ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে আর্জেন্টিনার পাশে ফের লাতিন দেশগুলো
ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণাধীন ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে ব্রিটিশ সরকারের তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম নিয়ে আর্জেন্টিনার আপত্তির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন ক্যারিবীয় অঞ্চল ও লাতিন আমেরিকার নেতারা। মেক্সিকোর অবকাশযাপন কেন্দ্র প্লায়া দে কারমেনে শুরু হওয়া আঞ্চলিক সম্মেলনে গত সোমবার এক বিবৃতিতে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিরা এ কথা জানান। লাতিন আমেরিকার ৩২টি দেশ নতুন একটি আঞ্চলিক জোট গঠনের উদ্দেশ্যে দুই দিনের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ক্যালদেরনকে উদ্ধৃত করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্মেলনে উপস্থিত রাষ্ট্রপ্রধানেরা ফকল্যান্ডের ওপর আর্জেন্টিনার বৈধ দাবির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’ তবে প্রেসিডেন্ট ক্যালদেরন সরাসরি এ ব্যাপারে কিছু বলেননি।
স্প্যানিশ ভাষায় ফকল্যান্ডের নাম লাস মালভিনাস। এই দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা নিয়ে ১৯৮২ সালে ব্রিটেন ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ঐতিহাসিক ফকল্যান্ড যুদ্ধ হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মালিকানার বিষয়টির মীমাংসা হয়নি।
এদিকে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ডিজায়ার পেট্রোলিয়াম সোমবার জানিয়েছে, তারা ফকল্যান্ডর উপকূল থেকে ৬০ মাইল উত্তরে তেল অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে। এ জন্য কূপ খনন করা হয়েছে। আগামী ৩০ দিন এই খননকাজ চলতে পারে।
এ ঘটনায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছে আর্জেন্টিনা। এ ঘটনায় তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে দেশটির সরকার। প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সব দেশেরই শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। ব্রিটেনের নৌযান আটকে রাখার বা সেগুলোর চলাচলে বাধা দেওয়ার ইচ্ছা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা অবরোধের মতো কোনো পন্থায় বিশ্বাসী নই।’
এর আগে এ ঘটনায় সাপ্তাহিক টিভি অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথকে উদ্দেশ করে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ বলেন, ‘ফকল্যান্ড দ্বীপ আর্জেন্টিনাকে ফেরত দিন।’ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য রোববার মেক্সিকো পৌঁছে তিনি আবার এ দাবি জানান। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের শ্যাভেজ বলেন, আর্জেন্টিনার সরকার ও জনগণের আপত্তির প্রতি আমরা নিঃশর্তভাবে সমর্থন দিচ্ছি।
সোমবার সম্মেলন চলার সময় কলম্বিয়া ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে চলমান উত্তেজনা দুই দেশের প্রেসিডেন্টের আচরণে প্রকাশ পায়। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলভারো ইউরাইভ শাভেজকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মানুষ হও।’ পাল্টা জবাবে শাভেজ বলেন, ‘জাহান্নামে যাও।’ কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভুলে দুই নেতাই পরস্পরের উদ্দেশে বাক্যবাণ ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে শাভেজ সম্মেলন ছেড়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিলে অন্য রাষ্ট্রপ্রধানেরা তাঁকে থামান।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ক্যালদেরনকে উদ্ধৃত করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্মেলনে উপস্থিত রাষ্ট্রপ্রধানেরা ফকল্যান্ডের ওপর আর্জেন্টিনার বৈধ দাবির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’ তবে প্রেসিডেন্ট ক্যালদেরন সরাসরি এ ব্যাপারে কিছু বলেননি।
স্প্যানিশ ভাষায় ফকল্যান্ডের নাম লাস মালভিনাস। এই দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা নিয়ে ১৯৮২ সালে ব্রিটেন ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ঐতিহাসিক ফকল্যান্ড যুদ্ধ হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মালিকানার বিষয়টির মীমাংসা হয়নি।
এদিকে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ডিজায়ার পেট্রোলিয়াম সোমবার জানিয়েছে, তারা ফকল্যান্ডর উপকূল থেকে ৬০ মাইল উত্তরে তেল অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে। এ জন্য কূপ খনন করা হয়েছে। আগামী ৩০ দিন এই খননকাজ চলতে পারে।
এ ঘটনায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছে আর্জেন্টিনা। এ ঘটনায় তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে দেশটির সরকার। প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সব দেশেরই শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। ব্রিটেনের নৌযান আটকে রাখার বা সেগুলোর চলাচলে বাধা দেওয়ার ইচ্ছা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা অবরোধের মতো কোনো পন্থায় বিশ্বাসী নই।’
এর আগে এ ঘটনায় সাপ্তাহিক টিভি অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথকে উদ্দেশ করে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ বলেন, ‘ফকল্যান্ড দ্বীপ আর্জেন্টিনাকে ফেরত দিন।’ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য রোববার মেক্সিকো পৌঁছে তিনি আবার এ দাবি জানান। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের শ্যাভেজ বলেন, আর্জেন্টিনার সরকার ও জনগণের আপত্তির প্রতি আমরা নিঃশর্তভাবে সমর্থন দিচ্ছি।
সোমবার সম্মেলন চলার সময় কলম্বিয়া ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে চলমান উত্তেজনা দুই দেশের প্রেসিডেন্টের আচরণে প্রকাশ পায়। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলভারো ইউরাইভ শাভেজকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মানুষ হও।’ পাল্টা জবাবে শাভেজ বলেন, ‘জাহান্নামে যাও।’ কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভুলে দুই নেতাই পরস্পরের উদ্দেশে বাক্যবাণ ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে শাভেজ সম্মেলন ছেড়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিলে অন্য রাষ্ট্রপ্রধানেরা তাঁকে থামান।
No comments