সন্ত্রাস দমনে জাতীয় সম্মেলন করবে পাকিস্তান সরকার
সন্ত্রাস দমনে জাতীয় সম্মেলন করবে পাকিস্তান সরকার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি এ সম্মেলন করতে রাজি হয়েছেন। জঙ্গিবাদ নির্মূলে তালেবান নেতাদের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় বসা উচিত—প্রধান বিরোধী দলের এমন পরামর্শের পর তিনি এ মত দিয়েছেন।
সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, লাহোরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার দুই দিন পর গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী গিলানি সন্ত্রাস দমনে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এর মধ্য দিয়ে সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের প্রধান দুই দলের মধ্যে বিরল মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হলো।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গিলানি ও বিরোধী নেতা নওয়াজ শরিফ সন্ত্রাস দমন নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। তবে এ আলোচনায় তালেবান নেতাদের আহ্বান জানানো হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে বিবৃতিতে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
লাহোরে আত্মঘাতী হামলার পর ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জঙ্গিবাদ দমনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একসময় এ জঙ্গিদের সমর্থন করত। পরে এসব জঙ্গি তালেবানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাষ্ট্র-বিরোধী তৎপরতা চালানো শুরু করে।
বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন পার্টি পাঞ্জাব নিয়ন্ত্রণ করছে। দলটির প্রধান নওয়াজ শরিফ শনিবার তালেবান নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য তালেবান নেতারা প্রস্তুত।
তবে কোন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি নওয়াজ। পাকিস্তানে এ মুহূর্তে প্রচুর সংখ্যক জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে। তারা প্রায়ই একজোট হয়ে কাজ করে। আবার মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে তৎপরতা চালায়।
পাকিস্তান সরকার অতীতে আফগান সীমান্তবর্তী তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছে। কিন্তু এ চুক্তি বেশি দিন টেকেনি। পরবর্তী সময়ে জঙ্গিরা আবার সংগঠিত হয় এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
এদিকে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জঙ্গি হামলা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার দারা আদম খেল এলাকায় রাস্তার পাশে পেঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে একটি গাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এতে দুজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়। ওই গাড়িতে তালেবান-বিরোধী মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্য ছিল।
এ হামলার দায়দায়িত্ব তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি। তবে সন্দেহের তীর তালেবানের দিকেই ছুড়েছেন কর্মকর্তারা।
সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, লাহোরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার দুই দিন পর গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী গিলানি সন্ত্রাস দমনে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এর মধ্য দিয়ে সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের প্রধান দুই দলের মধ্যে বিরল মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হলো।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গিলানি ও বিরোধী নেতা নওয়াজ শরিফ সন্ত্রাস দমন নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। তবে এ আলোচনায় তালেবান নেতাদের আহ্বান জানানো হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে বিবৃতিতে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
লাহোরে আত্মঘাতী হামলার পর ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জঙ্গিবাদ দমনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একসময় এ জঙ্গিদের সমর্থন করত। পরে এসব জঙ্গি তালেবানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাষ্ট্র-বিরোধী তৎপরতা চালানো শুরু করে।
বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন পার্টি পাঞ্জাব নিয়ন্ত্রণ করছে। দলটির প্রধান নওয়াজ শরিফ শনিবার তালেবান নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য তালেবান নেতারা প্রস্তুত।
তবে কোন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি নওয়াজ। পাকিস্তানে এ মুহূর্তে প্রচুর সংখ্যক জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে। তারা প্রায়ই একজোট হয়ে কাজ করে। আবার মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে তৎপরতা চালায়।
পাকিস্তান সরকার অতীতে আফগান সীমান্তবর্তী তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছে। কিন্তু এ চুক্তি বেশি দিন টেকেনি। পরবর্তী সময়ে জঙ্গিরা আবার সংগঠিত হয় এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
এদিকে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জঙ্গি হামলা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার দারা আদম খেল এলাকায় রাস্তার পাশে পেঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে একটি গাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এতে দুজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়। ওই গাড়িতে তালেবান-বিরোধী মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্য ছিল।
এ হামলার দায়দায়িত্ব তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি। তবে সন্দেহের তীর তালেবানের দিকেই ছুড়েছেন কর্মকর্তারা।
No comments