গুজব ও বিশৃঙ্খলা -রতিবাদ জানানোর শান্তিপূর্ণ পন্থা আছে
গত শনিবার বিকেলে গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় উত্তেজিত কিছু মানুষ ঢাকা বাইপাস সড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে যেভাবে শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে, তা এককথায় চরম দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক। বিভিন্ন সময় সড়ক অবরোধ বা গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা যে এ দেশে ঘটে না, তা নয়; কিন্তু সেসবের পেছনে কিছু না কিছু কারণ, নিদেনপক্ষে অজুহাত থাকে। কিন্তু শনিবারের ঘটনার পেছনে ছিল বিশুদ্ধ গুজব। দৃশ্যত প্রতীয়মান, এ গুজব কোনো স্বার্থান্বেষী মহল থেকে পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হয়েছে।
গুজব ছড়ানো হয়েছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘গাজীপুর উপশহর প্রকল্প’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে। এতে স্থানীয় জনগণের একাংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়কে নেমে যানবাহন ভাঙচুর করেছে, তাদের সৃষ্ট অবরোধের ফলে উত্তরবঙ্গ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের অন্তত ৪০টি রুটের যানবাহন আটকা পড়ে যায়। অথচ রাজউকের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে বলা হয়েছে, গাজীপুর উপশহর প্রকল্প নামে কোনো প্রকল্পের অস্তিত্বই নেই।
গাজীপুর-১ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতাও শনিবার সেখানকার জনসমাবেশে বলেছেন, রাজউকের কথিত উপশহর প্রকল্প বাতিল হয়ে গেছে। সরকারদলীয় দুজন সাংসদ ছাড়াও ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আরও কিছু নেতা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররাও। এমন একটি সমাবেশের লোকজন শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে পুরো এলাকায় ত্রাস সঞ্চার করল—এর দায় কি দুজন সাংসদের ওপরে একটুও বর্তায় না?
সমাবেশের বিক্ষুব্ধ লোকজন একপর্যায়ে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, এমনকি তারা কারখানাটিতে আগুনও ধরিয়ে দেয়। মহাসড়ক অবরোধ, নির্বিচারে যানবাহন ভাঙচুর, পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া এবং কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া—এগুলোর প্রতিটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। গত ২৭ জুন বিএনপির হরতালের আগের রাত ও হরতালের সময় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি ঘটনার বিষয়ে সরকার যে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে, শনিবারের গাজীপুরের ঘটনায়ও একই রকম আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
কথিত ‘উপশহর প্রকল্প’ ছাড়াও রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শনিবারের ওই সমাবেশ ডাকা হয়েছিল বলে খবরে প্রকাশ। সরকারের যেকোনো পরিকল্পনার প্রতিবাদ অবশ্যই করা যায়, কিন্তু তা করতে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে নির্বিচারে যানবাহন ভাঙচুর করা, জনজীবনে ত্রাস সৃষ্টি করার মতো হঠকারিতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
রাজউক কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে ড্যাপ প্রকাশ করেছে এবং সে পরিকল্পনার কোনো অংশ নিয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে রাজউক তা শুনতে এবং বিবেচনা করতে প্রস্তুত। তাই ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে প্রতিবাদের নামে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদি দুর্বৃত্তপনায় লিপ্ত হওয়া বা নিরীহ জনসাধারণকে উসকে দেওয়া পুরোপুরি দুরভিসন্ধিমূলক। এ ধরনের তৎপরতা কঠোর হাতে দমন করা সরকারের দায়িত্ব। জানা গেল, শনিবারের ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করেছে, তিনজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। আমরা আশা করব, এ মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গুজব ছড়ানো হয়েছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘গাজীপুর উপশহর প্রকল্প’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে। এতে স্থানীয় জনগণের একাংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়কে নেমে যানবাহন ভাঙচুর করেছে, তাদের সৃষ্ট অবরোধের ফলে উত্তরবঙ্গ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের অন্তত ৪০টি রুটের যানবাহন আটকা পড়ে যায়। অথচ রাজউকের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে বলা হয়েছে, গাজীপুর উপশহর প্রকল্প নামে কোনো প্রকল্পের অস্তিত্বই নেই।
গাজীপুর-১ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতাও শনিবার সেখানকার জনসমাবেশে বলেছেন, রাজউকের কথিত উপশহর প্রকল্প বাতিল হয়ে গেছে। সরকারদলীয় দুজন সাংসদ ছাড়াও ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আরও কিছু নেতা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররাও। এমন একটি সমাবেশের লোকজন শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে পুরো এলাকায় ত্রাস সঞ্চার করল—এর দায় কি দুজন সাংসদের ওপরে একটুও বর্তায় না?
সমাবেশের বিক্ষুব্ধ লোকজন একপর্যায়ে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, এমনকি তারা কারখানাটিতে আগুনও ধরিয়ে দেয়। মহাসড়ক অবরোধ, নির্বিচারে যানবাহন ভাঙচুর, পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া এবং কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া—এগুলোর প্রতিটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। গত ২৭ জুন বিএনপির হরতালের আগের রাত ও হরতালের সময় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি ঘটনার বিষয়ে সরকার যে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে, শনিবারের গাজীপুরের ঘটনায়ও একই রকম আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
কথিত ‘উপশহর প্রকল্প’ ছাড়াও রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শনিবারের ওই সমাবেশ ডাকা হয়েছিল বলে খবরে প্রকাশ। সরকারের যেকোনো পরিকল্পনার প্রতিবাদ অবশ্যই করা যায়, কিন্তু তা করতে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে নির্বিচারে যানবাহন ভাঙচুর করা, জনজীবনে ত্রাস সৃষ্টি করার মতো হঠকারিতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
রাজউক কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে ড্যাপ প্রকাশ করেছে এবং সে পরিকল্পনার কোনো অংশ নিয়ে কারও কোনো আপত্তি থাকলে রাজউক তা শুনতে এবং বিবেচনা করতে প্রস্তুত। তাই ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে প্রতিবাদের নামে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদি দুর্বৃত্তপনায় লিপ্ত হওয়া বা নিরীহ জনসাধারণকে উসকে দেওয়া পুরোপুরি দুরভিসন্ধিমূলক। এ ধরনের তৎপরতা কঠোর হাতে দমন করা সরকারের দায়িত্ব। জানা গেল, শনিবারের ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করেছে, তিনজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। আমরা আশা করব, এ মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
No comments