এখন বিচারের বাধা দ্রুত দূর করুন -পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র
পিলখানার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল একটি বড় অগ্রগতি। ঘটনার প্রায় ৫০০ দিন পর ৮২৪ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার যাতে দ্রুত হয়, সেদিকে সমগ্র জাতি তাকিয়ে আছে। এখন এর সুষ্ঠু বিচারের জন্য আসল করণীয়, উপযুক্ত আদালত বেছে নেওয়া। প্রচলিত আইনে দুটি বিকল্প আছে। জেলা ও দায়রা জজ আদালত কিংবা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল—যেকোনো আদালতেই এই বিচার হতে পারে।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হলে সরকারকে মামলাটি সেই আদালতে স্থানান্তরিত করতে হবে। এতে বিচারের একটি বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। অবশ্য সে পদ্ধতি সাধারণ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে তেমন স্বতন্ত্র বলা যায় না। বিচার শেষ করার নির্দিষ্ট সময়সীমা এর মূল বৈশিষ্ট্য। সর্বোচ্চ ১৩৫ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মূলত ৯০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন হবে, সেটাই আইনের লক্ষ্য। পরে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে ৩০ দিন ও শেষ ধাপে আরও ১৫ দিন অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে বিচার শেষ করতে হয়। মোট ১৩৫ দিনের মধ্যে সম্ভব না হলে মামলাটি যে আদালত থেকে স্থানান্তরিত হয়েছিল, সেখানে ফেরত পাঠাতে হবে।
বিচারের জন্য রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্ত প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক বিদ্যমান আইনে একটি সংশোধনী আনতে মত প্রকাশ করেছেন। গতকাল এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৩৫ দিনের মধ্যে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্ভব নয়। তবে ৩৬৫ কর্মদিবসের মধ্যে এই বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব বলে মনে করি।’ এখন বিচার্য হলো, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নাকি সাধারণ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার সম্পন্ন করা যুক্তিযুক্ত হবে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো একটি ফৌজদারি অপরাধের ঘটনায় এত বিপুলসংখ্যক অভিযুক্ত এবং সাক্ষীর নজির নেই। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত সোমবার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযুক্ত ৮২৪ জনের প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে সওয়াল জওয়াবের সম্মুখীন হবেন। মোট সাক্ষী এক হাজার ২৮৫ জন। তাঁদেরও ব্যক্তিগত জেরা হবে। সুতরাং ১৩৫ কর্মদিবসের মধ্যে বিচার-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যে সম্ভব নয়, তা সহজেই বোধগম্য। এখন নীতিনির্ধারকদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, বিচারের প্রক্রিয়া কী হবে, সে বিষয়ে ত্বরিত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।
আমরা বুঝতে পারি, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার যে আদালতেই হোক, সেখানে অবকাঠামোগত দিক থাকবে। আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে যে এ ধরনের মামুলি কাজও অনেক সময় আমলাতন্ত্রের জাঁতাকলে অহেতুক বিলম্ব ও জটিলতার সম্মুখীন হয়। এই মামলায় এ পর্যন্ত যে প্রসিকিউশন টিম কাজ করছে, তাতে মাত্র দুজন সদস্য রয়েছেন। এই সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিচারক, আইনজীবী ও কর্মকর্তা যাঁদেরই নিয়োগ দেওয়া হোক, যেন সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা প্রমাণ দেয় যে, সরকারের পক্ষে কাঁচা ও কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করা অসম্ভব নয়।
৩৬৫ কর্মদিবস পেতে দেড় বছরের বেশি সময় লেগে যাবে। তদুপরি আমরা প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হকের সঙ্গে আশাবাদী হতে চাই যে, ২০১১ সালের আগেই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হলে সরকারকে মামলাটি সেই আদালতে স্থানান্তরিত করতে হবে। এতে বিচারের একটি বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। অবশ্য সে পদ্ধতি সাধারণ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে তেমন স্বতন্ত্র বলা যায় না। বিচার শেষ করার নির্দিষ্ট সময়সীমা এর মূল বৈশিষ্ট্য। সর্বোচ্চ ১৩৫ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মূলত ৯০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন হবে, সেটাই আইনের লক্ষ্য। পরে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে ৩০ দিন ও শেষ ধাপে আরও ১৫ দিন অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে বিচার শেষ করতে হয়। মোট ১৩৫ দিনের মধ্যে সম্ভব না হলে মামলাটি যে আদালত থেকে স্থানান্তরিত হয়েছিল, সেখানে ফেরত পাঠাতে হবে।
বিচারের জন্য রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্ত প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক বিদ্যমান আইনে একটি সংশোধনী আনতে মত প্রকাশ করেছেন। গতকাল এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৩৫ দিনের মধ্যে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্ভব নয়। তবে ৩৬৫ কর্মদিবসের মধ্যে এই বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব বলে মনে করি।’ এখন বিচার্য হলো, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নাকি সাধারণ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার সম্পন্ন করা যুক্তিযুক্ত হবে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো একটি ফৌজদারি অপরাধের ঘটনায় এত বিপুলসংখ্যক অভিযুক্ত এবং সাক্ষীর নজির নেই। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত সোমবার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযুক্ত ৮২৪ জনের প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে সওয়াল জওয়াবের সম্মুখীন হবেন। মোট সাক্ষী এক হাজার ২৮৫ জন। তাঁদেরও ব্যক্তিগত জেরা হবে। সুতরাং ১৩৫ কর্মদিবসের মধ্যে বিচার-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যে সম্ভব নয়, তা সহজেই বোধগম্য। এখন নীতিনির্ধারকদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, বিচারের প্রক্রিয়া কী হবে, সে বিষয়ে ত্বরিত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।
আমরা বুঝতে পারি, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার যে আদালতেই হোক, সেখানে অবকাঠামোগত দিক থাকবে। আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে যে এ ধরনের মামুলি কাজও অনেক সময় আমলাতন্ত্রের জাঁতাকলে অহেতুক বিলম্ব ও জটিলতার সম্মুখীন হয়। এই মামলায় এ পর্যন্ত যে প্রসিকিউশন টিম কাজ করছে, তাতে মাত্র দুজন সদস্য রয়েছেন। এই সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিচারক, আইনজীবী ও কর্মকর্তা যাঁদেরই নিয়োগ দেওয়া হোক, যেন সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা প্রমাণ দেয় যে, সরকারের পক্ষে কাঁচা ও কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করা অসম্ভব নয়।
৩৬৫ কর্মদিবস পেতে দেড় বছরের বেশি সময় লেগে যাবে। তদুপরি আমরা প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হকের সঙ্গে আশাবাদী হতে চাই যে, ২০১১ সালের আগেই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
No comments