মূসক প্রত্যাহার করে ৪ শতাংশ টার্নওভার কর বসানোর দাবি
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে দেশীয়ভাবে তৈরি যন্ত্রপাতি দিয়ে পিভিসি পাইপ প্রস্তুতকারক কারখানাগুলোর ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপ করা হয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে দেশের পাঁচ শতাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে বলে এ খাতের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পিভিসি পাইপ প্রস্তুতকারক সমিতি জানিয়েছে।
সমিতি দেশীয় কুটির শিল্পের অন্তর্ভুক্ত এসব পিভিসি পাইপ কারখানাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ১৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহার করে আগের মতো ৪ শতাংশ টার্নওভার কর বসানোর দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে এ দাবিতে সমিতির পক্ষ থেকে আজ সোমবার পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে দোকান বন্ধ রাখাসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে সমিতি।
সমিতির সভাপতি মো. আবুল খায়ের প্রথম আলোকে বলেন, কৃষকদের সেচকাজে ব্যবহূত পিভিসি পাইপ কারখানাগুলো কুটির শিল্পের আওতায় আনায় দেশে এ শিল্পের বিকাশ ঘটে। মাত্র ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত যন্ত্র দিয়ে এসব কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিটি কারখানার বার্ষিক বেচাবিক্রির পরিমাণ ১০ লাখ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
আবুল খায়ের বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুসারে কোনো কারখানায় ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে অথবা বার্ষিক বেচাবিক্রির পরিমাণ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে তা কুটির শিল্প। আর কুটির শিল্পে মূসক দিতে হয় না।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কুটির শিল্পের আওতাভুক্ত হলেও এ শিল্পে ৪ শতাংশ টার্নওভার কর বসানো হয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি বড় কারখানার স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে বাজেটে ছোট ছোট এই পিভিসি পাইপ কারখানার ওপর অযৌক্তিকভাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
মো. আবুল খায়ের আরও বলেন, বেশির ভাগ কারখানা পারিবারিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। দেশীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উৎপাদিত পিভিসি পাইপের ৯৫ শতাংশ কৃষিতে সেচের পানি উত্তোলনে ও বিশুদ্ধ খাবার পানি উত্তোলনের কাজে ব্যবহূত হয়, যা দেশের ৯০ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পানি উত্তোলনের কাজে ব্যবহূত হয়।
সমিতি জানায়, এই ১৫ শতাংশ হারে মূসক প্রদান করা হলে একদিকে কারখানাগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যদিকে সেচের পাইপের দাম বাড়বে, যা সরাসরি দেশের কৃষকদের ক্ষতি করবে। অন্যদিকে সরকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ মূসক কর্মকর্তারা খাতাপত্র দেখার অজুহাতে বিভিন্ন রকম হয়রানি করবেন। এতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে।
এই অবস্থায় দেশীয়ভাবে তৈরি যন্ত্রপাতি দিয়ে পিভিসি পাইপ প্রস্তুতকারক কারখানাগুলোর ওপর ১৫ শতাংশ মূসকের বদলে আগের মতো ৪ শতাংশ টার্নওভার (মোট বেচাবিক্রির ওপর) কর বসানোর দাবি জানিয়েছে সমিতি।
সমিতি দেশীয় কুটির শিল্পের অন্তর্ভুক্ত এসব পিভিসি পাইপ কারখানাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ১৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহার করে আগের মতো ৪ শতাংশ টার্নওভার কর বসানোর দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে এ দাবিতে সমিতির পক্ষ থেকে আজ সোমবার পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে দোকান বন্ধ রাখাসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে সমিতি।
সমিতির সভাপতি মো. আবুল খায়ের প্রথম আলোকে বলেন, কৃষকদের সেচকাজে ব্যবহূত পিভিসি পাইপ কারখানাগুলো কুটির শিল্পের আওতায় আনায় দেশে এ শিল্পের বিকাশ ঘটে। মাত্র ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত যন্ত্র দিয়ে এসব কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিটি কারখানার বার্ষিক বেচাবিক্রির পরিমাণ ১০ লাখ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
আবুল খায়ের বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুসারে কোনো কারখানায় ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে অথবা বার্ষিক বেচাবিক্রির পরিমাণ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে তা কুটির শিল্প। আর কুটির শিল্পে মূসক দিতে হয় না।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কুটির শিল্পের আওতাভুক্ত হলেও এ শিল্পে ৪ শতাংশ টার্নওভার কর বসানো হয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি বড় কারখানার স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে বাজেটে ছোট ছোট এই পিভিসি পাইপ কারখানার ওপর অযৌক্তিকভাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
মো. আবুল খায়ের আরও বলেন, বেশির ভাগ কারখানা পারিবারিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। দেশীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উৎপাদিত পিভিসি পাইপের ৯৫ শতাংশ কৃষিতে সেচের পানি উত্তোলনে ও বিশুদ্ধ খাবার পানি উত্তোলনের কাজে ব্যবহূত হয়, যা দেশের ৯০ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পানি উত্তোলনের কাজে ব্যবহূত হয়।
সমিতি জানায়, এই ১৫ শতাংশ হারে মূসক প্রদান করা হলে একদিকে কারখানাগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যদিকে সেচের পাইপের দাম বাড়বে, যা সরাসরি দেশের কৃষকদের ক্ষতি করবে। অন্যদিকে সরকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ মূসক কর্মকর্তারা খাতাপত্র দেখার অজুহাতে বিভিন্ন রকম হয়রানি করবেন। এতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে।
এই অবস্থায় দেশীয়ভাবে তৈরি যন্ত্রপাতি দিয়ে পিভিসি পাইপ প্রস্তুতকারক কারখানাগুলোর ওপর ১৫ শতাংশ মূসকের বদলে আগের মতো ৪ শতাংশ টার্নওভার (মোট বেচাবিক্রির ওপর) কর বসানোর দাবি জানিয়েছে সমিতি।
No comments