সাবেকদের কথার লড়াই
দু দলের দ্বৈরথ বহু পুরোনো। বার্লিনে ১৯৩০ সালের ৩-৩ গোলের ড্র দিয়ে যার শুরু। সেই থেকে ২৭ বার মুখোমুখি হয়েছে জার্মানি-ইংল্যান্ড। এএফপি।
বিশ্বকাপে চারবার। ১টি করে জয় দু দলেরই, বাকি ২টি ম্যাচ হয়েছে ড্র। এর মধ্যে দুটি ম্যাচের ফল আবার নির্ধারিত হয়েছে অতিরিক্ত সময়ে, একটির নিষ্পত্তি টাইব্রেকারে। জার্মানি-ইংল্যান্ড দ্বৈরথকে তাই স্নায়ুক্ষয়ীই বলতে হবে। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনে হতে যাচ্ছে এই দুই দলের দ্বৈরথের আরেকটি সংস্করণ। এমন একটি লড়াইয়ের আগে যে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই হবে, উত্তেজনায় টগবগিয়ে ফুটবে দুটি দেশই, এটাই তো স্বাভাবিক।
হচ্ছেও তাই। দু দেশের সাবেক ফুটবলাররা নেমে গেছেন কথার লড়াইয়ে। চেষ্টা করছেন কথার মারপ্যাঁচে প্রতিপক্ষকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল করে দেওয়ার। এই লড়াইয়ে জার্মানির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। আর ইংল্যান্ড শিবিরে আছেন তাদের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার অ্যালান শিয়ারার।
এবার কেন যেন ইংল্যান্ডকে শুরু থেকেই খুঁচিয়ে যাচ্ছেন বেকেনবাওয়ার। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুটি ম্যাচে ইংলিশদের পারফরম্যান্স দেখে জার্মানির চুয়াত্তরের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বলেছিলেন, তাঁর কাছে মনে হয়েছে, ইংল্যান্ড প্রাগৈতিহাসিক ফুটবলে ফিরে গেছে। আর এখন নিজের দেশকে উদ্দীপ্ত করতে বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের এই দলটিকে আপনি সমীহ করতে পারেন, কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচে খুবই বাজে অবস্থা ছিল তাদের।’
বেকেনবাওয়ারের এই সব কথার জবাবটাও ভালোই দিয়েছেন শিয়ারার। জার্মানির রক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি, ‘এটা ঠিক যে জার্মানি দলটা সুসংগঠিত, পোডলস্কি ও মিরোস্লাভ ক্লোসা-সমৃদ্ধ ভালো একটি আক্রমণভাগ আছে ওদের। কিন্তু জোয়াকিম লোর দলের রক্ষণটা নড়বড়েই। আমার বিশ্বাস, আমরা এর সুবিধাটা নিতে পারি।’
শিয়ারার খোঁচা দিয়েছেন জার্মানির রক্ষণ নিয়ে। ‘কাইজার’ এ নিয়ে আর কিছু বলেননি। বেকেনবাওয়ারের আসলে বলতে হয়নি। ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগের বেহাল অবস্থার কথা টেনে শিয়ারারকে এর জবাব দিয়ে দিয়েছেন ১৯৭০ বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেওয়া ম্যাচে গোল করা উয়ি সিলার, ‘ইংল্যান্ড আসলে সতেজ নয়। এর বড় উদাহরণ তো (ওয়েইন) রুনি। অনেকেই ভেবেছিল, এই টুর্নামেন্টের সেরা আকর্ষণ হবে সে। কিন্তু সে কিছুই তো করতে পারেনি!’
মাইকেল বালাক বুঝতেই পারছেন না, ইংলিশরা কেন জার্মানিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে, ‘ইংল্যান্ড এমন কোনো শক্তিশালী দল নয় যে ওদের ভয় পেতে হবে। জার্মানিতে অনেকেই বিস্মিত যে ইংল্যান্ড আমাদের বড় শত্রু মনে করে। আমরা ঠিক বুঝতে পারি না, এটা কেন করে তারা। সম্ভবত ১৯৬৬ বিশ্বকাপের সেই গোলটির কারণেই!’
