তেল ছড়িয়ে পড়া বন্ধে পরমাণু বোমা
মেক্সিকো উপসাগরে দুর্ঘটনাকবলিত মার্কিন তেলক্ষেত্রটি থেকে দুই মাসের বেশি সময় ধরে তেল বেরিয়ে আসছে। তেল বেরিয়ে আসা বন্ধে তেলক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম (বিপি) এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তবে এখনো হাল ছাড়েনি তারা। আর তাদের জন্য নতুন বিকল্প হিসেবে বিজ্ঞানীরা এবার পরমাণু বোমা ব্যবহার করার কথা বলছেন।
রাশিয়ার ইনস্টিটিউট অব স্ট্রাটেজিক স্ট্যাবিলিটির একজন পরিচালক ভিক্তর মিখাইলোভ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, বিপি কী জন্য অপেক্ষা করছে? একটি পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ তেলক্ষেত্রের ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে। মাত্র ১০ কিলোটন ক্ষমতার একটি বোমার বিস্ফোরণই যথেষ্ট।’
কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোতে তেলক্ষেত্রের ছিদ্র বন্ধ করার জন্য পরমাণু বোমা ব্যবহারের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণ চলছে। তবে ওয়াশিংটন বরাবরই এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে এবং বিপিও বলছে, তারা কোনো বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা বিবেচনায় আনছে না। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত তেলক্ষেত্রটি থেকে দিনে ৬০ হাজার ব্যারেল তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়ার কারণে চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতির আশঙ্কা বেড়েই চলছে।
অনেকেই মনে করছেন, পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর মাধ্যমে সবচেয়ে ভালোভাবে তেলক্ষেত্রটির ছিদ্র ও তেল নিঃসরণ বন্ধ করা সম্ভব। ভিক্তর মিখাইলোভ রাশিয়ায় এ ধরনের একটি কর্মসূচিতে জড়িতও ছিলেন। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কর্তৃপক্ষ একটি গ্যাসক্ষেত্রের ছিদ্র বন্ধ করতে পরমাণু বিস্ফোরণ ব্যবহার করেছিল।
মিখাইলোভ জানান, মেক্সিকো উপসাগরের গভীরে একটি পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো তেমন কোনো ক্ষতির কারণ হবে না। আর এতে খরচ হবে এক কোটি ডলারের কিছু বেশি। সাগর থেকে তেল অপসারণ ও ক্ষতিপূরণে বিপির এ পর্যন্ত খরচ হওয়া ২৩৫ কোটি ডলারের তুলনায় এই ব্যয় অনেক কম।
১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী মিলো নরদিকেও বলেছেন, তেল নিঃসরণ বন্ধে বিপি ও সরকারের জন্য পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোই সর্বশেষ যৌক্তিক উপায়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রশাসনের সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ম্যাথিউ সিমন্সও এই পদ্ধতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। পরমাণু বোমার ব্যবহারকে সমর্থন জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও।
কিন্তু খুব শিগগির মেক্সিকো উপসাগরে পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা নেই। এমনকি প্রচলিত বিস্ফোরক ব্যবহার করার কথাও ভাবছে না বিপি বা মার্কিন প্রশাসন। আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা অ্যান্ডি র্যাডফোর্ড আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের কোনো উদ্যোগ পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। এ ছাড়া সময়ের প্রশ্নও রয়েছে। একটি পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রস্তুতির জন্য ছয় মাস সময় লেগে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিপি আগস্টের মধ্যে বিকল্প কূপ খননের মাধ্যমে যে পদ্ধতিতে তেল বেরিয়ে আসা বন্ধের পরিকল্পনা করেছে, সেটিই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি।
রাশিয়ার ইনস্টিটিউট অব স্ট্রাটেজিক স্ট্যাবিলিটির একজন পরিচালক ভিক্তর মিখাইলোভ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, বিপি কী জন্য অপেক্ষা করছে? একটি পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ তেলক্ষেত্রের ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে। মাত্র ১০ কিলোটন ক্ষমতার একটি বোমার বিস্ফোরণই যথেষ্ট।’
কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোতে তেলক্ষেত্রের ছিদ্র বন্ধ করার জন্য পরমাণু বোমা ব্যবহারের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণ চলছে। তবে ওয়াশিংটন বরাবরই এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে এবং বিপিও বলছে, তারা কোনো বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা বিবেচনায় আনছে না। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত তেলক্ষেত্রটি থেকে দিনে ৬০ হাজার ব্যারেল তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়ার কারণে চরম বিপর্যয়কর পরিস্থিতির আশঙ্কা বেড়েই চলছে।
অনেকেই মনে করছেন, পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর মাধ্যমে সবচেয়ে ভালোভাবে তেলক্ষেত্রটির ছিদ্র ও তেল নিঃসরণ বন্ধ করা সম্ভব। ভিক্তর মিখাইলোভ রাশিয়ায় এ ধরনের একটি কর্মসূচিতে জড়িতও ছিলেন। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কর্তৃপক্ষ একটি গ্যাসক্ষেত্রের ছিদ্র বন্ধ করতে পরমাণু বিস্ফোরণ ব্যবহার করেছিল।
মিখাইলোভ জানান, মেক্সিকো উপসাগরের গভীরে একটি পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো তেমন কোনো ক্ষতির কারণ হবে না। আর এতে খরচ হবে এক কোটি ডলারের কিছু বেশি। সাগর থেকে তেল অপসারণ ও ক্ষতিপূরণে বিপির এ পর্যন্ত খরচ হওয়া ২৩৫ কোটি ডলারের তুলনায় এই ব্যয় অনেক কম।
১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী মিলো নরদিকেও বলেছেন, তেল নিঃসরণ বন্ধে বিপি ও সরকারের জন্য পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোই সর্বশেষ যৌক্তিক উপায়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রশাসনের সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ম্যাথিউ সিমন্সও এই পদ্ধতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। পরমাণু বোমার ব্যবহারকে সমর্থন জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও।
কিন্তু খুব শিগগির মেক্সিকো উপসাগরে পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা নেই। এমনকি প্রচলিত বিস্ফোরক ব্যবহার করার কথাও ভাবছে না বিপি বা মার্কিন প্রশাসন। আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা অ্যান্ডি র্যাডফোর্ড আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের কোনো উদ্যোগ পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। এ ছাড়া সময়ের প্রশ্নও রয়েছে। একটি পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রস্তুতির জন্য ছয় মাস সময় লেগে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিপি আগস্টের মধ্যে বিকল্প কূপ খননের মাধ্যমে যে পদ্ধতিতে তেল বেরিয়ে আসা বন্ধের পরিকল্পনা করেছে, সেটিই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি।
No comments