বিবেকের কণ্ঠস্বর শুনুন -সুশাসন ও সহনশীলতা গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত
সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান গত বুধবার দ্য স্টেট অব গভর্ন্যান্স অন বাংলাদেশ-২০০৯ প্রতিবেদনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের সমস্যাগুলো তিনি শুধু চিহ্নিতই করেননি, ভবিষ্যৎ পথচলার দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন। আমরা জানি না, যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত আছেন, তাঁরা সাবেক প্রধান বিচারপতির এই প্রবাদতুল্য কথাগুলো আমলে নেবেন কি না?
নানা কারণে আমাদের সমাজে সাহস করে সত্য কথা বলার মানুষ কমে যাচ্ছে। রাষ্ট্র পরিচালকদের ভ্রুকুটি কিংবা পদ-পদবি হারানোর ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে চান না। আবার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের বৃহত্তম অংশ যেহেতু দলীয় রাজনীতির বৃত্তে আবদ্ধ, সেহেতু তাঁদের কথা জনগণের কাছে খুব একটা গুরুত্বও বহন করে না। তবে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বরাবরই ব্যতিক্রম। তিনি কারও মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন না। আমরা স্মরণ করতে পারি, ১৯৯৬ সালে প্রধান উপদেষ্টার পদে থাকতে তিনি কী অসম্ভব বুদ্ধিমত্তা ও সাহসের সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব করে তুলেছিলেন। তাঁর লেখনী, কর্ম ও সাধনা সমাজে আলো ছড়ায়, জনগণকে আশা জাগায়, উদ্দীপ্ত করে তরুণ প্রজন্মকে। অতএব, তাঁর বক্তব্যকে নিছক কল্পনাবিলাস ভাবার কারণ নেই।
বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান যথার্থই বলেছেন, যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি, তার অনেকটাই অপূর্ণ রয়ে গেছে। দেশে এখনো অর্ধেক গ্রামে বিদ্যুৎ না পৌঁছানো, কিংবা ৪০ শতাংশ মানুষের দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস রাষ্ট্রের সামগ্রিক ব্যর্থতার দুটি উদাহরণ মাত্র। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি কীভাবে টেকসই গণতন্ত্রে রূপ দেওয়া যায়, তার পথও বাতলে দিয়েছেন তিনি। গণতন্ত্রের জন্য নিরন্তর অনুশীলন প্রয়োজন। প্রয়োজন দলবাজি, চাঁদাবাজি নিয়োগবাজির পথ পরিহার করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা। গণতন্ত্রের নামে বাজিকরদের হাতে দেশ জিম্মি থাকতে পারেনা।
অতীতের কথা বাদ দিলেও গত দুই দশকের সংসদীয় গণতন্ত্রও রাজনীতিতে সহনশীলতা এবং অন্যের মত শোনার সহিষ্ণুতা প্রায় অনুপস্থিত। গণতন্ত্রের নামে কখনো রাজপথে সহিংসতা ছড়ানো, বোমাবাজি কিংবা বাসে আগুন দেওয়া চলতে পারেনা। গণতন্ত্রের প্রধান লক্ষ্য সুশাসন, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কিংবা দেশবাসীর দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ উপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই; কিন্তু সে জন্য এমন আইন কাম্য নয়, যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে থাকেন। সব গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক সংস্থাগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকে। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব চায় তারা অনুগত থাকবে। এসব যে গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় সেই কথাটিই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মুহম্মদ হাবিবুর রহমান। ক্ষমতাসীন কিংবা ক্ষমতাবহির্ভূত রাজনীতির কশীলবেরা তাঁর এই হুঁশিয়ারি আমলে নিলে দেশ ও জনগণ বেঁচে যাবে, রক্ষা পাবে গণতন্ত্র।a
নানা কারণে আমাদের সমাজে সাহস করে সত্য কথা বলার মানুষ কমে যাচ্ছে। রাষ্ট্র পরিচালকদের ভ্রুকুটি কিংবা পদ-পদবি হারানোর ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে চান না। আবার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের বৃহত্তম অংশ যেহেতু দলীয় রাজনীতির বৃত্তে আবদ্ধ, সেহেতু তাঁদের কথা জনগণের কাছে খুব একটা গুরুত্বও বহন করে না। তবে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বরাবরই ব্যতিক্রম। তিনি কারও মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন না। আমরা স্মরণ করতে পারি, ১৯৯৬ সালে প্রধান উপদেষ্টার পদে থাকতে তিনি কী অসম্ভব বুদ্ধিমত্তা ও সাহসের সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব করে তুলেছিলেন। তাঁর লেখনী, কর্ম ও সাধনা সমাজে আলো ছড়ায়, জনগণকে আশা জাগায়, উদ্দীপ্ত করে তরুণ প্রজন্মকে। অতএব, তাঁর বক্তব্যকে নিছক কল্পনাবিলাস ভাবার কারণ নেই।
বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান যথার্থই বলেছেন, যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি, তার অনেকটাই অপূর্ণ রয়ে গেছে। দেশে এখনো অর্ধেক গ্রামে বিদ্যুৎ না পৌঁছানো, কিংবা ৪০ শতাংশ মানুষের দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস রাষ্ট্রের সামগ্রিক ব্যর্থতার দুটি উদাহরণ মাত্র। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি কীভাবে টেকসই গণতন্ত্রে রূপ দেওয়া যায়, তার পথও বাতলে দিয়েছেন তিনি। গণতন্ত্রের জন্য নিরন্তর অনুশীলন প্রয়োজন। প্রয়োজন দলবাজি, চাঁদাবাজি নিয়োগবাজির পথ পরিহার করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা। গণতন্ত্রের নামে বাজিকরদের হাতে দেশ জিম্মি থাকতে পারেনা।
অতীতের কথা বাদ দিলেও গত দুই দশকের সংসদীয় গণতন্ত্রও রাজনীতিতে সহনশীলতা এবং অন্যের মত শোনার সহিষ্ণুতা প্রায় অনুপস্থিত। গণতন্ত্রের নামে কখনো রাজপথে সহিংসতা ছড়ানো, বোমাবাজি কিংবা বাসে আগুন দেওয়া চলতে পারেনা। গণতন্ত্রের প্রধান লক্ষ্য সুশাসন, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কিংবা দেশবাসীর দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ উপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই; কিন্তু সে জন্য এমন আইন কাম্য নয়, যাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে থাকেন। সব গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক সংস্থাগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকে। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব চায় তারা অনুগত থাকবে। এসব যে গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় সেই কথাটিই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মুহম্মদ হাবিবুর রহমান। ক্ষমতাসীন কিংবা ক্ষমতাবহির্ভূত রাজনীতির কশীলবেরা তাঁর এই হুঁশিয়ারি আমলে নিলে দেশ ও জনগণ বেঁচে যাবে, রক্ষা পাবে গণতন্ত্র।a
No comments