি হবে না: ন্যাটো
পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে যাওয়া রসদ সরবরাহ পথে জঙ্গিদের হামলায় আফগান যুদ্ধের ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেছে ন্যাটো। পাকিস্তানে এক সপ্তাহে ন্যাটোর ট্যাংকারে কয়েক দফা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা-সহায়তা বাহিনীর (আইএসএএফ) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোসেফ বোল্টজ।
জোসেফ বোল্টজ বলেন, আন্তর্জাতিক বাহিনী যথেষ্ট মজুদ গড়ে তুলেছে এবং বিকল্প রসদ সরবরাহের পথ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ রসদ মজুদ আছে। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, গত কয়েক বছরে রসদ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আমরা বিকল্প পথ তৈরি করেছি।’ তিনি জানান, আফগানিস্তানে আইএসএএফের মোট জ্বালানি চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে সরবরাহ করা হয়।
ন্যাটোর একটি বিমান হামলায় কমপক্ষে দুই পাকিস্তানি সেনার মৃত্যুর ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা বন্ধ করে দেয় ইসলামাবাদ। এর পরই ন্যাটোর তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার ঘটনা বেড়ে যায়। গত বুধবার জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৪০টি ট্যাংকারে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিকে পাকিস্তানি সেনা নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল ডেভিড পেট্রাউসও ওই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৩০ সেপ্টেম্বরের ওই বিমান হামলায় তাদের তিনজন সেনাসদস্য নিহত হন। এতে আফগানিস্তানে রসদ সরবরাহ পথের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা তোরখাম ক্রসিং বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুঃখ প্রকাশের পর তারা আশা করছে, রসদ সরবরাহ শুরুর জন্য পাকিস্তান সীমান্ত এলাকা খুলে দেবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বোল্টজ বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনা ভবিষ্যতে এড়ানোর জন্য আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে লড়াই চালানো দরকার। ওই শত্রু হলো তালেবান এবং বিচ্ছিন্ন হামলা। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ গতকাল দশম বর্ষে পদার্পণ করেছে।’
বিমান হামলায় নিহত ১১: পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে গত বুধবার মার্কিন মানববিহীন (ড্রোন) বিমান থেকে চালানো দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিরানশাহ বাজারের কাছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ছয়জন নিহত ও দুজন আহত হন। একই দিন রাতে আরেকটি হামলায় হুরমাজ গ্রামে পাঁচজন নিহত হন। কর্তৃপক্ষের দাবি, দুই হামলায় নিহতদের সবাই জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য। ন্যাটোর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এঁদের মধ্যে মাওলাউই জাওয়াদুল্লাহ নামের এক তালেবান নেতাও রয়েছেন।
বিমান হামলা অবৈধ: মার্কিন ড্রোন থেকে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কোনো বৈধতা নেই এবং এ বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সমঝোতা হয়নি বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। গতকাল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল বাসিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মনে করি এ ধরনের পদক্ষেপ নেতিবাচক এবং আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। আমরা আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে তাদের নীতি পুনর্বিবেচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘মনুষ্যবিহীন বিমান হামলা খুব বড় ধরনের কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনছে না।’ ২০০৮ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১৪২টি মনুষ্যবিহীন বিমান হামলা চালানো হয়েছে, যাতে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।
জোসেফ বোল্টজ বলেন, আন্তর্জাতিক বাহিনী যথেষ্ট মজুদ গড়ে তুলেছে এবং বিকল্প রসদ সরবরাহের পথ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ রসদ মজুদ আছে। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, গত কয়েক বছরে রসদ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আমরা বিকল্প পথ তৈরি করেছি।’ তিনি জানান, আফগানিস্তানে আইএসএএফের মোট জ্বালানি চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে সরবরাহ করা হয়।
ন্যাটোর একটি বিমান হামলায় কমপক্ষে দুই পাকিস্তানি সেনার মৃত্যুর ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা বন্ধ করে দেয় ইসলামাবাদ। এর পরই ন্যাটোর তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার ঘটনা বেড়ে যায়। গত বুধবার জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৪০টি ট্যাংকারে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিকে পাকিস্তানি সেনা নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল ডেভিড পেট্রাউসও ওই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৩০ সেপ্টেম্বরের ওই বিমান হামলায় তাদের তিনজন সেনাসদস্য নিহত হন। এতে আফগানিস্তানে রসদ সরবরাহ পথের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা তোরখাম ক্রসিং বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুঃখ প্রকাশের পর তারা আশা করছে, রসদ সরবরাহ শুরুর জন্য পাকিস্তান সীমান্ত এলাকা খুলে দেবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বোল্টজ বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনা ভবিষ্যতে এড়ানোর জন্য আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে লড়াই চালানো দরকার। ওই শত্রু হলো তালেবান এবং বিচ্ছিন্ন হামলা। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ গতকাল দশম বর্ষে পদার্পণ করেছে।’
বিমান হামলায় নিহত ১১: পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে গত বুধবার মার্কিন মানববিহীন (ড্রোন) বিমান থেকে চালানো দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিরানশাহ বাজারের কাছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ছয়জন নিহত ও দুজন আহত হন। একই দিন রাতে আরেকটি হামলায় হুরমাজ গ্রামে পাঁচজন নিহত হন। কর্তৃপক্ষের দাবি, দুই হামলায় নিহতদের সবাই জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য। ন্যাটোর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এঁদের মধ্যে মাওলাউই জাওয়াদুল্লাহ নামের এক তালেবান নেতাও রয়েছেন।
বিমান হামলা অবৈধ: মার্কিন ড্রোন থেকে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কোনো বৈধতা নেই এবং এ বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সমঝোতা হয়নি বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। গতকাল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল বাসিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মনে করি এ ধরনের পদক্ষেপ নেতিবাচক এবং আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। আমরা আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে তাদের নীতি পুনর্বিবেচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘মনুষ্যবিহীন বিমান হামলা খুব বড় ধরনের কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনছে না।’ ২০০৮ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১৪২টি মনুষ্যবিহীন বিমান হামলা চালানো হয়েছে, যাতে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।
No comments