ব্রাজিলের এমন ফেরা
কখন থামবে বিমান? কখন নেমে আসবেন খেলোয়াড়েরা? রিও ডি জেনিরোর বিমানবন্দরে অপেক্ষা করে ছিলেন অনেকেই। কাকা-রবিনহোদের জন্য ব্রাজিলিয়ানদের এই অপেক্ষার মধ্যে ভালোবাসা যতটা না ছিল, তার চেয়ে বেশি ছিল ক্ষোভ। দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে যাত্রার আগে যাঁদের ভালোবাসা আর শুভকামনা জানিয়ে বিদায় দিয়েছিল ব্রাজিলের মানুষ, কাল এসেছিল তাঁদের ধিক্কার জানাতে। বিশ্বকাপ থেকে ব্রাজিলের এমন বিদায়টা মেনে নিতে পারেনি তারা।
বিমান থামল রিওর বিমানবন্দরে। একে একে নেমে এলেন কাকা-রবিনহোরা। বেরিয়ে এলেন ফেলিপে মেলো-জিলবার্তো সিলভারা। বেরিয়ে এলেন তাঁরা পুলিশি পাহারায়। পুলিশ কেবল অপেক্ষমাণ মানুষদেরই আটকে রাখতে পেরেছিল, দূরে রাখতে পেরেছিল। তাদের ক্ষোভ আর ধিক্কারের ভাষাকে আটকে রাখতে পারেনি। তাই তো মেলো-জিলবার্তোরা বেরিয়ে আসতেই তাঁদের দিকে ছুটে গেল ধিক্কার আর অপমানমূলক কথা। মুখ লুকিয়ে, পেছন দরজা দিয়ে চুপিসারে বিমানবন্দর ছেড়ে গেলেন সবাই। এমন বাড়ি ফেরা আর কবে যে ফিরেছে ব্রাজিল!
বিমানবন্দরে যাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি চটেছে মেলোর ওপর। যাঁর মাথা ছুঁয়ে হয়েছিল ওয়েসলি স্নাইডারের হল্যান্ডকে সমতায় ফেরানো গোলটি। যিনি ব্রাজিলকে আরও লজ্জায় ডুবিয়েছেন লালকার্ড দেখে। পুলিশের কড়া পাহারায় দৌড়ে দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠেছেন মেলো। তাঁর বাবা গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন বিমানবন্দর থেকে খানিক দূরে।
তবে গোলরক্ষক হুলিও সিজারের প্রতি তুলনামূলক নরমই ছিল ওই মানুষেরা। হয়তো হল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ের পর তাঁর শিশুর মতো কান্না ছুঁয়ে গেছে পুরো ব্রাজিলকেই। এ কারণেই কি না কে জানে, হুলিও সিজারকে উদ্দেশ করে কিছু বলেনি বিমানবন্দরে যাওয়া মানুষেরা। বিমানবন্দরে সবার পক্ষ থেকে কথাও বলেছেন শুধুই তিনি।
সিজারকে নিতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তাঁর মা। মায়ের সঙ্গে গাড়িতে ওঠার আগে সিজার বলে গেলেন, ‘আমি খুব আবেগপ্রবণ। ব্রাজিলের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই আমি। সাড়ে তিন বছরের কাজের ফল এটা।’
কথা বললেন আরও একজন। তিনি ব্রাজিল দলের ডাক্তার রুনকো। তিনি দিয়ে গেছেন কাকার নিজের ছায়া হয়ে থাকার ব্যাখ্যা, ‘কাকা আসলে খেলার জন্য পুরো ফিট ছিল না।
বিমান থামল রিওর বিমানবন্দরে। একে একে নেমে এলেন কাকা-রবিনহোরা। বেরিয়ে এলেন ফেলিপে মেলো-জিলবার্তো সিলভারা। বেরিয়ে এলেন তাঁরা পুলিশি পাহারায়। পুলিশ কেবল অপেক্ষমাণ মানুষদেরই আটকে রাখতে পেরেছিল, দূরে রাখতে পেরেছিল। তাদের ক্ষোভ আর ধিক্কারের ভাষাকে আটকে রাখতে পারেনি। তাই তো মেলো-জিলবার্তোরা বেরিয়ে আসতেই তাঁদের দিকে ছুটে গেল ধিক্কার আর অপমানমূলক কথা। মুখ লুকিয়ে, পেছন দরজা দিয়ে চুপিসারে বিমানবন্দর ছেড়ে গেলেন সবাই। এমন বাড়ি ফেরা আর কবে যে ফিরেছে ব্রাজিল!
বিমানবন্দরে যাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি চটেছে মেলোর ওপর। যাঁর মাথা ছুঁয়ে হয়েছিল ওয়েসলি স্নাইডারের হল্যান্ডকে সমতায় ফেরানো গোলটি। যিনি ব্রাজিলকে আরও লজ্জায় ডুবিয়েছেন লালকার্ড দেখে। পুলিশের কড়া পাহারায় দৌড়ে দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠেছেন মেলো। তাঁর বাবা গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন বিমানবন্দর থেকে খানিক দূরে।
তবে গোলরক্ষক হুলিও সিজারের প্রতি তুলনামূলক নরমই ছিল ওই মানুষেরা। হয়তো হল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ের পর তাঁর শিশুর মতো কান্না ছুঁয়ে গেছে পুরো ব্রাজিলকেই। এ কারণেই কি না কে জানে, হুলিও সিজারকে উদ্দেশ করে কিছু বলেনি বিমানবন্দরে যাওয়া মানুষেরা। বিমানবন্দরে সবার পক্ষ থেকে কথাও বলেছেন শুধুই তিনি।
সিজারকে নিতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তাঁর মা। মায়ের সঙ্গে গাড়িতে ওঠার আগে সিজার বলে গেলেন, ‘আমি খুব আবেগপ্রবণ। ব্রাজিলের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই আমি। সাড়ে তিন বছরের কাজের ফল এটা।’
কথা বললেন আরও একজন। তিনি ব্রাজিল দলের ডাক্তার রুনকো। তিনি দিয়ে গেছেন কাকার নিজের ছায়া হয়ে থাকার ব্যাখ্যা, ‘কাকা আসলে খেলার জন্য পুরো ফিট ছিল না।
No comments