পরমাণু অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে আল-কায়েদা: ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা পরমাণু অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টায় আছে। এ অস্ত্র আল-কায়েদার হাতে গেলে, তারা তা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে কুণ্ঠা বোধ করবে না। তিনি বলেছেন, আল-কায়েদার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে পরমাণু অস্ত্র চলে গেলে তা যুক্তরাষ্ট্রের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। হোয়াইট হাউসে দুই দিনব্যাপী পরমাণু সম্মেলন শুরু হওয়ার এক দিন আগে গত রোববার প্রেসিডেন্ট ওবামা এ কথা বলেন। পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার ও অপব্যবহার রোধের উপায় খুঁজতে প্রায় ৪৭টি দেশের নেতারা গতকাল সোমবার দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। গত ৬৫ বছরে এই প্রথমবারের মতো কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সভাপতিত্বে এ ধরনের সম্মেলন হচ্ছে। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা আগামী চার বছরের মধ্যে বিশ্বের সব অরক্ষিত পরমাণু অস্ত্র ও এর কাঁচামাল নিয়ন্ত্রণে আনার যে প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন, সম্মেলনে তিনি সে ব্যাপারে বিশ্বনেতাদের সহযোগিতা চাইবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত রোববার সম্মেলনে আসা বিশ্বনেতাদের মধ্য থেকে মুষ্টিমেয় কয়েকজনের সঙ্গে ওবামা বৈঠক করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা ও কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভ। হোয়াইট হাউসের ব্লেয়ার হাউসে তাঁদের সবার সঙ্গে ওবামা বৈঠক করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের সঙ্গে বৈঠকের সময় মনমোহন ওবামাকে পাকিস্তানের ওপর সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি চাপ দেওয়ার অনুরোধ করেন। বিশেষ করে, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে পাকিস্তানকে কঠোর হওয়ার ব্যাপারে চাপ দিতে তিনি প্রেসিডেন্ট ওবামাকে অনুরোধ জানান।
গত রোববার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সঙ্গে বৈঠকে ওবামা বলেন, পাকিস্তান তাঁর প্রিয় দেশগুলোর একটি। কলেজজীবনে তিনি সে দেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ওবামা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় উগ্রপন্থীদের উত্থান ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সহযোগী দেশ হিসেবে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কয়েক দিন আগে পেশোয়ারে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলার পর পাকিস্তানের নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থা ও তৎপরতারও প্রশংসা করেন ওবামা।
তাঁদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওবামা সাংবাদিকদের বলেন, পরমাণু-সন্ত্রাস এমন এক ভয়াবহ বিষয়, যা রাতারাতি যুক্তরাষ্ট্র এমনকি সারা পৃথিবীর নিরাপত্তাব্যবস্থাকে তছনছ করে দিতে পারে।
ওবামা বলেন, যদি কখনো নিউইয়র্ক সিটি অথবা লন্ডন অথবা জোহানেসবার্গে পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটে তাহলে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তার দিক থেকে সারা পৃথিবীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মহা বিপর্যয় নেমে আসবে।
ওবামা বলেন, ‘আমরা জানি, আল-কায়েদার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো পরমাণু অস্ত্র হস্তগত করার চেষ্টা করছে। এটা হাতে পেয়ে গেলে তা ব্যবহার করতে তারা এতটুকুও পিছপা হবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয়, পৃথিবীতে এখনো অনেক পরমাণুসামগ্রী নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এসব ছড়ানো-ছিটানো পরমাণুসামগ্রীকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন করা যায়, এ সম্মেলনে তারই উপায় খোঁজা হবে।’
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শীতলযুদ্ধের অবসানের পর কাজাখস্তান সোভিয়েত আমলের পরমাণু অস্ত্র হস্তান্তর করলেও এখনো সে দেশ নিজেদের শীর্ষস্থানীয় ইউরেনিয়াম রপ্তানিকারক বলে দাবি করে থাকে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে ওবামা কাজাখ প্রেসিডেন্ট নাজারবায়েভের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে আলোচনা করেছেন
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা আগামী চার বছরের মধ্যে বিশ্বের সব অরক্ষিত পরমাণু অস্ত্র ও এর কাঁচামাল নিয়ন্ত্রণে আনার যে প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন, সম্মেলনে তিনি সে ব্যাপারে বিশ্বনেতাদের সহযোগিতা চাইবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত রোববার সম্মেলনে আসা বিশ্বনেতাদের মধ্য থেকে মুষ্টিমেয় কয়েকজনের সঙ্গে ওবামা বৈঠক করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা ও কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভ। হোয়াইট হাউসের ব্লেয়ার হাউসে তাঁদের সবার সঙ্গে ওবামা বৈঠক করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের সঙ্গে বৈঠকের সময় মনমোহন ওবামাকে পাকিস্তানের ওপর সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি চাপ দেওয়ার অনুরোধ করেন। বিশেষ করে, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে পাকিস্তানকে কঠোর হওয়ার ব্যাপারে চাপ দিতে তিনি প্রেসিডেন্ট ওবামাকে অনুরোধ জানান।
গত রোববার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সঙ্গে বৈঠকে ওবামা বলেন, পাকিস্তান তাঁর প্রিয় দেশগুলোর একটি। কলেজজীবনে তিনি সে দেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ওবামা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় উগ্রপন্থীদের উত্থান ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সহযোগী দেশ হিসেবে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কয়েক দিন আগে পেশোয়ারে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলার পর পাকিস্তানের নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থা ও তৎপরতারও প্রশংসা করেন ওবামা।
তাঁদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওবামা সাংবাদিকদের বলেন, পরমাণু-সন্ত্রাস এমন এক ভয়াবহ বিষয়, যা রাতারাতি যুক্তরাষ্ট্র এমনকি সারা পৃথিবীর নিরাপত্তাব্যবস্থাকে তছনছ করে দিতে পারে।
ওবামা বলেন, যদি কখনো নিউইয়র্ক সিটি অথবা লন্ডন অথবা জোহানেসবার্গে পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটে তাহলে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তার দিক থেকে সারা পৃথিবীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মহা বিপর্যয় নেমে আসবে।
ওবামা বলেন, ‘আমরা জানি, আল-কায়েদার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো পরমাণু অস্ত্র হস্তগত করার চেষ্টা করছে। এটা হাতে পেয়ে গেলে তা ব্যবহার করতে তারা এতটুকুও পিছপা হবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয়, পৃথিবীতে এখনো অনেক পরমাণুসামগ্রী নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এসব ছড়ানো-ছিটানো পরমাণুসামগ্রীকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন করা যায়, এ সম্মেলনে তারই উপায় খোঁজা হবে।’
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শীতলযুদ্ধের অবসানের পর কাজাখস্তান সোভিয়েত আমলের পরমাণু অস্ত্র হস্তান্তর করলেও এখনো সে দেশ নিজেদের শীর্ষস্থানীয় ইউরেনিয়াম রপ্তানিকারক বলে দাবি করে থাকে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে ওবামা কাজাখ প্রেসিডেন্ট নাজারবায়েভের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে আলোচনা করেছেন
No comments