অঁরির সঙ্গে কেউ কথা বলত না
ফ্রান্সের এই দলটার সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। ১২১ ম্যাচ খেলেছেন, খেলে ফেলেছেন চারটি বিশ্বকাপ। এই অভিজ্ঞতার কারণেই হয়তো, সাম্প্রতিক ফরাসি ‘দুর্যোগ’-এর ব্যাপারে থিয়েরি অঁরির সঙ্গেই আলোচনা করলেন প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি।
প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে অভিজ্ঞতার মর্যাদা পেলেন। কিন্তু অভিজ্ঞ হিসেবে সামান্য মর্যাদা তো দূরে থাক, বিশ্বকাপ দলে নাকি এই অঁরিকে একঘরে হয়েই কাটাতে হয়েছে দিন! বিশ্বকাপে মাঠে ও মাঠের বাইরে শোচনীয় সময় কাটানো ফ্রান্সের বিতর্কিত ঘটনাপ্রবাহে নতুন তথ্য যোগ করে কথাগুলো ফরাসি একটি টেলিভিশনকে বলেছেন অঁরি।
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে ও একটিতে ড্র করে দেশে ফিরেছে ফ্রান্স। দেশে ফেরার আগে কোচকে কুৎসিত গালি দিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন নিকোলাস আনেলকা। আনেলকার বহিষ্কারের প্রতিবাদে খেলোয়াড় ধর্মঘট করে অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন প্যাট্রিস এভরা। সবকিছু বলে দিচ্ছিল, দলের মধ্যে ভাঙন পরিষ্কার।
তবে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের খেলোয়াড় অঁরি বলছেন, দলে ভাঙন ছিল কি না, তিনি জানেন না। তবে তিনি কারও কাছ থেকে কোনো সম্মান পেতেন না, তাঁর সঙ্গে কেউ কথা বলতেন না, ‘এই দলে আমি হয়তো বড় ভাই হতে পারতাম। কিন্তু সেটা হতে পারিনি। নিজেকে একঘরে মনে হতো; কে আমাকে একঘরে বানিয়েছিল, সেটা ব্যাপার না। তবে ওরা আমার সঙ্গে কথাই বলত না। অথচ এর আগে আমার সঙ্গে সবাই কথা বলত। তখন তো আমি নেতৃত্বে ছিলাম।’
নিজের কষ্টটাকে চেপেও অঁরি বলছেন, এত সব বিতর্কের কিছুই হতো না, যদি দল ভালো খেলত। মাঠের পারফরম্যান্স ভালো ছিল না বলেই ভেতরের গল্পগুলো এত বেশি ছড়িয়েছে, ‘আমি মনে করি না, আনেলকার ঘটনাই সব শুরু করেছে। ভেতরে অবশ্যই কিছু অসুস্থতা ছিল। তবে এটাও ঠিক যে আমি কোনো গন্ডগোল দেখিনি। আমি দেখিনি, কেউ কাউকে চাপ দিচ্ছে। আসলে এই বিপর্যয়টা হয়েছে আমরা ভালো খেলিনি বলেই। যখন একটা দল জেতে, তখন সবই চলতে পারে। কিন্তু যখনই তারা হারতে থাকে, তখন গল্পও তৈরি হতে থাকে।’
অঁরি হয়তো ‘গল্প’ বলে ব্যাপারগুলোকে এড়িয়ে যেতে চাইবেন। কিন্তু ভেতরের ঘটনা জানতে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। এই সব বিতর্কেই অধিনায়কত্ব হারানো এভরা আগেই কথা দিয়েছিলেন, সময় হলে সব খুলে বলবেন।
তবে এভরার সময় নাকি এখনো হয়নি। এভরা শুধু জানাচ্ছেন, একটা সরকারি তদন্ত শুরু হচ্ছে ফ্রান্স দলের এই সব কাণ্ডকারখানা খতিয়ে দেখতে। সেখানে খেলোয়াড়েরা সবাই সবকিছু বলবেন, ‘মন্ত্রণালয় একটা তদন্ত শুরু করছে। সেখানে খেলোয়াড়দের শুনানি হবে। সবাই যার যার অভিজ্ঞতার কথা বলবে এবং সত্যি কথাই বলবে। তবে আমি মনে করি, ফরাসি জনগণের কাছে এই যন্ত্রণার কথা বলার সময় এখনো আসেনি। কাউকেই এখন আক্রমণ করা যাবে না। কী হয়েছিল, এটা খুলে বলার মতো অবস্থায় এখন কেউ নেই। ক্ষতটা এখনো দগদগ করছে এবং প্রত্যেকেই যন্ত্রণার মধ্যে আছি।’
সবাই যন্ত্রণার মধ্যে থাকলে, যন্ত্রণার কারণটা কে!