ইংল্যান্ডের সাবেক কোচ কেভিন কিগান এত হিসেব-নিকেশে যাননি বা যাওয়ার প্রয়োজনও বোধ করেননি। ২০০০ সালে জার্মানির কাছে ইংল্যান্ড ০-১ গোলে হেরে যাওয়ার পর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া কিগান সরাসরিই বলে দিয়েছেন, এ ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতবে।
বিশ্বকাপে চারবার। ১টি করে জয় দু দলেরই, বাকি ২টি ম্যাচ হয়েছে ড্র। এর মধ্যে দুটি ম্যাচের ফল আবার নির্ধারিত হয়েছে অতিরিক্ত সময়ে, একটির নিষ্পত্তি টাইব্রেকারে। জার্মানি-ইংল্যান্ড দ্বৈরথকে তাই স্নায়ুক্ষয়ীই বলতে হবে। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনে হতে যাচ্ছে এই দুই দলের দ্বৈরথের আরেকটি সংস্করণ। এমন একটি লড়াইয়ের আগে যে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই হবে, উত্তেজনায় টগবগিয়ে ফুটবে দুটি দেশই, এটাই তো স্বাভাবিক।
হচ্ছেও তাই। দু দেশের সাবেক ফুটবলাররা নেমে গেছেন কথার লড়াইয়ে। চেষ্টা করছেন কথার মারপ্যাঁচে প্রতিপক্ষকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল করে দেওয়ার। এই লড়াইয়ে জার্মানির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। আর ইংল্যান্ড শিবিরে আছেন তাদের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার অ্যালান শিয়ারার।
এবার কেন যেন ইংল্যান্ডকে শুরু থেকেই খুঁচিয়ে যাচ্ছেন বেকেনবাওয়ার। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুটি ম্যাচে ইংলিশদের পারফরম্যান্স দেখে জার্মানির চুয়াত্তরের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বলেছিলেন, তাঁর কাছে মনে হয়েছে, ইংল্যান্ড প্রাগৈতিহাসিক ফুটবলে ফিরে গেছে। আর এখন নিজের দেশকে উদ্দীপ্ত করতে বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের এই দলটিকে আপনি সমীহ করতে পারেন, কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচে খুবই বাজে অবস্থা ছিল তাদের।’
বেকেনবাওয়ারের এই সব কথার জবাবটাও ভালোই দিয়েছেন শিয়ারার। জার্মানির রক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি, ‘এটা ঠিক যে জার্মানি দলটা সুসংগঠিত, পোডলস্কি ও মিরোস্লাভ ক্লোসা-সমৃদ্ধ ভালো একটি আক্রমণভাগ আছে ওদের। কিন্তু জোয়াকিম লোর দলের রক্ষণটা নড়বড়েই। আমার বিশ্বাস, আমরা এর সুবিধাটা নিতে পারি।’
শিয়ারার খোঁচা দিয়েছেন জার্মানির রক্ষণ নিয়ে। ‘কাইজার’ এ নিয়ে আর কিছু বলেননি। বেকেনবাওয়ারের আসলে বলতে হয়নি। ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগের বেহাল অবস্থার কথা টেনে শিয়ারারকে এর জবাব দিয়ে দিয়েছেন ১৯৭০ বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেওয়া ম্যাচে গোল করা উয়ি সিলার, ‘ইংল্যান্ড আসলে সতেজ নয়। এর বড় উদাহরণ তো (ওয়েইন) রুনি। অনেকেই ভেবেছিল, এই টুর্নামেন্টের সেরা আকর্ষণ হবে সে। কিন্তু সে কিছুই তো করতে পারেনি!’
মাইকেল বালাক বুঝতেই পারছেন না, ইংলিশরা কেন জার্মানিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে, ‘ইংল্যান্ড এমন কোনো শক্তিশালী দল নয় যে ওদের ভয় পেতে হবে। জার্মানিতে অনেকেই বিস্মিত যে ইংল্যান্ড আমাদের বড় শত্রু মনে করে। আমরা ঠিক বুঝতে পারি না, এটা কেন করে তারা। সম্ভবত ১৯৬৬ বিশ্বকাপের সেই গোলটির কারণেই!’
ইংল্যান্ডের সাবেক কোচ কেভিন কিগান এত হিসেব-নিকেশে যাননি বা যাওয়ার প্রয়োজনও বোধ করেননি। ২০০০ সালে জার্মানির কাছে ইংল্যান্ড ০-১ গোলে হেরে যাওয়ার পর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া কিগান সরাসরিই বলে দিয়েছেন, এ ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতবে।
No comments