যেভাবে বদলে গেল চেলসি
ঠিক যেন ৬৯-এর উল্টে যাওয়া। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর চেলসির ভাগ্যের চাকাটা ঠিক এভাবেই ঘুরে গেল। তিন সপ্তাহ আগে মনে হচ্ছিল ম্যানইউ সবই পেতে চলেছে, আর চেলসি যাচ্ছে সব হারাতে। আর এখন ঠিক উল্টো। চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা-স্বপ্ন তো শেষ হয়েছেই, লিগেও ম্যানইউর দুর্দিন। ওদিকে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে চেলসির ‘ডাবল’ জয়ের আশা।
ইন্টার মিলানের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে চেলসি। পরের সপ্তাহে ব্ল্যাকবার্নের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র তাদের পেছনে ঠেলে দিয়েছিল প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াই থেকেও। ম্যানইউ তখন এগিয়ে চলছিল দুর্দান্ত গতিতে। দারুণ খেলে উঠেছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে।
ম্যানইউর ভাগ্যের চাকা উল্টো ঘুরতে শুরু করে এর পর থেকেই। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্নের কাছে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় লেগে জয় পেয়েও লাভ হয়নি। প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি গোল করার সুবাদে সেমিফাইনালে উঠে গেছে বায়ার্ন। এই দুই ম্যাচের মাঝে প্রিমিয়ার লিগে চেলসির কাছে নিজেদের মাঠে হেরেছে অ্যালেক্স ফার্গুসনের দল। আর পরশু গোলশূন্য ড্র করল সেই ব্ল্যাকবার্নের সঙ্গে, যারা ড্র উপহার দিয়েছিল চেলসিকেও।
কেন হঠাৎ এমন মেঘে ঢেকে গেল ম্যানইউয়ের আকাশ? কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন দায় চাপাচ্ছেন দুর্ভাগ্যের কাঁধে! ‘আমরা আসলে দুর্ভাগ্যের শিকার। চোট-আঘাতই আমাদের পেছনে ঠেলে দিয়েছে’—বলেছেন তিনি। বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোট পেয়েছেন দলের সেরা খেলোয়াড় ওয়েইন রুনি। আর পরশু ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে আহত হয়ে বাইরে ছিটকে পড়েছে রিও ফার্ডিনান্ড, জন ও’শেয়া ও রায়ান গিগসকে। সব মিলিয়ে ফার্গুসনও হতাশাটা গোপন করতে পারছেন না, ‘শিরোপাটা দূরে সরে যাচ্ছে আমাদের কাছ থেকে। এসব ম্যাচে (ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে ম্যাচ) ভালো ফল না পেলে তো শিরোপা দূরে সরে যাবেই।’
ম্যানইউ-চেলসি দুদলেরই আর চারটি করে ম্যাচ বাকি। এ সময়ে এসে কার্যত ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়লে শিরোপার আশা ছেড়েই দিতে হবে! ৩৪ ম্যাচে ম্যানইউর পয়েন্ট ৭৩। এক ম্যাচ কম খেলে চেলসির ৭৪। আজ নিজেদের মাঠে বোল্টনের বিপক্ষে জিতলেই পয়েন্টের ব্যবধান হয়ে যাবে ৪।
ম্যানইউর বিবর্ণ হয়ে পড়ার একটা ব্যাখ্যা তো দিলেন ফার্গুসন, কিন্তু চেলসির হঠাৎ এই রং বদলের রহস্য কী? অধিনায়ক জন টেরির কথা অনুযায়ী একটি ‘সংকটকালীন সভা’ই বদলে দিয়েছে চেলসিকে। ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে ড্রয়ের পর কোচ কার্লো আনচেলত্তি তাঁর কোচিং সহযোগী এবং খেলোয়াড়দের নিয়ে বসেছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় খুঁজতে। ওই সভাটিকেই এখন ধন্যবাদ দিচ্ছেন টেরি, ‘খুব বেশি নয়, অল্প সময়ের জন্যই আমরা একসঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু সেই থেকেই আমরা ভালো খেলছি আর প্রচুর গোলও করছি।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লড়াই আছে আরও একটি—চতুর্থ হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে নাম লেখানো। পরশু ফুলহামের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করায় এ লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়েছে লিভারপুল। ওনুওহা ও আদেবায়োরের জোড়া গোলের সঙ্গে কার্লোস তেভেজের গোল মিলিয়ে বার্মিংহামকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়ে চার নম্বরে এখন ম্যানচেস্টার সিটি (৩৩ ম্যাচে ৬২)। এ লড়াইয়ে ম্যান সিটির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টটেনহাম (৩২ ম্যাচে ৫৮)। ৩৪ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে সামনে অন্তহীন অন্ধকারই দেখছে বেনিতেজের দল
