পোশাক খাতে গ্রহণযোগ্য মজুরি নির্ধারণের তাগিদ
জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদকেরা পোশাকশিল্প মালিক ও শ্রমিক উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য মজুরি নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, মালিকদের ভাবমূর্তির যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা তাঁদেরই উদ্যোগ নিয়ে পুনরুদ্ধার করতে হবে। শ্রমিকদের আস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। তাঁরা বলেন, পোশাক খাতে অনেক দিন ধরে যে ষড়যন্ত্রের তথ্য আসছে, সেটা খোলাসা করে বলা দরকার। কীভাবে, কারা এই ষড়যন্ত্র করছে তা পরিষ্কার করতে হবে।
অন্যদিকে তৈরি পোশাক মালিক সমিতি বিজিএমইএর নেতারা পোশাকশিল্পে চলমান অসন্তোষ, ভাঙচুরের বিপক্ষে এবং নতুন মজুরিকাঠামো নির্ধারণে সংবাদমাধ্যমকে ইতিবাচক অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পোশাক খাতে বর্তমান সংকট বিষয়ে জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদকদের সঙ্গে বিজিএমইএর এক আলোচনা সভায় গতকাল বুধবার এসব মতামত দেওয়া হয়। ঢাকা শেরাটন হোটেলে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। শুরুতেই সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পোশাকশিল্পে ভাঙচুর, হামলা, অসন্তোষ ও নৈরাজ্যের কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে কিছু ভিডিও ফুটেজ ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের স্থিরচিত্র তুলে ধরা হয়। বড় পর্দায় (প্রজেক্টর) যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ছবি দেখানো হয়। বলা হয়, হরতালের মধ্যে পুলিশ একটি বাচ্চা ছেলেকে পেটানোর ছবি দিয়ে পত্রিকাটি ছবির বিবরণী (ক্যাপশন) দিয়েছে পোশাকশ্রমিককে পেটানো হচ্ছে। এতে দেশের এবং এই শিল্পের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ফলে ক্রেতাদের কাছে ভিন্নভাবে চিত্রিত হচ্ছে দেশের পোশাক খাত। এতে দেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক আয়ের খাতটির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এ সময় পোশাক খাতের বিভিন্ন অবদান, রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক কল্যাণকাজে এই শিল্পের ভূমিকা তুলে ধরেন বিজিএমইএর প্রচারণাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আহসান। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এখন অনেকেই যেন তাঁদের খলনায়ক (ভিলেন) মনে করেন।
এ পর্যায়ে সম্প্রতি আশুলিয়ার অনন্ত গার্মেন্টস ও ইসলাম গ্রুপে ভাঙচুরের বিবরণ দেন প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান যথাক্রমে এনাম খান ও শফিকুল ইসলাম। তাঁরা জানান, কম্পিউটারের হার্ডডিক্স পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায় বহিরাগত একটা সংঘবদ্ধ দল, যারা শ্রমিকদের গাড়িতে করে এসে কারখানায় ঢুকে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধ্যাপক আবদুল মোমেন পোশাক খাতের অবদান তুলে ধরে বলেন, শ্রীলঙ্কার পত্রিকায় সে দেশের উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে নৈরাজ্য চলছে। ফলে উদ্যোক্তারা তৈরি হোক, আবার পোশাক খাতের ব্যবসা সে দেশে চলে যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, বিজিএমইএ সব তথ্য দিয়েছে। এমনকি পোশাক খাতের নারীকর্মীরা প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে কী অবদান দেশের অর্থনীতিতে রাখছে, তার তথ্যও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেবল শ্রমিকের মজুরির তথ্য দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে অন্যান্য খাতের তুলনায় পোশাক খাতের মজুরির বিশ্লেষণও নেই।
দৈনিক ইত্তেফাক-এর উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান মিলন বলেন, পোশাক খাতের কর্মীরা কেন শিল্পগুলোকে নিজেদের প্রতিষ্ঠান ভাবতে পারে না, এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। বিডি নিউজের সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স সম্পাদক বেবি মওদুদ বলেন, আগেও দেখেছেন যে, কারখানার ছাদের ওপর কাকদের সঙ্গে বসে অথবা গুদামঘরে কিংবা সিঁড়িতে নারীশ্রমিকেরা দুপুরের খাবার খান। এখনো সেই অবস্থা আছে। বেবি মওদুদ মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তো নিচ্ছেন, পুরোপুরিই নিচ্ছেন। কিন্তু দেওয়াটা কেমন, সেটাই আমরা দেখতে চাই।’
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মালিকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, শিল্পের আরও অনেক কাজের মধ্যেও যেন শ্রমিক অসন্তোষ না হয় সেটাও মালিকদের দেখভাল করতে হবে। তিনি মত দিয়ে বলেন, ২০০৬ সালে মজুরি বাড়ানোর পর যদি আলোচনা করে আবার কিছুটা বেতন বাড়ানো হতো, তাহলে হয়তো শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে হতো না।
