দুবাইয়ের কারাগারে বন্দী ভারতীয়রা দেশে ফিরতে চান না
ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি হতে যাচ্ছে—এমন খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দুবাইয়ের জেলে আটক ভারতীয় বন্দীরা। তাঁরা বলেছেন, ভারতে তাঁরা ফিরে যেতে চান না। সাজার পূর্ণ মেয়াদ তাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরাতেই কাটাতে চান। ভারতীয় কারাগারকে তাঁরা ‘নরক’ বলে অভিহিত করেছেন। সম্প্রতি দুবাইয়ের একটি পত্রিকায় এসব কথা বলা হয়েছে।
গালফ নিউজ জানায়, দুবাইয়ে কারাবাস করছেন এমন ভারতীয় বন্দীদের মধ্যে কয়েকজনকে তাঁদের সাজার বাকি মেয়াদ নিজ দেশে কাটানোর সুযোগ দেওয়া-সংক্রান্ত একটা চুক্তির বিষয়ে কাজ চলছে। কিন্তু এ চুক্তির কথা জেনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় বন্দীরা। পত্রিকাটি বলেছে, ভারতীয় কারাগারকে সে দেশের বন্দীরা নরকের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে দুবাইয়ে কারাবাস করছেন বিনায়ক। বন্দিবিনিময়ের চুক্তির কথা জেনে ৭৬ বছরের এই ভারতীয় নাগরিক বলেছেন, সাজার বাকি মেয়াদ কোনোমতেই তিনি ভারতে কাটাতে চান না। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, দুবাইয়ে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীদের সঙ্গে সদাচরণ করেন। এখানকার কারাগার পরিচ্ছন্ন। বন্দীদের নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয় এখানে।
দুবাইয়ের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বিনায়ক। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে তিনিসহ আরও চারজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা ১২ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।
বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী ভারতের কয়েক হাজার বন্দী তাঁদের সাজার বাকি মেয়াদ নিজ দেশে কাটানোর সুযোগ পাবেন।
বিনায়কের ব্যবসায়িক বন্ধু গুজরাটের বাসিন্দা ওয়াইজি মাদক ব্যবসার দায়ে ১৯৯৮ সাল থেকে দুবাইয়ে কারাবাস করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি দুবাইয়ে থাকতে চাই। মা-বাবা ভারতে থাকলেও আমি সেখানে যেতে চাই না। দুই বার দুবাই কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়েও ক্ষমা পাইনি। তবু এখানকার লোকজনের উদারতার ওপর আমার বিশ্বাস রয়েছে।’
৬০ বছরের আরেক ভারতীয় বন্দী বলেন, ‘দুবাইয়ের কারাগার পরিচ্ছন্ন। আমাদের বিশ্বাস, দুবাই কর্তৃপক্ষ আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু আমাকে যদি ভারতে পাঠানো হয় তাহলে আমি বাঁচব না।’ তিনি বলেন, ‘আমি গরিব। ফিরে যাওয়ার মতো কোনো বাড়ি নেই আমার। এখানকার কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। আমাদের সম্মান করেন।’
আরেক বন্দী বলেছেন, ‘ভারতের কারাগারে আপনাকে কোনো না কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। নইলে আপনি বাঁচতে পারবেন না।’
কারাবন্দীদের অনেকেই বলেছেন, ‘দুবাইয়ের কারারক্ষীরা দয়ালু। এখানকার খাবারের মান ভালো। কারাগারের পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত। ভারতের কোনো কারখানায় আমরা এসব সুবিধা পাব না। তাই আমরা ভারতে ফিরে যেতে চাই না। গেলে দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকবে না আমাদের।
গালফ নিউজ জানায়, দুবাইয়ে কারাবাস করছেন এমন ভারতীয় বন্দীদের মধ্যে কয়েকজনকে তাঁদের সাজার বাকি মেয়াদ নিজ দেশে কাটানোর সুযোগ দেওয়া-সংক্রান্ত একটা চুক্তির বিষয়ে কাজ চলছে। কিন্তু এ চুক্তির কথা জেনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় বন্দীরা। পত্রিকাটি বলেছে, ভারতীয় কারাগারকে সে দেশের বন্দীরা নরকের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে দুবাইয়ে কারাবাস করছেন বিনায়ক। বন্দিবিনিময়ের চুক্তির কথা জেনে ৭৬ বছরের এই ভারতীয় নাগরিক বলেছেন, সাজার বাকি মেয়াদ কোনোমতেই তিনি ভারতে কাটাতে চান না। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, দুবাইয়ে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীদের সঙ্গে সদাচরণ করেন। এখানকার কারাগার পরিচ্ছন্ন। বন্দীদের নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয় এখানে।
দুবাইয়ের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বিনায়ক। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে তিনিসহ আরও চারজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা ১২ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।
বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী ভারতের কয়েক হাজার বন্দী তাঁদের সাজার বাকি মেয়াদ নিজ দেশে কাটানোর সুযোগ পাবেন।
বিনায়কের ব্যবসায়িক বন্ধু গুজরাটের বাসিন্দা ওয়াইজি মাদক ব্যবসার দায়ে ১৯৯৮ সাল থেকে দুবাইয়ে কারাবাস করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি দুবাইয়ে থাকতে চাই। মা-বাবা ভারতে থাকলেও আমি সেখানে যেতে চাই না। দুই বার দুবাই কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়েও ক্ষমা পাইনি। তবু এখানকার লোকজনের উদারতার ওপর আমার বিশ্বাস রয়েছে।’
৬০ বছরের আরেক ভারতীয় বন্দী বলেন, ‘দুবাইয়ের কারাগার পরিচ্ছন্ন। আমাদের বিশ্বাস, দুবাই কর্তৃপক্ষ আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু আমাকে যদি ভারতে পাঠানো হয় তাহলে আমি বাঁচব না।’ তিনি বলেন, ‘আমি গরিব। ফিরে যাওয়ার মতো কোনো বাড়ি নেই আমার। এখানকার কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। আমাদের সম্মান করেন।’
আরেক বন্দী বলেছেন, ‘ভারতের কারাগারে আপনাকে কোনো না কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। নইলে আপনি বাঁচতে পারবেন না।’
কারাবন্দীদের অনেকেই বলেছেন, ‘দুবাইয়ের কারারক্ষীরা দয়ালু। এখানকার খাবারের মান ভালো। কারাগারের পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত। ভারতের কোনো কারখানায় আমরা এসব সুবিধা পাব না। তাই আমরা ভারতে ফিরে যেতে চাই না। গেলে দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকবে না আমাদের।
No comments