ক্রিকেট-আয়নায় জীবনের ছবি
রথি বড়ুয়া এসেছে বান্দরবানের লামা থেকে। শিউলি, শাহীনূরদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ক্রিকেটার তামিম ইকবালের খেলা এর আগে শুধু টেলিভিশনেই দেখেছে ওরা। কিন্তু ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ঝিরিঝিরে বৃষ্টি মাথায় যখন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ওপেনার এলেন, তখন অটোগ্রাফ নেওয়ার একটা প্রতিযোগিতা লেগে গেল। তামিমের সঙ্গে কেউ নিজের মোবাইলে ছবি তুলতে চাইল, কেউ বা এগিয়ে গিয়ে হাত ছুঁতে চাইল। যখন শুনল তামিম ইকবাল কিছুটা সময় কাটাবেন ওদের সঙ্গে তখন ওদের আনন্দ দেখে কে!
সারা দেশের ২৯টি জেলা থেকে ৪৮ জন কিশোরী এসেছিল স্ট্রিট টোয়েন্টি ক্রিকেটে অংশ নিতে। ব্র্যাক, সিএমইএস (সেন্টার ফর ম্যাস এডুকেশন ইন সায়েন্স), তৈমু, গ্রাউচ, অপরাজেয় বাংলাদেশ ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে ঢাকায় আসা এই কিশোরীদের বেশির ভাগই মফস্বলের। স্ট্রিট টোয়েন্টি ক্রিকেট মূলত আইসিসির ‘ক্যাচ দ্য স্পিরিট’ কর্মসূচির একটা অংশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই ক্রিকেট কর্মসূচির আয়োজন করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘ক্রিকেট ফর চেঞ্জ’। এটি শুরু হয়েছে গত ৪ অক্টোবর, শেষ হবে আজ। কিন্তু বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড আজকের দ্বিতীয় ওয়ানডের কথা মাথায় রেখে আয়োজকেরা গতকালই বাংলাদেশে এর কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন। পাঁচ দিনের এই কর্মশালায় দেশের সুবিধাবঞ্চিত কিশোরীরা শিখেছে কীভাবে ক্রিকেটীয় চেতনা থেকে নিজের জীবনকে উদ্বুদ্ধ করতে হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর টেকনিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শিউলি জানায়, ‘এই কদিন অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের বেশ কয়েকটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে হয়েছে। পাঁচ ওভারের এই ম্যাচগুলোয় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আমরা সবাই অধিনায়কত্ব করেছি।’ ক্রিকেট ম্যাচ দিয়েই যেন পুরো জীবনের সামনের লক্ষ্য নির্ধারণের কথা বুঝিয়ে দিলেন আয়োজকেরা। ইউনিসেফের বাংলাদেশের প্রতিনিধি মিশেল সেন্ট লটের কথার মূল সুর তো তাই, ‘এই মেয়েরা এখান থেকে শিখে গিয়ে তাদের বন্ধু ও সহপাঠীদের খেলাটা শেখাবে। শেখাবে কীভাবে দায়িত্ব নিতে হয়, কীভাবে দ্রুত অথচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এরাই ভবিষ্যতে প্রতিরোধ করবে বাল্যবিবাহ, যৌতুকের মতো ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধির।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের মুখে কর্মসূচিটির প্রশংসা, ‘আমি আসলে জানতাম না এখানে কী হবে। এসেই সবকিছু শুনলাম। উদ্যোগটা খুবই ভালো।’ বাংলাদেশে এসে কদিনে এই কিশোরীদের বেশ আপন করে নিয়েছেন ক্রিকেট ফর চেঞ্জের ডেভেলপমেন্ট অফিসার বেথ ইভানস। এর আগে ভারত ভ্রমণ করা ভদ্রমহিলা বাংলাদেশে এই প্রথম। কর্মশালার মেয়েরা গত পরশু রাতে তাঁর ফরসা হাতে মাখিয়ে দিয়েছেন মেহেদি। মেহেদিরাঙা হাত দেখিয়ে বললেন, ‘খুবই মজার ব্যাপার। রাতে এগুলো মেখে রাখলাম। নকশাগুলো সকালে দেখি লাল রঙে ভরে গেছে।’ তাঁর দাবি, মেহেদির রঙের মতোই মেয়েদের জীবনটা রঙিন করে তুলতে এমন আয়োজন, ‘আমরা চাই, এখান থেকে মেয়েরা যে শিক্ষা নিয়ে যাবে, সেটা যেন সারা জীবন কাজে লাগে।’
