যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে নতুন গতি এলেও অর্থনৈতিক দূরত্ব আগের মতোই
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে চলতে থাকা শীতল সম্পর্কে এবার উষ্ণতার ছোঁয়া লেগেছে। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত দুই দিনের পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। সম্মেলনের ফাঁকে গতকাল সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও হু জিনতাও বৈঠকও করেছেন। রাজনৈতিক বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলার আভাস মিললেও অর্থনৈতিক বিষয়ে এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ওবামা-হু জিনতাওয়ের মধ্যকার এ বৈঠক একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বিগত দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে যে ধরনের তিক্ততাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছিল, এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে সে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটেছে। এ বৈঠক উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটাবে ও ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওই বৈঠকে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বিতর্ক, সামরিক সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে উভয় দেশ আরও বন্ধুত্বপূর্ণভাবে কীভাবে কাজ করতে পারে, তা স্থান পেয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি, দালাই লামার সঙ্গে ওবামার বৈঠক, ডলারের বিপরীতে চীনের মুদ্রার বর্তমান বিনিময় হার বিতর্ক, চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা প্রভৃতি বিষয়কে কেন্দ্র করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। হোয়াইট হাউসে ওবামার আগমনের পর মনে করা হচ্ছিল, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নতুন মোড় নেবে। কিন্তু ওবামার বিভিন্ন পদক্ষেপ চীনকে হতাশ করেছে। সর্বশেষ চীনের মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের তিক্ততা বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চীন কৃত্রিমভাবে তাদের মুদ্রার বিনিময় হার কমিয়ে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র মুদ্রার বিনিময় হার কৃত্রিমভাবে কমিয়ে রাখার কারসাজিসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশেরও ঘোষণা দেয় এবং চীনকে এ-সংক্রান্ত কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করারও ইঙ্গিত দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে এতটাই চির ধরেছিল যে ওয়াশিংটনে পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনে চীনের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তবে এপ্রিলের শুরুতেই নাটকীয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে উন্নতির আভাস পাওয়া যায়। ১ এপ্রিল বেইজিং ঘোষণা করে, প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও ওয়াশিংটনের পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেবেন। বেইজিংয়ের ওই ঘোষণার পরই ওয়াশিংটন বলছে, তারা মুদ্রাবিনিময় হার কারসাজিসংক্রান্ত প্রতিবেদনটি কিছুটা পরে প্রকাশ করবে। যুক্তরাষ্ট্র চীনকে আশ্বস্ত করে বলেছে, ওয়াশিংটন চীনের স্বার্থের পক্ষেই আছে।
১ এপ্রিল হু জিনতাওয়ের সঙ্গে ওবামার টেলিফোন আলাপও হয়েছে। ওই আলাপে ওবামা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে চীনের ইতিবাচক মনোভাব লক্ষ করা গেলেও মুদ্রার বিনিময় হার পুনর্মূল্যায়নের বিষয়টিতে তারা এখনো সম্মত হয়নি। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, অর্থনৈতিক বিরোধগুলোও হয়তো মিটে যাবে। কেননা, এর আগে বিভিন্ন সময়ে চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার হুমকি দিলেও এ পর্যন্ত সে রকম কোনো পদক্ষেপ তারা নেয়নি। হু জিনতাও তাঁর এ সফরে তাঁদের মুদ্রার বিনিময় হার পুনর্মূল্যায়ন করা ও অন্য অমীমাংসিত অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
বিশ্লেষক জে জে অনজের মতে, ‘চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক একটা ওঠানামা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’ বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীনা মুদ্রার বিনিময় হার পুনর্মূল্যায়ন এবং ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বিষয়ে চীন যদি যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করে, তাহলে দুই দেশের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরির পথ প্রশস্ত হবে। তবে এটা খুব একটা সহজ হবে না।
দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন-প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে হু জিনতাও এ বছরের শেষের দিকে আবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যেতে পারেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসও এ বছর চীন সফরে যেতে পারেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, অন্তত এ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে বলা যায়, উভয় দেশের মধ্যে চলমান তিক্ততা কমেছে এবং উভয় পক্ষই ভালো কিছু প্রত্যাশা করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ওবামা-হু জিনতাওয়ের মধ্যকার এ বৈঠক একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বিগত দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে যে ধরনের তিক্ততাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছিল, এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে সে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটেছে। এ বৈঠক উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটাবে ও ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওই বৈঠকে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বিতর্ক, সামরিক সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে উভয় দেশ আরও বন্ধুত্বপূর্ণভাবে কীভাবে কাজ করতে পারে, তা স্থান পেয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি, দালাই লামার সঙ্গে ওবামার বৈঠক, ডলারের বিপরীতে চীনের মুদ্রার বর্তমান বিনিময় হার বিতর্ক, চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা প্রভৃতি বিষয়কে কেন্দ্র করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। হোয়াইট হাউসে ওবামার আগমনের পর মনে করা হচ্ছিল, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নতুন মোড় নেবে। কিন্তু ওবামার বিভিন্ন পদক্ষেপ চীনকে হতাশ করেছে। সর্বশেষ চীনের মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের তিক্ততা বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চীন কৃত্রিমভাবে তাদের মুদ্রার বিনিময় হার কমিয়ে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র মুদ্রার বিনিময় হার কৃত্রিমভাবে কমিয়ে রাখার কারসাজিসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশেরও ঘোষণা দেয় এবং চীনকে এ-সংক্রান্ত কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করারও ইঙ্গিত দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে এতটাই চির ধরেছিল যে ওয়াশিংটনে পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনে চীনের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তবে এপ্রিলের শুরুতেই নাটকীয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে উন্নতির আভাস পাওয়া যায়। ১ এপ্রিল বেইজিং ঘোষণা করে, প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও ওয়াশিংটনের পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেবেন। বেইজিংয়ের ওই ঘোষণার পরই ওয়াশিংটন বলছে, তারা মুদ্রাবিনিময় হার কারসাজিসংক্রান্ত প্রতিবেদনটি কিছুটা পরে প্রকাশ করবে। যুক্তরাষ্ট্র চীনকে আশ্বস্ত করে বলেছে, ওয়াশিংটন চীনের স্বার্থের পক্ষেই আছে।
১ এপ্রিল হু জিনতাওয়ের সঙ্গে ওবামার টেলিফোন আলাপও হয়েছে। ওই আলাপে ওবামা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে চীনের ইতিবাচক মনোভাব লক্ষ করা গেলেও মুদ্রার বিনিময় হার পুনর্মূল্যায়নের বিষয়টিতে তারা এখনো সম্মত হয়নি। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, অর্থনৈতিক বিরোধগুলোও হয়তো মিটে যাবে। কেননা, এর আগে বিভিন্ন সময়ে চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার হুমকি দিলেও এ পর্যন্ত সে রকম কোনো পদক্ষেপ তারা নেয়নি। হু জিনতাও তাঁর এ সফরে তাঁদের মুদ্রার বিনিময় হার পুনর্মূল্যায়ন করা ও অন্য অমীমাংসিত অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
বিশ্লেষক জে জে অনজের মতে, ‘চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক একটা ওঠানামা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’ বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীনা মুদ্রার বিনিময় হার পুনর্মূল্যায়ন এবং ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বিষয়ে চীন যদি যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করে, তাহলে দুই দেশের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরির পথ প্রশস্ত হবে। তবে এটা খুব একটা সহজ হবে না।
দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন-প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে হু জিনতাও এ বছরের শেষের দিকে আবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যেতে পারেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসও এ বছর চীন সফরে যেতে পারেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, অন্তত এ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে বলা যায়, উভয় দেশের মধ্যে চলমান তিক্ততা কমেছে এবং উভয় পক্ষই ভালো কিছু প্রত্যাশা করছে।
No comments