৪০ বছর পর শেষ আটে উরুগুয়ে
গোলবন্যার একটা মৌসুম কাটাচ্ছেন লুইস সুয়ারেজ। ক্লাব আর জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬১ ম্যাচে ৫৫ গোল তাঁর। উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের জোড়া গোলে কাল দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-১ গোলে হারাল বিশ্বকাপের প্রথম চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম দল হিসেবে নাম লেখাল কোয়ার্টার ফাইনালে। ১৯৭০ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম সেরা আটে জায়গা করে নিল দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের আট মিনিটেই গোল খেয়ে বসে দক্ষিণ কোরিয়া। ভুলটা তাদেরই। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ডিয়েগো ফোরলানের ক্রস খুঁজে নিয়েছিল ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা সুয়ারেজকে। কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান তিনি। ৪ ডিফেন্ডার আর গোলরক্ষক ছিলেন নীরব দর্শক।
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ফিরে আসে কোরিয়া। প্রথম ২০ মিনিট মুহুর্মুহু আক্রমণে উরুগুয়ে রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিল তারা। এরই ফসল ৬৮ মিনিটে লি চুং-ইয়ংয়ের গোল। ফ্রি-কিক থেকে বক্সের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা লির কাছে পৌঁছে গিয়েছিল বল। টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলকে সমতায় ফেরান এই ফরোয়ার্ড।
২০০২ বিশ্বকাপের স্মৃতি চকিতে ফিরে এসেছিল ২০১০-এ। সেবার দ্বিতীয় রাউন্ডে এভাবেই পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরে এসেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। আন জং-হানের গোল্ডেন গোল ইতালিকে দেশে পাঠিয়ে যৌথ আয়োজকদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল শেষ আটে।
কিন্তু এবার আর ২০০২ হলো না। হবে কী করে, উরুগুয়ে যে এবার ফুটবলের মানচিত্রে আবারও তাদের গৌরব ফিরিয়ে আনার পণ করেছে। দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেশটি সমান বার অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজকও তারা। ব্রাজিল প্রথম শিরোপা জেতার আগেই নিজেদের শোকেসে দু দুটো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের ট্রফি জমা করে ফেলেছিল এই উরুগুয়েই।
সেই গৌরব, সেই অহংবোধ যেন ফিরে এল পোর্ট এলিজাবেথে। উরুগুয়ের ফুটবল-দেবতা যেন ফিরে এলেন সুয়ারেজের মধ্যে। ডান কর্নার থেকে উড়ে আসা বল কাঁধে ছুঁয়ে মাটিতে নামালেন। এরপর ডান পায়ের শটে গোলমুখে দাঁড়িয়ে থাকা জটলার ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে বাঁক খেয়ে ঢুকে গেল জালে। এর আগে ডান পাশের পোস্টে লেগেছিল। কিন্তু এটি গোল না হলে সৌন্দর্যের দেবী ভেনাসই হয়তো অসন্তুষ্ট হতেন। টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় গোলটি পেয়ে গেলেন আয়াক্সের এই স্ট্রাইকার। যেভাবে খেলছেন, দলবদলের বাজারে সুয়ারেজকে নিয়ে না কাড়াকাড়ি পড়ে যায়!
পার্ক জি-সুংয়ের দল তখনো হার মানেনি। ৮৬ মিনিটে লি ডং-গুকের জোরালো শট উরুগুয়ের গোলরক্ষক মুসলেরার হাত থেকে ফসকে গোলের দিকেই যাচ্ছিল। গোলমুখের একদম সামনে থেকে বল ক্লিয়ার করেন এই ডিফেন্ডার। কোরীয়দের ভাগ্যটাই আসলে খারাপ। ম্যাচের ৪ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত তারা। পার্ক চু-ইয়াংয়ের ফ্রি-কিক গিয়ে লেগেছিল বাঁয়ের পোস্টে!
নেলসন ম্যান্ডেলা বে স্টেডিয়ামের ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর দক্ষিণ কোরিয়ার কান্না মিশে একাকার। আর তিনি, ২০০২ বিশ্বকাপে সেই অবিস্মরণীয় গোল্ডেন গোলের নায়ক আন জং-হান শূন্যে দুবার ঘুষি ছুড়লেন নিষ্ফল আক্রোশে। মাঠে যে নামাই হলো না তাঁর!