দৈনিক ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক শ্যামল দত্ত সহিংস ঘটনার পেছনে স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সন্ত্রাসী ও ঝুট ব্যবসায়ীরা জড়িত কি না, তা খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন। দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সারওয়ার নিম্নতম মজুরি ‘সবার জন্য সহনশীল মজুরি’ হতে হবে বলে মত দেন। তিনি পোশাক খাতে ষড়যন্ত্রের তথ্য আসছে উল্লেখ করে বলেন, এটা খোলাসা হতে হবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রপ্তানিতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মার্চ ও এপ্রিলে ১৩-১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই গতি ধরে রাখলে শ্রমিকের মজুরি বাড়ানো যাবে। তিনি মালিক, সরকার ও শ্রমিকের মধ্যে একটা প্লাটফর্ম তৈরির কথা বলেন। তিনি অসন্তোষ ও ভাঙচুর তিনভাবে হতে পারে বলে মত দেন। এগুলো হলো ষড়যন্ত্র, কারখানার পরিবেশ ও মজুরি।
সাংসদ ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি টিপু মুনশি বলেন, ২০০৬ সালের তুলনায় কতটা মূল্যস্ফীতি হয়েছে সেটা বিবেচনা করা হবে। তবে একই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকপণ্যের দাম, ডলারের বিপরীতে টাকার মান, প্রতিযোগী দেশগুলোতে মুদ্রার মান কতটা বেড়েছে বা কমেছে বিবেচনা করা উচিত।
সালাম মুর্শেদী ও টিপু মুনশি জানান, এ রকম সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশে বেশকিছু পোশাক কারখানা বিক্রি হয়ে গেছে ও যাচ্ছে, যেগুলো দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কিনে নিচ্ছে। এসব কারখানায় নতুন অটোমেটিক (স্বয়ংক্রিয়) মেশিন আনা হচ্ছে। তাতে শ্রমিক কম লাগবে। ফলে কর্মসংস্থান হারাতে হবে।
আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, নিউজ টুডে-এর সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, ডেইলি নিউনেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ডেইলি অবজারভার-এর সাবেক সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক দিনকাল-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রেজওয়ান সিদ্দিকী, শামসুল হক জাহিদ, দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্ট-এর নগর সম্পাদক নূরুল হুদা, দৈনিক ডেসটিনির নির্বাহী সম্পাদক মাহমুদ আল ফয়সাল, দৈনিক সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুনিরুজ্জামান।
অন্যদিকে তৈরি পোশাক মালিক সমিতি বিজিএমইএর নেতারা পোশাকশিল্পে চলমান অসন্তোষ, ভাঙচুরের বিপক্ষে এবং নতুন মজুরিকাঠামো নির্ধারণে সংবাদমাধ্যমকে ইতিবাচক অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পোশাক খাতে বর্তমান সংকট বিষয়ে জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদকদের সঙ্গে বিজিএমইএর এক আলোচনা সভায় গতকাল বুধবার এসব মতামত দেওয়া হয়। ঢাকা শেরাটন হোটেলে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। শুরুতেই সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পোশাকশিল্পে ভাঙচুর, হামলা, অসন্তোষ ও নৈরাজ্যের কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে কিছু ভিডিও ফুটেজ ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের স্থিরচিত্র তুলে ধরা হয়। বড় পর্দায় (প্রজেক্টর) যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ছবি দেখানো হয়। বলা হয়, হরতালের মধ্যে পুলিশ একটি বাচ্চা ছেলেকে পেটানোর ছবি দিয়ে পত্রিকাটি ছবির বিবরণী (ক্যাপশন) দিয়েছে পোশাকশ্রমিককে পেটানো হচ্ছে। এতে দেশের এবং এই শিল্পের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ফলে ক্রেতাদের কাছে ভিন্নভাবে চিত্রিত হচ্ছে দেশের পোশাক খাত। এতে দেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক আয়ের খাতটির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এ সময় পোশাক খাতের বিভিন্ন অবদান, রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক কল্যাণকাজে এই শিল্পের ভূমিকা তুলে ধরেন বিজিএমইএর প্রচারণাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আহসান। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এখন অনেকেই যেন তাঁদের খলনায়ক (ভিলেন) মনে করেন।
