রনের ‘হ্যাটট্রিক’ এবং ইনিয়েস্তা
ব্রাজিলের বিপক্ষের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে মেলাতে পারেন প্রথম ম্যাচের রোনালদোর সঙ্গে। আইভরিকোস্টের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের মতো পরশুও পুরো ম্যাচে বলার মতো কিছু করেননি। তার পরও যতটুকু করেছেন, তাতেই ছাপিয়ে গেছেন অন্যদের, অন্যদের অবস্থা যে ছিল আরও হতাশাজনক! আবারও তাই ম্যাচ-সেরা ‘রন’। মাঝে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ-সেরা হয়েছিলেন দুর্দান্ত খেলেই। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের তিনটিতেই সেরা হলেন পর্তুগাল অধিনায়ক, ম্যান অব দ্য ম্যাচের হ্যাটট্রিক!
রোনালদো যেমন পর্তুগালের প্রাণভোমরা, ঠিক ততটা না হলেও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা স্পেনের গেমপ্ল্যানের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বকাপের আগে সম্ভাব্য গোল্ডেন বল বিজয়ীদের মাঝে ছিল তাঁর নামও। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে তিনি ছিলেন হতাশার আরেক নাম। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ইনজুরি বাঁধিয়েছিলেন। সেই ইনজুরি কাটিয়ে প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন, তবে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। স্পেন কোচ তাই মাঠ থেকে উঠিয়েও নিয়েছিলেন তাঁকে। ওই ম্যাচেই বাঁধিয়ে ফেলেন আরেক দফা ইনজুরি, হন্ডুরাসের বিপক্ষে ম্যাচটা দেখতে হয় বেঞ্চে বসেই। তাঁর জায়গায় সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত খেললেন জেসাস নাভাস। তবুও নাভাস নয়, ইনজুরি কাটিয়ে ফেলা ইনিয়েস্তার ওপরই পরশু ভরসা রেখেছিলেন দেল বস্ক। শুরুতে আবারও একটু নিষ্প্রভ ছিলেন, কিন্তু আস্তে আস্তে নিজেকে ফিরে পান। সেই চমৎকার সব পাস, চোখ-ধাঁধানো স্কিল। দলের জয় নিশ্চিত করা দ্বিতীয় গোলটিও করেছেন বক্সের ভেতর থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে। কোচের আস্থার প্রতিদান দিলেন ‘ডন আন্দ্রেস’ ম্যাচ-সেরা হয়ে।
প্রস্তুতি ম্যাচেই হাত ভেঙে দিদিয়ের দ্রগবার বিশ্বকাপটাই হয়ে গিয়েছিল অনিশ্চিত। প্রথম ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন পুরোপুরি সুস্থ না হয়েই। ব্রাজিলের বিপক্ষে পরের ম্যাচে খেলেছেন পুরো সময়ই, একটি গোলও পেয়েছেন। তবে ইনজুরির জন্যই হয়তো বিচ্ছিন্ন কিছু মুহূর্ত ছাড়া দুটো ম্যাচের একটিতেও সেই বিধ্বংসী দ্রগবাকে দেখা যায়নি। দেখা গেল পরশু। না, স্কোরশিটে দু-তিনবার নাম তুলতে পারেননি। তবে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে দ্রগবাকে দেখা গেছে দ্রগবারূপে। তাঁকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছে প্রতিপক্ষের ডিফেন্স, তাঁর শট বারে লাগার পর ফিরতি বলে হেডে গোল পেয়ে গেছেন রোমারিক। গোল না পেয়েও তাই সেরা দ্রগবা।