ম্যাচ শেষে কোচ হু জুং-মু পিঠই চাপড়ে দিলেন শিষ্যদের, ‘আমার ছেলেরা কখনোই হাল ছাড়েনি। তারা লড়াই করে গেছে। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ আমরা সানন্দে বরণ করেছি। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা সত্যিকারের কোরীয়। আমরাও কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে চেয়েছিলাম। অনেক সুযোগও পেয়েছি। উরুগুয়ের সৌভাগ্য, ওরা বেশি গোল করল, যে সৌভাগ্যটা আমাদের হয়নি।’
উরুগুয়েতে শুরু হয়ে গেছে উৎসব। কোচ অস্কার তাবারেজ কথা দিয়েছেন, এই উৎসব আরও দীর্ঘায়িত করতে প্রাণপণ চেষ্টাই করবে তাঁর দল।
ম্যাচের আট মিনিটেই গোল খেয়ে বসে দক্ষিণ কোরিয়া। ভুলটা তাদেরই। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ডিয়েগো ফোরলানের ক্রস খুঁজে নিয়েছিল ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা সুয়ারেজকে। কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান তিনি। ৪ ডিফেন্ডার আর গোলরক্ষক ছিলেন নীরব দর্শক।
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ফিরে আসে কোরিয়া। প্রথম ২০ মিনিট মুহুর্মুহু আক্রমণে উরুগুয়ে রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিল তারা। এরই ফসল ৬৮ মিনিটে লি চুং-ইয়ংয়ের গোল। ফ্রি-কিক থেকে বক্সের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা লির কাছে পৌঁছে গিয়েছিল বল। টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলকে সমতায় ফেরান এই ফরোয়ার্ড।
২০০২ বিশ্বকাপের স্মৃতি চকিতে ফিরে এসেছিল ২০১০-এ। সেবার দ্বিতীয় রাউন্ডে এভাবেই পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরে এসেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। আন জং-হানের গোল্ডেন গোল ইতালিকে দেশে পাঠিয়ে যৌথ আয়োজকদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল শেষ আটে।
কিন্তু এবার আর ২০০২ হলো না। হবে কী করে, উরুগুয়ে যে এবার ফুটবলের মানচিত্রে আবারও তাদের গৌরব ফিরিয়ে আনার পণ করেছে। দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেশটি সমান বার অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজকও তারা। ব্রাজিল প্রথম শিরোপা জেতার আগেই নিজেদের শোকেসে দু দুটো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের ট্রফি জমা করে ফেলেছিল এই উরুগুয়েই।
সেই গৌরব, সেই অহংবোধ যেন ফিরে এল পোর্ট এলিজাবেথে। উরুগুয়ের ফুটবল-দেবতা যেন ফিরে এলেন সুয়ারেজের মধ্যে। ডান কর্নার থেকে উড়ে আসা বল কাঁধে ছুঁয়ে মাটিতে নামালেন। এরপর ডান পায়ের শটে গোলমুখে দাঁড়িয়ে থাকা জটলার ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে বাঁক খেয়ে ঢুকে গেল জালে। এর আগে ডান পাশের পোস্টে লেগেছিল। কিন্তু এটি গোল না হলে সৌন্দর্যের দেবী ভেনাসই হয়তো অসন্তুষ্ট হতেন। টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় গোলটি পেয়ে গেলেন আয়াক্সের এই স্ট্রাইকার। যেভাবে খেলছেন, দলবদলের বাজারে সুয়ারেজকে নিয়ে না কাড়াকাড়ি পড়ে যায়!
পার্ক জি-সুংয়ের দল তখনো হার মানেনি। ৮৬ মিনিটে লি ডং-গুকের জোরালো শট উরুগুয়ের গোলরক্ষক মুসলেরার হাত থেকে ফসকে গোলের দিকেই যাচ্ছিল। গোলমুখের একদম সামনে থেকে বল ক্লিয়ার করেন এই ডিফেন্ডার। কোরীয়দের ভাগ্যটাই আসলে খারাপ। ম্যাচের ৪ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত তারা। পার্ক চু-ইয়াংয়ের ফ্রি-কিক গিয়ে লেগেছিল বাঁয়ের পোস্টে!
নেলসন ম্যান্ডেলা বে স্টেডিয়ামের ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর দক্ষিণ কোরিয়ার কান্না মিশে একাকার। আর তিনি, ২০০২ বিশ্বকাপে সেই অবিস্মরণীয় গোল্ডেন গোলের নায়ক আন জং-হান শূন্যে দুবার ঘুষি ছুড়লেন নিষ্ফল আক্রোশে। মাঠে যে নামাই হলো না তাঁর!
ম্যাচ শেষে কোচ হু জুং-মু পিঠই চাপড়ে দিলেন শিষ্যদের, ‘আমার ছেলেরা কখনোই হাল ছাড়েনি। তারা লড়াই করে গেছে। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ আমরা সানন্দে বরণ করেছি। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা সত্যিকারের কোরীয়। আমরাও কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে চেয়েছিলাম। অনেক সুযোগও পেয়েছি। উরুগুয়ের সৌভাগ্য, ওরা বেশি গোল করল, যে সৌভাগ্যটা আমাদের হয়নি।’
উরুগুয়েতে শুরু হয়ে গেছে উৎসব। কোচ অস্কার তাবারেজ কথা দিয়েছেন, এই উৎসব আরও দীর্ঘায়িত করতে প্রাণপণ চেষ্টাই করবে তাঁর দল।
No comments