টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়তে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা
শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-৮ সম্মেলনের শুরুতেই বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে টেকসই আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপায় নিয়ে সৃষ্ট মতপার্থক্য দূর করার চেষ্টা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। এ ছাড়া দুই পক্ষের মধ্যে আর্থিক ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে অভিন্ন ক্ষেত্র সৃষ্টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
কানাডায় গত শুক্রবার শুরু হওয়া শিল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতারা এ দুটি বিষয় নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাঁরা নিজেদের আর্থিক ঘাটতি পূরণ করে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
উন্নয়নশীল বিশ্বের মা ও শিশুস্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তার জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলো ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এ ঘোষণায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে এ প্রতিশ্রুতির কড়া সমালোচনা করেছে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, ঘাটতি পূরণ করে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যকার এ আর্থিক ঘাটতি তাদের মধ্যে কোনো ধরনের বিভাজনকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
শুক্রবারের আলোচনা শেষে মেরকেল সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপ ও জি-৮-এর সদস্যরাষ্ট্রগুলো ঋণ কমিয়ে আনা ও প্রবৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলেছি, আমাদের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দরকার এবং প্রবৃদ্ধি ও কৌশলী ব্যয় সংকোচনের মধ্যে অসংগতি থাকা উচিত নয়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেছেন, আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। জার্মানির টেকসই আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাবে বিরোধিতা করেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ঘাটতি কমানোর প্রস্তাবকে প্রেসিডেন্ট ওবামা মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি কৌশলের অংশ হিসেবে দেখছেন। ওবামা স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গৃহীত পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার বলেন, ‘আমরা বিশ্বকে সেই দিনের দিকে নিয়ে যেতে চাই, যেদিন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রসূতিকালীন মা ও শিশু মারা যাবে না। এ লক্ষ্যে শিল্পোন্নত দেশগুলো “মুসকোকা পদক্ষেপ” নামের ৫০০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে।’
দারিদ্র্যবিরোধী কর্মসূচির কর্মীরা জি-৮-এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোর এ প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করেছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের পক্ষে মার্ক ফ্রেইড বলেছেন, শিল্পোন্নত দেশগুলো নতুন করে এ সহায়তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে তাদের আগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ার ব্যর্থতাকে আড়াল করতে চাইছে। তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বনেতারা তাঁদের ব্যর্থতার দায়দায়িত্ব কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।
২০০৫ সালে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত জি-৮ সম্মেলনে বিশ্বনেতারা ২০১০ সাল নাগাদ তাঁদের উন্নয়ন-সহায়তা পাঁচ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এ প্রতিশ্রুতি পূরণে এখন পর্যন্ত দুই হাজার কোটি ডলার ঘাটতি রয়েছে।
নতুন প্রতিশ্রুত তহবিলের মধ্যে কানাডা একাই ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন দেবে ১৫০ কোটি ডলার।
জি-৮ সম্মেলনে গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল। এতে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসার কথা।
জি-৮ ও জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে উন্নত, উন্নয়নশীল ও উঠতি অর্থনীতির দেশগুলোর অনেক নেতাই এখন কানাডায় অবস্থান করছেন।
কানাডায় গত শুক্রবার শুরু হওয়া শিল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতারা এ দুটি বিষয় নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাঁরা নিজেদের আর্থিক ঘাটতি পূরণ করে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
উন্নয়নশীল বিশ্বের মা ও শিশুস্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তার জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলো ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এ ঘোষণায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে এ প্রতিশ্রুতির কড়া সমালোচনা করেছে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, ঘাটতি পূরণ করে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যকার এ আর্থিক ঘাটতি তাদের মধ্যে কোনো ধরনের বিভাজনকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
শুক্রবারের আলোচনা শেষে মেরকেল সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপ ও জি-৮-এর সদস্যরাষ্ট্রগুলো ঋণ কমিয়ে আনা ও প্রবৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলেছি, আমাদের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দরকার এবং প্রবৃদ্ধি ও কৌশলী ব্যয় সংকোচনের মধ্যে অসংগতি থাকা উচিত নয়।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেছেন, আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। জার্মানির টেকসই আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাবে বিরোধিতা করেননি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ঘাটতি কমানোর প্রস্তাবকে প্রেসিডেন্ট ওবামা মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি কৌশলের অংশ হিসেবে দেখছেন। ওবামা স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গৃহীত পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার বলেন, ‘আমরা বিশ্বকে সেই দিনের দিকে নিয়ে যেতে চাই, যেদিন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রসূতিকালীন মা ও শিশু মারা যাবে না। এ লক্ষ্যে শিল্পোন্নত দেশগুলো “মুসকোকা পদক্ষেপ” নামের ৫০০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে।’
দারিদ্র্যবিরোধী কর্মসূচির কর্মীরা জি-৮-এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোর এ প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করেছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের পক্ষে মার্ক ফ্রেইড বলেছেন, শিল্পোন্নত দেশগুলো নতুন করে এ সহায়তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে তাদের আগের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ার ব্যর্থতাকে আড়াল করতে চাইছে। তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বনেতারা তাঁদের ব্যর্থতার দায়দায়িত্ব কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।
২০০৫ সালে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত জি-৮ সম্মেলনে বিশ্বনেতারা ২০১০ সাল নাগাদ তাঁদের উন্নয়ন-সহায়তা পাঁচ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এ প্রতিশ্রুতি পূরণে এখন পর্যন্ত দুই হাজার কোটি ডলার ঘাটতি রয়েছে।
নতুন প্রতিশ্রুত তহবিলের মধ্যে কানাডা একাই ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন দেবে ১৫০ কোটি ডলার।
জি-৮ সম্মেলনে গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল। এতে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসার কথা।
জি-৮ ও জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে উন্নত, উন্নয়নশীল ও উঠতি অর্থনীতির দেশগুলোর অনেক নেতাই এখন কানাডায় অবস্থান করছেন।
No comments