ভারত-পাকিস্তান বৈঠক কাল
দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এদিকে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আসন্ন পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গসহ সব দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা করতে চায় পাকিস্তান।
২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাই হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সংলাপ স্থগিত করে দেয় ভারত। মুম্বাই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক ইসলামি জঙ্গিদের দায়ী করে আসছে নয়াদিল্লি।
ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানে তত্পর বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ায় তারা আবার আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, আলোচনায় বসার জন্য বহির্বিশ্বের, বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চাপ ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায়। কারণ, দেশ দুটির সীমান্তবর্তী দেশ আফগানিস্তানে তালেবানবিরোধী যুদ্ধে নতুন করে বেশ কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা কে সি সিং বলেন, এটাকে আন্তর্জাতিক চাপ বা বন্ধুত্বপূর্ণ আহ্বান, যা খুশি বলা যেতে পারে। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে গঠিত ভারত-পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী টাস্কফোর্সের প্রধান ছিলেন তিনি।
পাকিস্তান অবশ্য এ সংলাপ আবার শুরু করতে সহায়তা করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছেন, আসন্ন পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গসহ সব দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা করতে চায় পাকিস্তান। তিনি বলেন, তাঁরা মনে করেন, ভারত যদি সংলাপকে ‘সংকীর্ণ আলোচ্যসূচিতে’ সীমাবদ্ধ রাখে, তাহলে যথেষ্ট অগ্রগতি হবে না। গতকাল মঙ্গলবার বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে সামগ্রিক সংলাপ-প্রক্রিয়া নিকট ভবিষ্যতে শুরু হবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য পাকিস্তান সরকার ঐকান্তিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মতো প্রধান ইস্যুসহ বিরাজমান সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় পাকিস্তান।
চীনের গবেষণা সংস্থা চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে ‘পাকিস্তানস চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড আওয়ার রেসপন্স’ শীর্ষক এক বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৪ মাস পর ভারত আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। সংলাপের জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে তারা। আমরা সংলাপ চাই, তবে ওই সংলাপ হতে হবে অর্থপূর্ণ।’
পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংলাপ যাতে অর্থপূর্ণ ও ফলপ্রসূ হয়, সে জন্য তাঁরা চান, সব ইস্যুই আলোচনার টেবিলে তোলা হোক। কোরেশি আরও বলেন, ভারত যদি আলোচ্যসূচি সীমাবদ্ধ করে, কিংবা নিজেদের তাত্ক্ষণিক প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে সংলাপকে সংকীর্ণ করার চেষ্টা করে, তাহলে যথেষ্ট অগ্রগতি হবে না।
২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাই হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সংলাপ স্থগিত করে দেয় ভারত। মুম্বাই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক ইসলামি জঙ্গিদের দায়ী করে আসছে নয়াদিল্লি।
ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানে তত্পর বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ায় তারা আবার আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, আলোচনায় বসার জন্য বহির্বিশ্বের, বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চাপ ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায়। কারণ, দেশ দুটির সীমান্তবর্তী দেশ আফগানিস্তানে তালেবানবিরোধী যুদ্ধে নতুন করে বেশ কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা কে সি সিং বলেন, এটাকে আন্তর্জাতিক চাপ বা বন্ধুত্বপূর্ণ আহ্বান, যা খুশি বলা যেতে পারে। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে গঠিত ভারত-পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী টাস্কফোর্সের প্রধান ছিলেন তিনি।
পাকিস্তান অবশ্য এ সংলাপ আবার শুরু করতে সহায়তা করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছেন, আসন্ন পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গসহ সব দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা করতে চায় পাকিস্তান। তিনি বলেন, তাঁরা মনে করেন, ভারত যদি সংলাপকে ‘সংকীর্ণ আলোচ্যসূচিতে’ সীমাবদ্ধ রাখে, তাহলে যথেষ্ট অগ্রগতি হবে না। গতকাল মঙ্গলবার বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে সামগ্রিক সংলাপ-প্রক্রিয়া নিকট ভবিষ্যতে শুরু হবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য পাকিস্তান সরকার ঐকান্তিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মতো প্রধান ইস্যুসহ বিরাজমান সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় পাকিস্তান।
চীনের গবেষণা সংস্থা চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে ‘পাকিস্তানস চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড আওয়ার রেসপন্স’ শীর্ষক এক বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৪ মাস পর ভারত আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। সংলাপের জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে তারা। আমরা সংলাপ চাই, তবে ওই সংলাপ হতে হবে অর্থপূর্ণ।’
পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংলাপ যাতে অর্থপূর্ণ ও ফলপ্রসূ হয়, সে জন্য তাঁরা চান, সব ইস্যুই আলোচনার টেবিলে তোলা হোক। কোরেশি আরও বলেন, ভারত যদি আলোচ্যসূচি সীমাবদ্ধ করে, কিংবা নিজেদের তাত্ক্ষণিক প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে সংলাপকে সংকীর্ণ করার চেষ্টা করে, তাহলে যথেষ্ট অগ্রগতি হবে না।
No comments