নকশায় প্রিন্স চার্লসের হস্তক্ষেপ অপ্রত্যাশিত ও অযাচিত
যুক্তরাজ্যের একটি বড় নির্মাণ প্রকল্পের নকশায় যুবরাজ প্রিন্স চার্লসের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেছেন লন্ডন হাইকোর্ট। চার্লসের আপত্তির কারণে পরিকল্পনাটি অনুমোদিত হবে না—এ আশঙ্কায় প্রকল্পের কাতারি অংশীদার কাতারি দিয়ার (কিউডি) পরিকল্পনার আবেদন প্রত্যাহার করে নিলে ব্রিটিশ উদ্যোক্তা ‘সিপিসি গ্রুপ’ মামলা ঠুকে দিয়েছিল।
গত শুক্রবার দেওয়া ওই রায়ে আদালত বলেছেন, প্রিন্স চার্লসের হস্তক্ষেপ ‘অপ্রত্যাশিত ও অযাচিত’।
বিচারক জেফ্রি ভস রায়ে বলেন, কাতারের সরকারি আবাসন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কিউডি আবেদন প্রত্যাহার করে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে বটে, কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না এবং যুবরাজের হস্তক্ষেপের কারণে তারা খুবই নাজুক অবস্থায় পড়েছিল। তবে লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন এটির অনুমোদন না দেওয়ার জন্য স্থানীয় ওয়েস্টমিনস্টার নগর পরিষদের ওপর তাঁর প্রভাব খাটাতেন কাতারি দিয়ারের এ দাবির কোনো ভিত্তি নেই বলে মত দেন তিনি।
চার্লসের আপত্তির কারণ, প্রকল্পটির নকশা খুব হাল ফ্যাশনের, যা তাঁর পছন্দ নয়। তিনি আরেকটু ঐতিহ্যবাহী কিছু আশা করেছিলেন।
লন্ডনের সবচেয়ে দামি এলাকাগুলোর একটিতে অবস্থিত টেমস তীরবর্তী চেলসি ব্যারাক ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি। ২০০৮ সালে মন্ত্রণালয় ১২ দশমিক আট একরের এ সম্পত্তি সাড়ে ৯৯ কোটি পাউন্ডে বিক্রি করে দেয়। ওই জায়গায় প্রায় ৬০০ বাড়ি, বিপণিবিতান, খেলাধুলার সুবিধাসহ বিভিন্ন স্থাপনা তোলার কথা ছিল।
‘সিপিসি গ্রুপ’ বলেছে, কিউডি এ প্রকল্পের চুক্তি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ায় তাদের ছয় কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড ক্ষতি হয়েছে। আদালত কাতারি দিয়ারকে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করলেও প্রতিষ্ঠানটিকে সিপিসির দাবি করা ক্ষতিপূরণে কোনো নির্দেশ দেননি। আর্থিক ক্ষতির দিকটি তদন্তের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।
ব্যয়বহুল এ প্রকল্পের একটি আধুনিক নকশা করেছিলেন স্থপতি লর্ড রিচার্ড রজার্স। কিন্তু এ নকশার ব্যাপারে অসম্মতি জানান প্রিন্স চার্লস। তিনি এ বিষয়ে সরাসরি কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন। চার্লস তাঁকে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘নকশাটি দেখে তাঁর হূদয় ভেঙে গেছে।’ আধুনিক এ নকশার পরিবর্তে তিনি ব্রিটেনের স্থাপত্য ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নকশায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
আদালতের এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় প্রিন্স চার্লসের মুখপাত্র প্যাডি হেভারসন বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে যেকোনো মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে প্রিন্স চার্লসের। তিনি তা উৎসাহের সঙ্গেই করেন। কারণ এসব নিয়ে তাঁর উদ্বেগ রয়েছে। আর তিনি যাদের পরামর্শ দেবেন, তাদেরও অধিকার আছে তা শুনবে কি না, সেটা ঠিক করার।’
