এ দায়িত্বহীনতার জবাব কী -ঢাবিতে পরীক্ষার ফল জট
পরীক্ষার
ফল প্রকাশের দাবিতে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের
মিছিল ও ভাঙচুর করার ঘটনা দুঃখজনক হলেও এর জন্য তাঁদের দায়ী করা কঠিন।
পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইন বিভাগের পরীক্ষার ফল আট মাস ও দর্শন
বিভাগের সাড়ে চার মাস ধরে ঝুলে আছে। এ ব্যাপারে তাঁরা বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও
শিক্ষকদের কাছে একাধিকবার ধরনা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। ফল প্রকাশের
দাবিতে শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামতে হয়েছে। এর জবাব কী?
শিক্ষকদের বলা হয় জাতির বিবেক। তাঁরাই দেশ ও জাতিকে সঠিক পথ দেখাবেন। এখন দেখা যাচ্ছে, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকেরাও চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।
যেখানে তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা আছে, সেখানে আট মাস ঝুলিয়ে রাখার কী যুক্তি থাকতে পারে? সময়মতো ফল প্রকাশ না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী চলতি বছরের বিসিএস পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারছেন না। এ কারণে তাঁরা আরও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। জবাবে কোনো কোনো শিক্ষক পরীক্ষার ফল প্রকাশে আরও বিলম্ব হবে বলে হুমকিও দিয়েছেন। এটি অগ্রহণযোগ্য। একটি অন্যায়কে ঢাকতে তাঁরা আরও অন্যায়ের আশ্রয় নিয়েছেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কেবল পরীক্ষার ফল প্রকাশেই বিলম্ব হয় তা নয়, ভর্তি থেকে চূড়ান্ত—সব পরীক্ষার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। না হলে ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অনেক আগেই পাস করে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফল নিয়েও নানা কেলেঙ্কারি হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এভাবে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। শিক্ষকেরা যদি ঠিকমতো ক্লাস না নেন, পরীক্ষা না নেন, ফল প্রকাশ না করেন তাহলে তাঁদের সেখানে থাকারই বা দরকার কী? অনেক শিক্ষক ক্যাম্পাস-বহির্ভূত কাজে ব্যস্ত থাকেন, বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করে থাকেন। কিন্তু তাঁরা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করতে পারেন না।
আইন ও দর্শন বিভাগের পরীক্ষার ফল প্রকাশে কেন বিলম্ব হলো, সে ব্যাপারে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। যাঁরা এর জন্য দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। কতিপয় শিক্ষকের খামখেয়ালি ও দায়িত্বহীনতার জন্য শত শত শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হবে, তা চলতে পারে না। অবিলম্বে আইন ও দর্শন বিভাগের পরীক্ষার ফল প্রকাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপাচার্যের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শিক্ষকদের বলা হয় জাতির বিবেক। তাঁরাই দেশ ও জাতিকে সঠিক পথ দেখাবেন। এখন দেখা যাচ্ছে, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকেরাও চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।
যেখানে তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা আছে, সেখানে আট মাস ঝুলিয়ে রাখার কী যুক্তি থাকতে পারে? সময়মতো ফল প্রকাশ না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী চলতি বছরের বিসিএস পরীক্ষায়ও অংশ নিতে পারছেন না। এ কারণে তাঁরা আরও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। জবাবে কোনো কোনো শিক্ষক পরীক্ষার ফল প্রকাশে আরও বিলম্ব হবে বলে হুমকিও দিয়েছেন। এটি অগ্রহণযোগ্য। একটি অন্যায়কে ঢাকতে তাঁরা আরও অন্যায়ের আশ্রয় নিয়েছেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কেবল পরীক্ষার ফল প্রকাশেই বিলম্ব হয় তা নয়, ভর্তি থেকে চূড়ান্ত—সব পরীক্ষার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। না হলে ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অনেক আগেই পাস করে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফল নিয়েও নানা কেলেঙ্কারি হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এভাবে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। শিক্ষকেরা যদি ঠিকমতো ক্লাস না নেন, পরীক্ষা না নেন, ফল প্রকাশ না করেন তাহলে তাঁদের সেখানে থাকারই বা দরকার কী? অনেক শিক্ষক ক্যাম্পাস-বহির্ভূত কাজে ব্যস্ত থাকেন, বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করে থাকেন। কিন্তু তাঁরা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করতে পারেন না।
আইন ও দর্শন বিভাগের পরীক্ষার ফল প্রকাশে কেন বিলম্ব হলো, সে ব্যাপারে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। যাঁরা এর জন্য দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। কতিপয় শিক্ষকের খামখেয়ালি ও দায়িত্বহীনতার জন্য শত শত শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হবে, তা চলতে পারে না। অবিলম্বে আইন ও দর্শন বিভাগের পরীক্ষার ফল প্রকাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপাচার্যের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
No comments