নতুন সংবিধান নিয়েকিরগিজস্তানে আজ গণভোট
জাতিগত দাঙ্গায় ক্ষতবিক্ষত কিরগিজস্তানে আজ রোববার গণভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নতুন সংবিধানকে জনগণ গ্রহণ করবে না বর্জন করবে, তা জানার জন্য এ গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে। গণভোটে যাতে সবাই অংশ নিতে পারে, সে জন্য গতকাল শনিবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ওশ থেকে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। এ মাসের প্রথম দিকে এই ওশ শহরেই কিরগিজ ও উজবেকদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গায় কমপক্ষে ২৬৪ জন নিহত হয়।
কিরগিজস্তানের উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাকতিবেক আলিমবেকভ গতকাল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে কারফিউ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ওশ শহরের বাসিন্দারা কারফিউ আরও কিছুদিন বহাল রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু গণভোটের পর সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্যই তাঁরা সেখান থেকে কারফিউ তুলে নিচ্ছেন। তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রাখা হবে।
ভোট দেওয়ার ব্যাপারে ওশ শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। শহরের একজন বাসিন্দা বলেন, জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। শহরে যা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে তিনি মনে করছেন। আরেক বাসিন্দা জানান, তিনি ভোট দিতে যাবেন না। কারণ তাঁর মতে শহরের অবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
কিরগিজস্তানের নতুন সংবিধানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমানো হয়েছে। এতে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের কথাও বলা হয়েছে। গণভোটে এ সংবিধান পাস হলে কিরগিজস্তান হবে মধ্য এশিয়ার প্রথম সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান রোজা ওতুনবায়েভা জনগণকে নতুন সংবিধানের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিরগিজ কর্মকর্তারা বলছেন, গণভোটে সংবিধানটি পাস হলে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ দেশে একটি স্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এই গণভোট ভণ্ডুলের জন্যই সাবেক সরকারের ইন্ধনে সম্প্রতি দেশে জাতিগত দাঙ্গা হয় বলে তাঁরা দাবি করেছেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এ গণভোটের সমালোচনা করেছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, এ সময়ে গণভোট অনুষ্ঠান সার্বিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, খুব জটিল একটা সময়ে এ ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত পশ্চিমা বিশ্বের প্রধান সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই) কিরগিজস্তানের গণভোট পর্যবেক্ষণের জন্য ৩০০ পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিরাপত্তার কারণে বাতিল করে দিয়েছে।
কিরগিজস্তানের উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাকতিবেক আলিমবেকভ গতকাল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে কারফিউ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ওশ শহরের বাসিন্দারা কারফিউ আরও কিছুদিন বহাল রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু গণভোটের পর সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্যই তাঁরা সেখান থেকে কারফিউ তুলে নিচ্ছেন। তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রাখা হবে।
ভোট দেওয়ার ব্যাপারে ওশ শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। শহরের একজন বাসিন্দা বলেন, জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। শহরে যা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে তিনি মনে করছেন। আরেক বাসিন্দা জানান, তিনি ভোট দিতে যাবেন না। কারণ তাঁর মতে শহরের অবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
কিরগিজস্তানের নতুন সংবিধানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমানো হয়েছে। এতে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের কথাও বলা হয়েছে। গণভোটে এ সংবিধান পাস হলে কিরগিজস্তান হবে মধ্য এশিয়ার প্রথম সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান রোজা ওতুনবায়েভা জনগণকে নতুন সংবিধানের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিরগিজ কর্মকর্তারা বলছেন, গণভোটে সংবিধানটি পাস হলে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ দেশে একটি স্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এই গণভোট ভণ্ডুলের জন্যই সাবেক সরকারের ইন্ধনে সম্প্রতি দেশে জাতিগত দাঙ্গা হয় বলে তাঁরা দাবি করেছেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এ গণভোটের সমালোচনা করেছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, এ সময়ে গণভোট অনুষ্ঠান সার্বিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, খুব জটিল একটা সময়ে এ ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত পশ্চিমা বিশ্বের প্রধান সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই) কিরগিজস্তানের গণভোট পর্যবেক্ষণের জন্য ৩০০ পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিরাপত্তার কারণে বাতিল করে দিয়েছে।
No comments