ভারত-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে গুরুত্ব পাবে সন্ত্রাসবাদ
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আজ বৃহস্পতিবার ভারত-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হতে যাচ্ছে। বৈঠকের মূল আলোচ্যসূচিতে সন্ত্রাসবাদের বিষয়টিই গুরুত্ব পাবে বলে ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে। বৈঠক উপলক্ষে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা গতকাল বুধবারই তিন দিনের সফরে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন। তবে বৈঠক থেকে বড় ধরনের কোনো ঘোষণার আশা করছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর দুই দেশের মধ্যে চলমান শান্তিপ্রক্রিয়া থমকে যায়। ভারতীয় পক্ষ বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক আবার ঠিকঠাক করার ব্যাপারে ভবিষ্যৎ আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য একটি ছোট পদক্ষেপ এটি। তবে এই সীমিত উদ্যোগের মধ্যেই পাকিস্তানে অবস্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও অবকাঠামোগুলোর প্রসঙ্গে আলোচনা করবেন কৃষ্ণা। মুম্বাই হামলার পর ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম পাকিস্তান সফর এটি।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সঙ্গে আজকের বৈঠকে মুম্বাই হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ কতটা অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেবেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি আফগানিস্তানে ভারতীয়দের অবকাঠামোর ওপর হামলায় পাকিস্তানের মদদের অভিযোগের প্রসঙ্গটিও তুলতে পারেন তিনি।
জানা গেছে, কৃষ্ণার এই সফরের প্রাক্কালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিএস) একটি বৈঠক করে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আলোচ্যসূচির বিষয়ে আলোচনা করে। সিসিএসের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ইসলামাবাদের বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু হবে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবকাঠামো এবং মুম্বাই হামলার তদন্ত কার্যক্রম ও বিচারপ্রক্রিয়া। এতে কৃষ্ণা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। ওই বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, আজকের বৈঠকে ভারতীয় পক্ষ দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর মনোভাব নিয়ে আলোচনা করবে এবং সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।
সিসিএসের বৈঠকে গত মাসে ইসলামাবাদে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফলাফল পর্যালোচনা করা হয়। ওই সময় পাকিস্তানি পক্ষ ভারতীয়দের আশ্বাস দিয়েছিল, মুম্বাই হামলার তদন্ত ও বিচার তারা দ্রুত বাস্তবায়ন করবে এবং পাকিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে ভারতবিরোধী তৎপরতা বন্ধেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কর্মকর্তারা জানান, এ ব্যাপারে ভারতীয় সরকারের মনোভাব হচ্ছে, আশ্বাস দিলেও পাকিস্তান সরকার তাদের উদ্বেগের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে কমিটি এটাও অনুধাবন করেছে, পারস্পরিক অনাস্থা কাটিয়ে উঠতে মানবাধিকারের বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সীমিত পর্যায়ের আলোচনা চালিয়ে যাওয়া দরকার। অবশ্য আজকের বৈঠকে কৃষ্ণা ও তাঁর সহযোগী ভারতীয় প্রতিনিধিরা পাকিস্তানি পক্ষকে জানাবেন, একটি অর্থবহ আলোচনার পূর্বশর্ত হচ্ছে মুম্বাই হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য, কার্যকর ও স্বচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে আজকের বৈঠকে দুই দেশের ভিসাপ্রক্রিয়া সহজ করা, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো, বাণিজ্য, আন্তসীমান্ত ট্রেন-বাস চলাচল ও বন্দী বিনিময়ের বিষয়গুলো তুলবেন কৃষ্ণা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কাশ্মীর সমস্যা ও পানিবণ্টনের বিষয়টি তোলা হতে পারে। তবে নয়াদিল্লির অবস্থান হচ্ছে, একটি যথাযথ আস্থার পরিবেশ তৈরি না হলে জম্মু ও কাশ্মীর এবং সিয়াচেন হিমবাহের মতো অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি সম্ভব নয়।
২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর দুই দেশের মধ্যে চলমান শান্তিপ্রক্রিয়া থমকে যায়। ভারতীয় পক্ষ বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক আবার ঠিকঠাক করার ব্যাপারে ভবিষ্যৎ আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য একটি ছোট পদক্ষেপ এটি। তবে এই সীমিত উদ্যোগের মধ্যেই পাকিস্তানে অবস্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও অবকাঠামোগুলোর প্রসঙ্গে আলোচনা করবেন কৃষ্ণা। মুম্বাই হামলার পর ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম পাকিস্তান সফর এটি।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সঙ্গে আজকের বৈঠকে মুম্বাই হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ কতটা অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেবেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি আফগানিস্তানে ভারতীয়দের অবকাঠামোর ওপর হামলায় পাকিস্তানের মদদের অভিযোগের প্রসঙ্গটিও তুলতে পারেন তিনি।
জানা গেছে, কৃষ্ণার এই সফরের প্রাক্কালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিএস) একটি বৈঠক করে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আলোচ্যসূচির বিষয়ে আলোচনা করে। সিসিএসের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ইসলামাবাদের বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু হবে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবকাঠামো এবং মুম্বাই হামলার তদন্ত কার্যক্রম ও বিচারপ্রক্রিয়া। এতে কৃষ্ণা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। ওই বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, আজকের বৈঠকে ভারতীয় পক্ষ দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর মনোভাব নিয়ে আলোচনা করবে এবং সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।
সিসিএসের বৈঠকে গত মাসে ইসলামাবাদে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফলাফল পর্যালোচনা করা হয়। ওই সময় পাকিস্তানি পক্ষ ভারতীয়দের আশ্বাস দিয়েছিল, মুম্বাই হামলার তদন্ত ও বিচার তারা দ্রুত বাস্তবায়ন করবে এবং পাকিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে ভারতবিরোধী তৎপরতা বন্ধেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কর্মকর্তারা জানান, এ ব্যাপারে ভারতীয় সরকারের মনোভাব হচ্ছে, আশ্বাস দিলেও পাকিস্তান সরকার তাদের উদ্বেগের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে কমিটি এটাও অনুধাবন করেছে, পারস্পরিক অনাস্থা কাটিয়ে উঠতে মানবাধিকারের বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সীমিত পর্যায়ের আলোচনা চালিয়ে যাওয়া দরকার। অবশ্য আজকের বৈঠকে কৃষ্ণা ও তাঁর সহযোগী ভারতীয় প্রতিনিধিরা পাকিস্তানি পক্ষকে জানাবেন, একটি অর্থবহ আলোচনার পূর্বশর্ত হচ্ছে মুম্বাই হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য, কার্যকর ও স্বচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে আজকের বৈঠকে দুই দেশের ভিসাপ্রক্রিয়া সহজ করা, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো, বাণিজ্য, আন্তসীমান্ত ট্রেন-বাস চলাচল ও বন্দী বিনিময়ের বিষয়গুলো তুলবেন কৃষ্ণা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কাশ্মীর সমস্যা ও পানিবণ্টনের বিষয়টি তোলা হতে পারে। তবে নয়াদিল্লির অবস্থান হচ্ছে, একটি যথাযথ আস্থার পরিবেশ তৈরি না হলে জম্মু ও কাশ্মীর এবং সিয়াচেন হিমবাহের মতো অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি সম্ভব নয়।
No comments