আদালতের এ রায়কে রজার্স ও অন্য স্থপতিদের জন্য একটি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা অভিযোগ করে আসছেন, পরিকল্পনা-প্রক্রিয়ায় প্রিন্স চার্লসের প্রভাব খুবই বেশি এবং এ ধরনের ব্যাপারে তাঁর হস্তক্ষেপ সাংবিধানিক কর্তৃত্বের সীমা ছাড়িয়ে যায়।
গত শুক্রবার দেওয়া ওই রায়ে আদালত বলেছেন, প্রিন্স চার্লসের হস্তক্ষেপ ‘অপ্রত্যাশিত ও অযাচিত’।
বিচারক জেফ্রি ভস রায়ে বলেন, কাতারের সরকারি আবাসন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কিউডি আবেদন প্রত্যাহার করে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে বটে, কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না এবং যুবরাজের হস্তক্ষেপের কারণে তারা খুবই নাজুক অবস্থায় পড়েছিল। তবে লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন এটির অনুমোদন না দেওয়ার জন্য স্থানীয় ওয়েস্টমিনস্টার নগর পরিষদের ওপর তাঁর প্রভাব খাটাতেন কাতারি দিয়ারের এ দাবির কোনো ভিত্তি নেই বলে মত দেন তিনি।
চার্লসের আপত্তির কারণ, প্রকল্পটির নকশা খুব হাল ফ্যাশনের, যা তাঁর পছন্দ নয়। তিনি আরেকটু ঐতিহ্যবাহী কিছু আশা করেছিলেন।
লন্ডনের সবচেয়ে দামি এলাকাগুলোর একটিতে অবস্থিত টেমস তীরবর্তী চেলসি ব্যারাক ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি। ২০০৮ সালে মন্ত্রণালয় ১২ দশমিক আট একরের এ সম্পত্তি সাড়ে ৯৯ কোটি পাউন্ডে বিক্রি করে দেয়। ওই জায়গায় প্রায় ৬০০ বাড়ি, বিপণিবিতান, খেলাধুলার সুবিধাসহ বিভিন্ন স্থাপনা তোলার কথা ছিল।
‘সিপিসি গ্রুপ’ বলেছে, কিউডি এ প্রকল্পের চুক্তি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ায় তাদের ছয় কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড ক্ষতি হয়েছে। আদালত কাতারি দিয়ারকে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করলেও প্রতিষ্ঠানটিকে সিপিসির দাবি করা ক্ষতিপূরণে কোনো নির্দেশ দেননি। আর্থিক ক্ষতির দিকটি তদন্তের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।
ব্যয়বহুল এ প্রকল্পের একটি আধুনিক নকশা করেছিলেন স্থপতি লর্ড রিচার্ড রজার্স। কিন্তু এ নকশার ব্যাপারে অসম্মতি জানান প্রিন্স চার্লস। তিনি এ বিষয়ে সরাসরি কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন। চার্লস তাঁকে লেখা চিঠিতে বলেন, ‘নকশাটি দেখে তাঁর হূদয় ভেঙে গেছে।’ আধুনিক এ নকশার পরিবর্তে তিনি ব্রিটেনের স্থাপত্য ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নকশায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
আদালতের এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় প্রিন্স চার্লসের মুখপাত্র প্যাডি হেভারসন বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে যেকোনো মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে প্রিন্স চার্লসের। তিনি তা উৎসাহের সঙ্গেই করেন। কারণ এসব নিয়ে তাঁর উদ্বেগ রয়েছে। আর তিনি যাদের পরামর্শ দেবেন, তাদেরও অধিকার আছে তা শুনবে কি না, সেটা ঠিক করার।’
আদালতের এ রায়কে রজার্স ও অন্য স্থপতিদের জন্য একটি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা অভিযোগ করে আসছেন, পরিকল্পনা-প্রক্রিয়ায় প্রিন্স চার্লসের প্রভাব খুবই বেশি এবং এ ধরনের ব্যাপারে তাঁর হস্তক্ষেপ সাংবিধানিক কর্তৃত্বের সীমা ছাড়িয়ে যায়।
No comments