মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগ বাড়ানোই মূল চ্যালেঞ্জ
আন্তর্জাতিক বাজারে এখন চালের দাম তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী সরবরাহ বাড়ায় চালের দাম কমে গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের যখন এই পরিস্থিতি, সে সময় দেশের মধ্যে বাড়ছে চালের দাম। বোরোর নতুন চাল বাজারে আসা শুরু হলেও চালের দাম কমেনি। তিন টাকা উৎসাহ মূল্য দেওয়ার ঘোষণায় বাজার আরেকটু অস্থির হয়েছে। বলা যায়, নতুন অর্থবছর শুরু হলো অস্থির চালের বাজার নিয়ে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেই এখন দেখা হচ্ছে ২০১০-১১ অর্থবছরের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে। এর পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়ানো অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। আর এ জন্য বাড়াতে হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় এ দুই চ্যালেঞ্জের কথা বারবারই বলেছেন।
খরচের অর্থবছর: ১ জুলাই শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরে সরকারকে খরচ করতে হবে এক লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। হিসাবটা এ রকম: বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, রাজস্ব বাজেট থেকে অর্থায়নকৃত উন্নয়ন কর্মসূচি এক হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা এবং এডিপি-বহির্ভূত প্রকল্প এক হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। বাকি অর্থের পুরোটাই অনুন্নয়ন ব্যয়, যার বড় অংশ যাবে বেতন-ভাতা, সুদ পরিশোধ এবং ভর্তুকি ও চলতি স্থানান্তর ব্যয় খাতে।
অনুন্নয়ন বা রাজস্ব বাজেট সরকার অনায়াসেই খরচ করতে পারবে। কিন্তু বড় সমস্যা উন্নয়ন ব্যয়ের ক্ষেত্রে। অর্থমন্ত্রী এবার আগের অর্থবছরের তুলনায় অনুন্নয়ন বাজেট বাড়িয়েছেন ১৪ দশমিক ২ শতাংশ এবং উন্নয়ন ব্যয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ১ শতাংশ। যেকোনো অর্থবছরের হিসাবেই এটি একটি রেকর্ড। সুতরাং অর্থমন্ত্রীর জন্য নতুন অর্থবছরে বড় চ্যালেঞ্জ এই এডিপি বাস্তবায়ন।
গত অর্থবছরের মূল এডিপি ছিল সাড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকার। এটি সংশোধন করে করা হয়েছে ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত এটিও খরচ হবে না। ফলে প্রকৃত পক্ষে এডিপি বাড়ানো হয়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি।
জ্বালানিসংকটের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ প্রায় স্থবির হয়ে আছে। এ অবস্থায় সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি অতি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। আবার কয়েক বছর ধরেই মোট দেশজ উৎপাদনের তুলনায় (জিডিপি) সরকারি বিনিয়োগের হার ক্রমাগতভাবে কমে আসছে। ২০০২-০৩ অর্থবছরেও যেটি ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ, তা এখন ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ।
২০০২-০৩ অর্থবছরে জিডিপির তুলনায় মোট বিনিয়োগের হার ছিল ২৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। পরের অর্থবছর বেড়ে হয় ২৪ দশমিক ০২ শতাংশ। সেই যে বিনিয়োগের হার ২৪ শতাংশ হলো, এখনো তা ২৪ শতাংশের মধ্যেই রয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছর নাগাদ তাঁর লক্ষ্য এই বিনিয়োগ ৩২ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। আর তা করতে হলে কাজ শুরু করতে হবে এই অর্থবছর থেকেই। এটাই এখন অর্থমন্ত্রীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
গত অর্থবছর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বা পিপিপি। সেটি করা হয়নি। অর্থমন্ত্রী আবার নতুন করে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন। এই পিপিপিকে এগিয়ে নেওয়ার ওপরই অনেকখানি নির্ভর করছে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্য অর্জন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে নানা শঙ্কা: নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আওয়ামী লীগের পাঁচটি প্রধান অগ্রাধিকারের প্রথমটিই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। ইশতেহারে বলা হয়েছে, দ্রব্যমূল্যের দুঃসহ চাপ প্রশমনের লক্ষ্যে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা করা হবে। দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সময়মতো আমদানির সুবন্দোবস্ত, বাজার পর্যবেক্ষণসহ বহুমুখী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মজুদদারি ও মুনাফাখোরি সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হবে, চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। ভোক্তাদের স্বার্থে ভোগ্যপণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলা হবে। সর্বোপরি সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য কমানো হবে ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বিদায়ী অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রীর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ছয় শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সর্বশেষ মার্চ মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে। মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। জুন শেষে কত হয়েছে, তা জানা যাবে আরও পরে। তবে সাত শতাংশের ওপরে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর ওপর চলতি অর্থবছরে অর্থমন্ত্রীর প্রাক্কলন মূল্যস্ফীতি হবে আরও সাড়ে ছয় শতাংশ। সুতরাং নতুন অর্থবছরেও এ নিয়ে ভালো কোনো সংবাদ নেই বলা যায়। তার ওপর আবার অর্থমন্ত্রী ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা সেই আগের স্তরেই রেখে দিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিই হয়তো ১৮ থেকে ২০ লাখ মানুষকে খানিকটা খুশি করবে।
কর আদায়ের অর্থবছর: কয়েক অর্থবছরের মধ্যে এবারের বাজেটেই করসংক্রান্ত সবচেয়ে বেশি পদক্ষেপ অর্থমন্ত্রী নিয়েছেন। এর মধ্যে কিছু প্রত্যাহার করা হলেও পরিস্থিতির বড় ধরনের হেরফের হয়নি। এবার মানুষকে কর দিতে হবে ৯২ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বড় অংশই মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট।
এবার অর্থমন্ত্রী ভ্যাটের ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন। আবার বাড়িয়েছেন উৎসে আয়করের হার। ফলে এ ক্ষেত্রে রাজস্ব আদায় বাড়বে। তবে এতে বাজারের ওপর কী প্রভাব ফেলে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, নতুন বাজেটের কর প্রস্তাবের কারণে মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব পড়তে পারে। সুতরাং একদিকে কর আদায় আবার অন্যদিকে এর বিরূপ প্রভাব থেকে সাধারণ ও সীমিত আয়ের মানুষকে রক্ষা করাই হবে অর্থমন্ত্রীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
আন্তর্জাতিক বাজারের যখন এই পরিস্থিতি, সে সময় দেশের মধ্যে বাড়ছে চালের দাম। বোরোর নতুন চাল বাজারে আসা শুরু হলেও চালের দাম কমেনি। তিন টাকা উৎসাহ মূল্য দেওয়ার ঘোষণায় বাজার আরেকটু অস্থির হয়েছে। বলা যায়, নতুন অর্থবছর শুরু হলো অস্থির চালের বাজার নিয়ে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেই এখন দেখা হচ্ছে ২০১০-১১ অর্থবছরের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে। এর পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়ানো অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। আর এ জন্য বাড়াতে হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় এ দুই চ্যালেঞ্জের কথা বারবারই বলেছেন।
খরচের অর্থবছর: ১ জুলাই শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরে সরকারকে খরচ করতে হবে এক লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। হিসাবটা এ রকম: বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, রাজস্ব বাজেট থেকে অর্থায়নকৃত উন্নয়ন কর্মসূচি এক হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা এবং এডিপি-বহির্ভূত প্রকল্প এক হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। বাকি অর্থের পুরোটাই অনুন্নয়ন ব্যয়, যার বড় অংশ যাবে বেতন-ভাতা, সুদ পরিশোধ এবং ভর্তুকি ও চলতি স্থানান্তর ব্যয় খাতে।
অনুন্নয়ন বা রাজস্ব বাজেট সরকার অনায়াসেই খরচ করতে পারবে। কিন্তু বড় সমস্যা উন্নয়ন ব্যয়ের ক্ষেত্রে। অর্থমন্ত্রী এবার আগের অর্থবছরের তুলনায় অনুন্নয়ন বাজেট বাড়িয়েছেন ১৪ দশমিক ২ শতাংশ এবং উন্নয়ন ব্যয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ১ শতাংশ। যেকোনো অর্থবছরের হিসাবেই এটি একটি রেকর্ড। সুতরাং অর্থমন্ত্রীর জন্য নতুন অর্থবছরে বড় চ্যালেঞ্জ এই এডিপি বাস্তবায়ন।
গত অর্থবছরের মূল এডিপি ছিল সাড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকার। এটি সংশোধন করে করা হয়েছে ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত এটিও খরচ হবে না। ফলে প্রকৃত পক্ষে এডিপি বাড়ানো হয়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি।
