লিবিয়ার ত্রাণবাহী জাহাজ গাজার পরিবর্তে মিসরের পথে
অবরুদ্ধ গাজা অভিমুখী একটি ত্রাণবাহী জাহাজকে শেষ পর্যন্ত গন্তব্যস্থলে যেতে দেয়নি ইসরায়েল। ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত যুদ্ধ জাহাজের বাধার মুখে ওই জাহাজ গতকাল বুধবার তার দিক পরিবর্তন করে মিসরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। লিবিয়ার গাদ্দাফি ফাউন্ডেশনের পাঠানো জাহাজটি শনিবার দুই হাজার টন খাদ্য ও ওষুধসামগ্রী নিয়ে গ্রিস থেকে গাজার উদ্দেশে রওনা হয়।
ইসরায়েল, মিসর ও লিবিয়ার কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আল মাথি নামের জাহাজটি গত মঙ্গলবার গাজা ভূখণ্ডের কাছাকাছি সমুদ্র এলাকায় পৌঁছানোর পর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সেটিকে গাজার দিকে যেতে নিষেধ করা হয়। বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত জাহাজ ত্রাণবাহী আল মাথিকে ঘিরে ফেলে। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্য রাতে আল মাথির নাবিকেরা লিবিয়া কর্তৃপক্ষকে জানায়, ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় তাঁরা সামনে এগোতে পারছেন না। ওই রাতেই গাদ্দাফি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইউসেউফ সাওয়ানি সাংবাদিকদের জানান, আটটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে ইসরায়েলের নৌবাহিনী আল মাথির গতি রোধ করে। তিনি জানান, গাজায় পৌঁছানো তাঁদের প্রধান লক্ষ্য থাকলেও তাঁরা কোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতি ডেকে আনতে চান না। যদি ইসরায়েল বাধা দেয় তাহলে তাঁরা তাদের সঙ্গে কোনো সংঘাতে যাবেন না। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানান, ত্রাণবাহী জাহাজের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করে জানতে পেরেছেন, তাঁরা গাজায় যাবেন না। তাঁরা মিসরের আল আরিশ সমুদ্রবন্দরে নোঙর ফেলবেন। বন্দরে মাল খালাস করে মিসর থেকে স্থলপথে তা গাজায় পৌঁছানো হবে। মিসরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাহাজটি তাদের আল আরিশ সমুদ্রবন্দরে ভেড়ার অনুমতি চেয়েছে এবং মিসরও সে অনুমতি দিয়েছে।
এরপর গতকাল বুধবার ভোর রাতে জাহাজের নাবিকেরা জানান, ইঞ্জিন সচল হয়েছে এবং তাঁরা মিসরের অভিমুখে রওনা হয়েছেন। ত্রাণবাহী ওই জাহাজে থাকা আল জাজিরার একজন সাংবাদিক টেলিফোনে বলেছেন, জাহাজটি যাতে গাজার দিকে যেতে না পারে সে জন্য ইসরায়েলের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ সেটিকে ঘিরে ছিল। জাহাজে নাবিক, ত্রাণকর্মী ও সাংবাদিকসহ মোট ২১ জন রয়েছেন।
মিসরের সরকারি বার্তা সংস্থা মেনা বলেছে, মিসর কর্তৃপক্ষ এবং রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল সার্ভিসের কর্মকর্তারা জাহাজটির মালামাল বুঝে নেওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
গত ৩১ মে একইভাবে গাজায় ত্রাণ নেওয়ার পথে একটি তুর্কি নৌবহরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী হামলা চালায়। ওই হামলায় কমপক্ষে নয়জন তুর্কি ত্রাণকর্মী নিহত হন
ইসরায়েল, মিসর ও লিবিয়ার কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আল মাথি নামের জাহাজটি গত মঙ্গলবার গাজা ভূখণ্ডের কাছাকাছি সমুদ্র এলাকায় পৌঁছানোর পর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সেটিকে গাজার দিকে যেতে নিষেধ করা হয়। বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত জাহাজ ত্রাণবাহী আল মাথিকে ঘিরে ফেলে। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্য রাতে আল মাথির নাবিকেরা লিবিয়া কর্তৃপক্ষকে জানায়, ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় তাঁরা সামনে এগোতে পারছেন না। ওই রাতেই গাদ্দাফি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইউসেউফ সাওয়ানি সাংবাদিকদের জানান, আটটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে ইসরায়েলের নৌবাহিনী আল মাথির গতি রোধ করে। তিনি জানান, গাজায় পৌঁছানো তাঁদের প্রধান লক্ষ্য থাকলেও তাঁরা কোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতি ডেকে আনতে চান না। যদি ইসরায়েল বাধা দেয় তাহলে তাঁরা তাদের সঙ্গে কোনো সংঘাতে যাবেন না। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানান, ত্রাণবাহী জাহাজের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করে জানতে পেরেছেন, তাঁরা গাজায় যাবেন না। তাঁরা মিসরের আল আরিশ সমুদ্রবন্দরে নোঙর ফেলবেন। বন্দরে মাল খালাস করে মিসর থেকে স্থলপথে তা গাজায় পৌঁছানো হবে। মিসরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাহাজটি তাদের আল আরিশ সমুদ্রবন্দরে ভেড়ার অনুমতি চেয়েছে এবং মিসরও সে অনুমতি দিয়েছে।
এরপর গতকাল বুধবার ভোর রাতে জাহাজের নাবিকেরা জানান, ইঞ্জিন সচল হয়েছে এবং তাঁরা মিসরের অভিমুখে রওনা হয়েছেন। ত্রাণবাহী ওই জাহাজে থাকা আল জাজিরার একজন সাংবাদিক টেলিফোনে বলেছেন, জাহাজটি যাতে গাজার দিকে যেতে না পারে সে জন্য ইসরায়েলের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ সেটিকে ঘিরে ছিল। জাহাজে নাবিক, ত্রাণকর্মী ও সাংবাদিকসহ মোট ২১ জন রয়েছেন।
মিসরের সরকারি বার্তা সংস্থা মেনা বলেছে, মিসর কর্তৃপক্ষ এবং রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল সার্ভিসের কর্মকর্তারা জাহাজটির মালামাল বুঝে নেওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
গত ৩১ মে একইভাবে গাজায় ত্রাণ নেওয়ার পথে একটি তুর্কি নৌবহরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী হামলা চালায়। ওই হামলায় কমপক্ষে নয়জন তুর্কি ত্রাণকর্মী নিহত হন
No comments