নোয়েল ভ্যালাদারেসকে সতীর্থরা ডাকেন ‘দ্য সিক্রেট’, তাঁর লাজুক স্বভাবের জন্য। এই লাজুক ছেলেটিই মাঠে নামলে হয়ে যান অন্য রকম, হন্ডুরাসের গোলপোস্টে আস্থার মূর্ত প্রতীক। ২৮ বছর পর হন্ডুরাসের বিশ্বকাপে আসায় বড় একটা ভূমিকা ছিল নোয়েলের, কনকাকাফ অঞ্চলের বাছাই পর্বে হন্ডুরাস এবার সবচেয়ে কম গোল খেয়েছিল তাঁর বীরত্বেই। পরশু সুইজারল্যান্ডের একের পর এক আক্রমণ ফিরিয়ে দলকে এনে দিলেন এই বিশ্বকাপের একমাত্র পয়েন্ট, হলেন ম্যাচ-সেরা।
রোনালদো যেমন পর্তুগালের প্রাণভোমরা, ঠিক ততটা না হলেও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা স্পেনের গেমপ্ল্যানের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বকাপের আগে সম্ভাব্য গোল্ডেন বল বিজয়ীদের মাঝে ছিল তাঁর নামও। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে তিনি ছিলেন হতাশার আরেক নাম। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ইনজুরি বাঁধিয়েছিলেন। সেই ইনজুরি কাটিয়ে প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন, তবে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। স্পেন কোচ তাই মাঠ থেকে উঠিয়েও নিয়েছিলেন তাঁকে। ওই ম্যাচেই বাঁধিয়ে ফেলেন আরেক দফা ইনজুরি, হন্ডুরাসের বিপক্ষে ম্যাচটা দেখতে হয় বেঞ্চে বসেই। তাঁর জায়গায় সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত খেললেন জেসাস নাভাস। তবুও নাভাস নয়, ইনজুরি কাটিয়ে ফেলা ইনিয়েস্তার ওপরই পরশু ভরসা রেখেছিলেন দেল বস্ক। শুরুতে আবারও একটু নিষ্প্রভ ছিলেন, কিন্তু আস্তে আস্তে নিজেকে ফিরে পান। সেই চমৎকার সব পাস, চোখ-ধাঁধানো স্কিল। দলের জয় নিশ্চিত করা দ্বিতীয় গোলটিও করেছেন বক্সের ভেতর থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে। কোচের আস্থার প্রতিদান দিলেন ‘ডন আন্দ্রেস’ ম্যাচ-সেরা হয়ে।
প্রস্তুতি ম্যাচেই হাত ভেঙে দিদিয়ের দ্রগবার বিশ্বকাপটাই হয়ে গিয়েছিল অনিশ্চিত। প্রথম ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন পুরোপুরি সুস্থ না হয়েই। ব্রাজিলের বিপক্ষে পরের ম্যাচে খেলেছেন পুরো সময়ই, একটি গোলও পেয়েছেন। তবে ইনজুরির জন্যই হয়তো বিচ্ছিন্ন কিছু মুহূর্ত ছাড়া দুটো ম্যাচের একটিতেও সেই বিধ্বংসী দ্রগবাকে দেখা যায়নি। দেখা গেল পরশু। না, স্কোরশিটে দু-তিনবার নাম তুলতে পারেননি। তবে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে দ্রগবাকে দেখা গেছে দ্রগবারূপে। তাঁকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছে প্রতিপক্ষের ডিফেন্স, তাঁর শট বারে লাগার পর ফিরতি বলে হেডে গোল পেয়ে গেছেন রোমারিক। গোল না পেয়েও তাই সেরা দ্রগবা।
নোয়েল ভ্যালাদারেসকে সতীর্থরা ডাকেন ‘দ্য সিক্রেট’, তাঁর লাজুক স্বভাবের জন্য। এই লাজুক ছেলেটিই মাঠে নামলে হয়ে যান অন্য রকম, হন্ডুরাসের গোলপোস্টে আস্থার মূর্ত প্রতীক। ২৮ বছর পর হন্ডুরাসের বিশ্বকাপে আসায় বড় একটা ভূমিকা ছিল নোয়েলের, কনকাকাফ অঞ্চলের বাছাই পর্বে হন্ডুরাস এবার সবচেয়ে কম গোল খেয়েছিল তাঁর বীরত্বেই। পরশু সুইজারল্যান্ডের একের পর এক আক্রমণ ফিরিয়ে দলকে এনে দিলেন এই বিশ্বকাপের একমাত্র পয়েন্ট, হলেন ম্যাচ-সেরা।
No comments