জ্বালানিসংকটের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ প্রায় স্থবির হয়ে আছে। এ অবস্থায় সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি অতি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। আবার কয়েক বছর ধরেই মোট দেশজ উৎপাদনের তুলনায় (জিডিপি) সরকারি বিনিয়োগের হার ক্রমাগতভাবে কমে আসছে। ২০০২-০৩ অর্থবছরেও যেটি ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ, তা এখন ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ।
২০০২-০৩ অর্থবছরে জিডিপির তুলনায় মোট বিনিয়োগের হার ছিল ২৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। পরের অর্থবছর বেড়ে হয় ২৪ দশমিক ০২ শতাংশ। সেই যে বিনিয়োগের হার ২৪ শতাংশ হলো, এখনো তা ২৪ শতাংশের মধ্যেই রয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছর নাগাদ তাঁর লক্ষ্য এই বিনিয়োগ ৩২ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। আর তা করতে হলে কাজ শুরু করতে হবে এই অর্থবছর থেকেই। এটাই এখন অর্থমন্ত্রীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
গত অর্থবছর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বা পিপিপি। সেটি করা হয়নি। অর্থমন্ত্রী আবার নতুন করে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন। এই পিপিপিকে এগিয়ে নেওয়ার ওপরই অনেকখানি নির্ভর করছে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্য অর্জন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে নানা শঙ্কা: নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আওয়ামী লীগের পাঁচটি প্রধান অগ্রাধিকারের প্রথমটিই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। ইশতেহারে বলা হয়েছে, দ্রব্যমূল্যের দুঃসহ চাপ প্রশমনের লক্ষ্যে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা করা হবে। দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সময়মতো আমদানির সুবন্দোবস্ত, বাজার পর্যবেক্ষণসহ বহুমুখী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মজুদদারি ও মুনাফাখোরি সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হবে, চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। ভোক্তাদের স্বার্থে ভোগ্যপণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলা হবে। সর্বোপরি সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য কমানো হবে ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বিদায়ী অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রীর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ছয় শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সর্বশেষ মার্চ মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে। মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। জুন শেষে কত হয়েছে, তা জানা যাবে আরও পরে। তবে সাত শতাংশের ওপরে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর ওপর চলতি অর্থবছরে অর্থমন্ত্রীর প্রাক্কলন মূল্যস্ফীতি হবে আরও সাড়ে ছয় শতাংশ। সুতরাং নতুন অর্থবছরেও এ নিয়ে ভালো কোনো সংবাদ নেই বলা যায়। তার ওপর আবার অর্থমন্ত্রী ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা সেই আগের স্তরেই রেখে দিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিই হয়তো ১৮ থেকে ২০ লাখ মানুষকে খানিকটা খুশি করবে।
কর আদায়ের অর্থবছর: কয়েক অর্থবছরের মধ্যে এবারের বাজেটেই করসংক্রান্ত সবচেয়ে বেশি পদক্ষেপ অর্থমন্ত্রী নিয়েছেন। এর মধ্যে কিছু প্রত্যাহার করা হলেও পরিস্থিতির বড় ধরনের হেরফের হয়নি। এবার মানুষকে কর দিতে হবে ৯২ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বড় অংশই মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট।
এবার অর্থমন্ত্রী ভ্যাটের ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন। আবার বাড়িয়েছেন উৎসে আয়করের হার। ফলে এ ক্ষেত্রে রাজস্ব আদায় বাড়বে। তবে এতে বাজারের ওপর কী প্রভাব ফেলে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, নতুন বাজেটের কর প্রস্তাবের কারণে মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব পড়তে পারে। সুতরাং একদিকে কর আদায় আবার অন্যদিকে এর বিরূপ প্রভাব থেকে সাধারণ ও সীমিত আয়ের মানুষকে রক্ষা করাই হবে অর্থমন্ত্রীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
No comments