সারা দেশের ২৯টি জেলা থেকে ৪৮ জন কিশোরী এসেছিল স্ট্রিট টোয়েন্টি ক্রিকেটে অংশ নিতে। ব্র্যাক, সিএমইএস (সেন্টার ফর ম্যাস এডুকেশন ইন সায়েন্স), তৈমু, গ্রাউচ, অপরাজেয় বাংলাদেশ ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে ঢাকায় আসা এই কিশোরীদের বেশির ভাগই মফস্বলের। স্ট্রিট টোয়েন্টি ক্রিকেট মূলত আইসিসির ‘ক্যাচ দ্য স্পিরিট’ কর্মসূচির একটা অংশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই ক্রিকেট কর্মসূচির আয়োজন করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘ক্রিকেট ফর চেঞ্জ’। এটি শুরু হয়েছে গত ৪ অক্টোবর, শেষ হবে আজ। কিন্তু বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড আজকের দ্বিতীয় ওয়ানডের কথা মাথায় রেখে আয়োজকেরা গতকালই বাংলাদেশে এর কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন। পাঁচ দিনের এই কর্মশালায় দেশের সুবিধাবঞ্চিত কিশোরীরা শিখেছে কীভাবে ক্রিকেটীয় চেতনা থেকে নিজের জীবনকে উদ্বুদ্ধ করতে হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর টেকনিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শিউলি জানায়, ‘এই কদিন অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের বেশ কয়েকটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে হয়েছে। পাঁচ ওভারের এই ম্যাচগুলোয় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আমরা সবাই অধিনায়কত্ব করেছি।’ ক্রিকেট ম্যাচ দিয়েই যেন পুরো জীবনের সামনের লক্ষ্য নির্ধারণের কথা বুঝিয়ে দিলেন আয়োজকেরা। ইউনিসেফের বাংলাদেশের প্রতিনিধি মিশেল সেন্ট লটের কথার মূল সুর তো তাই, ‘এই মেয়েরা এখান থেকে শিখে গিয়ে তাদের বন্ধু ও সহপাঠীদের খেলাটা শেখাবে। শেখাবে কীভাবে দায়িত্ব নিতে হয়, কীভাবে দ্রুত অথচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এরাই ভবিষ্যতে প্রতিরোধ করবে বাল্যবিবাহ, যৌতুকের মতো ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধির।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের মুখে কর্মসূচিটির প্রশংসা, ‘আমি আসলে জানতাম না এখানে কী হবে। এসেই সবকিছু শুনলাম। উদ্যোগটা খুবই ভালো।’ বাংলাদেশে এসে কদিনে এই কিশোরীদের বেশ আপন করে নিয়েছেন ক্রিকেট ফর চেঞ্জের ডেভেলপমেন্ট অফিসার বেথ ইভানস। এর আগে ভারত ভ্রমণ করা ভদ্রমহিলা বাংলাদেশে এই প্রথম। কর্মশালার মেয়েরা গত পরশু রাতে তাঁর ফরসা হাতে মাখিয়ে দিয়েছেন মেহেদি। মেহেদিরাঙা হাত দেখিয়ে বললেন, ‘খুবই মজার ব্যাপার। রাতে এগুলো মেখে রাখলাম। নকশাগুলো সকালে দেখি লাল রঙে ভরে গেছে।’ তাঁর দাবি, মেহেদির রঙের মতোই মেয়েদের জীবনটা রঙিন করে তুলতে এমন আয়োজন, ‘আমরা চাই, এখান থেকে মেয়েরা যে শিক্ষা নিয়ে যাবে, সেটা যেন সারা জীবন কাজে লাগে।’
No comments