ইন্টার মিলানের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে চেলসি। পরের সপ্তাহে ব্ল্যাকবার্নের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র তাদের পেছনে ঠেলে দিয়েছিল প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াই থেকেও। ম্যানইউ তখন এগিয়ে চলছিল দুর্দান্ত গতিতে। দারুণ খেলে উঠেছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে।
ম্যানইউর ভাগ্যের চাকা উল্টো ঘুরতে শুরু করে এর পর থেকেই। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্নের কাছে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় লেগে জয় পেয়েও লাভ হয়নি। প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি গোল করার সুবাদে সেমিফাইনালে উঠে গেছে বায়ার্ন। এই দুই ম্যাচের মাঝে প্রিমিয়ার লিগে চেলসির কাছে নিজেদের মাঠে হেরেছে অ্যালেক্স ফার্গুসনের দল। আর পরশু গোলশূন্য ড্র করল সেই ব্ল্যাকবার্নের সঙ্গে, যারা ড্র উপহার দিয়েছিল চেলসিকেও।
কেন হঠাৎ এমন মেঘে ঢেকে গেল ম্যানইউয়ের আকাশ? কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন দায় চাপাচ্ছেন দুর্ভাগ্যের কাঁধে! ‘আমরা আসলে দুর্ভাগ্যের শিকার। চোট-আঘাতই আমাদের পেছনে ঠেলে দিয়েছে’—বলেছেন তিনি। বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোট পেয়েছেন দলের সেরা খেলোয়াড় ওয়েইন রুনি। আর পরশু ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে আহত হয়ে বাইরে ছিটকে পড়েছে রিও ফার্ডিনান্ড, জন ও’শেয়া ও রায়ান গিগসকে। সব মিলিয়ে ফার্গুসনও হতাশাটা গোপন করতে পারছেন না, ‘শিরোপাটা দূরে সরে যাচ্ছে আমাদের কাছ থেকে। এসব ম্যাচে (ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে ম্যাচ) ভালো ফল না পেলে তো শিরোপা দূরে সরে যাবেই।’
ম্যানইউ-চেলসি দুদলেরই আর চারটি করে ম্যাচ বাকি। এ সময়ে এসে কার্যত ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়লে শিরোপার আশা ছেড়েই দিতে হবে! ৩৪ ম্যাচে ম্যানইউর পয়েন্ট ৭৩। এক ম্যাচ কম খেলে চেলসির ৭৪। আজ নিজেদের মাঠে বোল্টনের বিপক্ষে জিতলেই পয়েন্টের ব্যবধান হয়ে যাবে ৪।
ম্যানইউর বিবর্ণ হয়ে পড়ার একটা ব্যাখ্যা তো দিলেন ফার্গুসন, কিন্তু চেলসির হঠাৎ এই রং বদলের রহস্য কী? অধিনায়ক জন টেরির কথা অনুযায়ী একটি ‘সংকটকালীন সভা’ই বদলে দিয়েছে চেলসিকে। ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে ড্রয়ের পর কোচ কার্লো আনচেলত্তি তাঁর কোচিং সহযোগী এবং খেলোয়াড়দের নিয়ে বসেছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় খুঁজতে। ওই সভাটিকেই এখন ধন্যবাদ দিচ্ছেন টেরি, ‘খুব বেশি নয়, অল্প সময়ের জন্যই আমরা একসঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু সেই থেকেই আমরা ভালো খেলছি আর প্রচুর গোলও করছি।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লড়াই আছে আরও একটি—চতুর্থ হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে নাম লেখানো। পরশু ফুলহামের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করায় এ লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়েছে লিভারপুল। ওনুওহা ও আদেবায়োরের জোড়া গোলের সঙ্গে কার্লোস তেভেজের গোল মিলিয়ে বার্মিংহামকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়ে চার নম্বরে এখন ম্যানচেস্টার সিটি (৩৩ ম্যাচে ৬২)। এ লড়াইয়ে ম্যান সিটির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টটেনহাম (৩২ ম্যাচে ৫৮)। ৩৪ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে সামনে অন্তহীন অন্ধকারই দেখছে বেনিতেজের দল
No comments