অপরাধ কন্যাসন্তান জন্মদান -আমরা কোন যুগে বাস করছি
পরিবারের সদস্যের দ্বারা নির্যাতিত নারীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গত সোমবার পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে পারিবারিক পরিসরে নারীর আইনি সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটবে, এমন আশা আমাদের রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে কেবল আইন প্রণয়নই যে যথেষ্ট নয়, এর প্রমাণ পাওয়া গেল তৃতীয়বারের মতো কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়া এক মায়ের করুণ পরিণতির সংবাদে। নারীর প্রতি এমন দৃষ্টিভঙ্গি ও সহিংসতার মূলে আছে আমাদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মনোভাব। এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না গেলে শুধু আইন দিয়ে এ ধরনের আচরণ ও সহিংসতা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না।
সামাজিকভাবে লোকজন দিন দিন সচেতন হলেও ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ ও নারীদের উত্ত্যক্তের মতো নানা নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। এখনো কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে প্রাণ দিতে হয় মাকে। বাস্তবে নারীর অসহায়ত্ব যে কতটা ব্যাপক, তা আবারও স্পষ্ট হলো ‘তৃতীয়বারও মেয়ে হওয়ায় মরতে হলো সাহেরাকে’ শীর্ষক সংবাদে। পারিবারিক সহিংসতা আইনের নীতিগত অনুমোদনের খবর যেদিন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, সেই মঙ্গলবারের প্রথম আলোতেই প্রকাশিত এই সংবাদটি দেশের সামাজিক পরিস্থিতির একটি দিক তুলে ধরে। যে দেশে এখনো কন্যাশিশু জন্ম দেওয়ার জন্য মাকে জীবন দিতে হয়, সেখানে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষার কাজটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়ে গেছে—এ উপলব্ধি নিয়ে এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। সাহেরার ওপর নির্যাতন ও তাঁকে হত্যার শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। প্রতিনিয়ত নানাভাবে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে বহু নারীকে। কিন্তু সাহেরাকে যে মানসিকতার বলি হতে হয়েছে, সেই মানসিকতার পরিবর্তনের জন্য অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে এখনো।
নারীর এই অসহায়ত্ব কোনো ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণীর গণ্ডি মানে না। তাই নারীর প্রতি যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদানে পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে পুরুষের মানসিকতায় ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনা জরুরি। প্রয়োজন শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি। নারী নির্যাতনের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হলো নারীর ক্ষমতায়ন। পরিবারসহ সব জায়গায় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করা হলে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এ কাজ কঠিন, কিন্তু সবার জন্য একটি মানবিক পৃথিবী গড়ে তুলতে এতে আমাদের সফল হতেই হবে।
সামাজিকভাবে লোকজন দিন দিন সচেতন হলেও ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ ও নারীদের উত্ত্যক্তের মতো নানা নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। এখনো কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে প্রাণ দিতে হয় মাকে। বাস্তবে নারীর অসহায়ত্ব যে কতটা ব্যাপক, তা আবারও স্পষ্ট হলো ‘তৃতীয়বারও মেয়ে হওয়ায় মরতে হলো সাহেরাকে’ শীর্ষক সংবাদে। পারিবারিক সহিংসতা আইনের নীতিগত অনুমোদনের খবর যেদিন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, সেই মঙ্গলবারের প্রথম আলোতেই প্রকাশিত এই সংবাদটি দেশের সামাজিক পরিস্থিতির একটি দিক তুলে ধরে। যে দেশে এখনো কন্যাশিশু জন্ম দেওয়ার জন্য মাকে জীবন দিতে হয়, সেখানে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষার কাজটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়ে গেছে—এ উপলব্ধি নিয়ে এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। সাহেরার ওপর নির্যাতন ও তাঁকে হত্যার শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। প্রতিনিয়ত নানাভাবে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে বহু নারীকে। কিন্তু সাহেরাকে যে মানসিকতার বলি হতে হয়েছে, সেই মানসিকতার পরিবর্তনের জন্য অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে এখনো।
নারীর এই অসহায়ত্ব কোনো ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণীর গণ্ডি মানে না। তাই নারীর প্রতি যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদানে পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে পুরুষের মানসিকতায় ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনা জরুরি। প্রয়োজন শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি। নারী নির্যাতনের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হলো নারীর ক্ষমতায়ন। পরিবারসহ সব জায়গায় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করা হলে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এ কাজ কঠিন, কিন্তু সবার জন্য একটি মানবিক পৃথিবী গড়ে তুলতে এতে আমাদের সফল হতেই হবে।
No comments