এ পর্যায়ে সম্প্রতি আশুলিয়ার অনন্ত গার্মেন্টস ও ইসলাম গ্রুপে ভাঙচুরের বিবরণ দেন প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান যথাক্রমে এনাম খান ও শফিকুল ইসলাম। তাঁরা জানান, কম্পিউটারের হার্ডডিক্স পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায় বহিরাগত একটা সংঘবদ্ধ দল, যারা শ্রমিকদের গাড়িতে করে এসে কারখানায় ঢুকে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধ্যাপক আবদুল মোমেন পোশাক খাতের অবদান তুলে ধরে বলেন, শ্রীলঙ্কার পত্রিকায় সে দেশের উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে নৈরাজ্য চলছে। ফলে উদ্যোক্তারা তৈরি হোক, আবার পোশাক খাতের ব্যবসা সে দেশে চলে যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, বিজিএমইএ সব তথ্য দিয়েছে। এমনকি পোশাক খাতের নারীকর্মীরা প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে কী অবদান দেশের অর্থনীতিতে রাখছে, তার তথ্যও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেবল শ্রমিকের মজুরির তথ্য দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে অন্যান্য খাতের তুলনায় পোশাক খাতের মজুরির বিশ্লেষণও নেই।
দৈনিক ইত্তেফাক-এর উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান মিলন বলেন, পোশাক খাতের কর্মীরা কেন শিল্পগুলোকে নিজেদের প্রতিষ্ঠান ভাবতে পারে না, এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। বিডি নিউজের সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স সম্পাদক বেবি মওদুদ বলেন, আগেও দেখেছেন যে, কারখানার ছাদের ওপর কাকদের সঙ্গে বসে অথবা গুদামঘরে কিংবা সিঁড়িতে নারীশ্রমিকেরা দুপুরের খাবার খান। এখনো সেই অবস্থা আছে। বেবি মওদুদ মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা তো নিচ্ছেন, পুরোপুরিই নিচ্ছেন। কিন্তু দেওয়াটা কেমন, সেটাই আমরা দেখতে চাই।’
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মালিকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, শিল্পের আরও অনেক কাজের মধ্যেও যেন শ্রমিক অসন্তোষ না হয় সেটাও মালিকদের দেখভাল করতে হবে। তিনি মত দিয়ে বলেন, ২০০৬ সালে মজুরি বাড়ানোর পর যদি আলোচনা করে আবার কিছুটা বেতন বাড়ানো হতো, তাহলে হয়তো শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে হতো না।
দৈনিক ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক শ্যামল দত্ত সহিংস ঘটনার পেছনে স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সন্ত্রাসী ও ঝুট ব্যবসায়ীরা জড়িত কি না, তা খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন। দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সারওয়ার নিম্নতম মজুরি ‘সবার জন্য সহনশীল মজুরি’ হতে হবে বলে মত দেন। তিনি পোশাক খাতে ষড়যন্ত্রের তথ্য আসছে উল্লেখ করে বলেন, এটা খোলাসা হতে হবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রপ্তানিতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মার্চ ও এপ্রিলে ১৩-১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই গতি ধরে রাখলে শ্রমিকের মজুরি বাড়ানো যাবে। তিনি মালিক, সরকার ও শ্রমিকের মধ্যে একটা প্লাটফর্ম তৈরির কথা বলেন। তিনি অসন্তোষ ও ভাঙচুর তিনভাবে হতে পারে বলে মত দেন। এগুলো হলো ষড়যন্ত্র, কারখানার পরিবেশ ও মজুরি।
সাংসদ ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি টিপু মুনশি বলেন, ২০০৬ সালের তুলনায় কতটা মূল্যস্ফীতি হয়েছে সেটা বিবেচনা করা হবে। তবে একই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকপণ্যের দাম, ডলারের বিপরীতে টাকার মান, প্রতিযোগী দেশগুলোতে মুদ্রার মান কতটা বেড়েছে বা কমেছে বিবেচনা করা উচিত।
সালাম মুর্শেদী ও টিপু মুনশি জানান, এ রকম সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশে বেশকিছু পোশাক কারখানা বিক্রি হয়ে গেছে ও যাচ্ছে, যেগুলো দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কিনে নিচ্ছে। এসব কারখানায় নতুন অটোমেটিক (স্বয়ংক্রিয়) মেশিন আনা হচ্ছে। তাতে শ্রমিক কম লাগবে। ফলে কর্মসংস্থান হারাতে হবে।
আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, নিউজ টুডে-এর সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, ডেইলি নিউনেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ডেইলি অবজারভার-এর সাবেক সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক দিনকাল-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রেজওয়ান সিদ্দিকী, শামসুল হক জাহিদ, দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্ট-এর নগর সম্পাদক নূরুল হুদা, দৈনিক ডেসটিনির নির্বাহী সম্পাদক মাহমুদ আল ফয়সাল, দৈনিক সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুনিরুজ্জামান।
No comments