প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে অভিজ্ঞতার মর্যাদা পেলেন। কিন্তু অভিজ্ঞ হিসেবে সামান্য মর্যাদা তো দূরে থাক, বিশ্বকাপ দলে নাকি এই অঁরিকে একঘরে হয়েই কাটাতে হয়েছে দিন! বিশ্বকাপে মাঠে ও মাঠের বাইরে শোচনীয় সময় কাটানো ফ্রান্সের বিতর্কিত ঘটনাপ্রবাহে নতুন তথ্য যোগ করে কথাগুলো ফরাসি একটি টেলিভিশনকে বলেছেন অঁরি।
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে ও একটিতে ড্র করে দেশে ফিরেছে ফ্রান্স। দেশে ফেরার আগে কোচকে কুৎসিত গালি দিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন নিকোলাস আনেলকা। আনেলকার বহিষ্কারের প্রতিবাদে খেলোয়াড় ধর্মঘট করে অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন প্যাট্রিস এভরা। সবকিছু বলে দিচ্ছিল, দলের মধ্যে ভাঙন পরিষ্কার।
তবে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের খেলোয়াড় অঁরি বলছেন, দলে ভাঙন ছিল কি না, তিনি জানেন না। তবে তিনি কারও কাছ থেকে কোনো সম্মান পেতেন না, তাঁর সঙ্গে কেউ কথা বলতেন না, ‘এই দলে আমি হয়তো বড় ভাই হতে পারতাম। কিন্তু সেটা হতে পারিনি। নিজেকে একঘরে মনে হতো; কে আমাকে একঘরে বানিয়েছিল, সেটা ব্যাপার না। তবে ওরা আমার সঙ্গে কথাই বলত না। অথচ এর আগে আমার সঙ্গে সবাই কথা বলত। তখন তো আমি নেতৃত্বে ছিলাম।’
নিজের কষ্টটাকে চেপেও অঁরি বলছেন, এত সব বিতর্কের কিছুই হতো না, যদি দল ভালো খেলত। মাঠের পারফরম্যান্স ভালো ছিল না বলেই ভেতরের গল্পগুলো এত বেশি ছড়িয়েছে, ‘আমি মনে করি না, আনেলকার ঘটনাই সব শুরু করেছে। ভেতরে অবশ্যই কিছু অসুস্থতা ছিল। তবে এটাও ঠিক যে আমি কোনো গন্ডগোল দেখিনি। আমি দেখিনি, কেউ কাউকে চাপ দিচ্ছে। আসলে এই বিপর্যয়টা হয়েছে আমরা ভালো খেলিনি বলেই। যখন একটা দল জেতে, তখন সবই চলতে পারে। কিন্তু যখনই তারা হারতে থাকে, তখন গল্পও তৈরি হতে থাকে।’
অঁরি হয়তো ‘গল্প’ বলে ব্যাপারগুলোকে এড়িয়ে যেতে চাইবেন। কিন্তু ভেতরের ঘটনা জানতে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। এই সব বিতর্কেই অধিনায়কত্ব হারানো এভরা আগেই কথা দিয়েছিলেন, সময় হলে সব খুলে বলবেন।
তবে এভরার সময় নাকি এখনো হয়নি। এভরা শুধু জানাচ্ছেন, একটা সরকারি তদন্ত শুরু হচ্ছে ফ্রান্স দলের এই সব কাণ্ডকারখানা খতিয়ে দেখতে। সেখানে খেলোয়াড়েরা সবাই সবকিছু বলবেন, ‘মন্ত্রণালয় একটা তদন্ত শুরু করছে। সেখানে খেলোয়াড়দের শুনানি হবে। সবাই যার যার অভিজ্ঞতার কথা বলবে এবং সত্যি কথাই বলবে। তবে আমি মনে করি, ফরাসি জনগণের কাছে এই যন্ত্রণার কথা বলার সময় এখনো আসেনি। কাউকেই এখন আক্রমণ করা যাবে না। কী হয়েছিল, এটা খুলে বলার মতো অবস্থায় এখন কেউ নেই। ক্ষতটা এখনো দগদগ করছে এবং প্রত্যেকেই যন্ত্রণার মধ্যে আছি।’
সবাই যন্ত্রণার মধ্যে থাকলে, যন্ত্রণার কারণটা কে!
No comments