নোট-গাইড বিক্রির কাজে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
সরকারিভাবে নোট-গাইড বিক্রি ও পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তি নিষিদ্ধ করা হলেও ভোলায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছে। পাঠ্যবইগুলো মানসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও ভুলে ভরা নোট-গাইড কিনতে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এ সংবাদটি এ বিষয়ে সরকারের নজরদারির অভাবকে নির্দেশ করে।
নোট-গাইড বই নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে সরকার একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরপর কিছুদিন তল্লাশি চালানো হলেও এখন আর তা চালানো হচ্ছে না। এসব বই প্রকাশ যাতে না হয়, সে ব্যাপারে তদারকিতে যে ঘাটতি রয়ে গেছে, তা স্পষ্ট। প্রকাশক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও শিক্ষকদের যোগসাজশে এখন ব্যাপকভাবে ফিরে আসতে শুরু করেছে নোট-গাইডের ব্যবহার। ভোলায় তাই প্রকাশ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন। শুধু ভোলায় নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে কমবেশি একই ধরনের চিত্র দেখা যায়।
অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে প্রধান শিক্ষকেরা নোট-গাইড পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অন্য বছর অর্থের বিনিময়ে এ কাজটি শিক্ষক সমিতি করলেও এবার বিদ্যালয়ের প্রধানেরাই এ কাজ করছেন। তবে সমিতিকেও চাঁদার একটি অংশ দেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দোষী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। নোট-গাইড ব্যবহারের যুক্তি হিসেবে প্রায়ই বলা হয়, বোর্ড থেকে যে বই দেওয়া হয়েছে, তা আয়ত্ত করার জন্য মেধাবী ছাত্র এবং পাঠদানের জন্য মেধাসম্পন্ন শিক্ষকের সংকট রয়েছে। এ বিষয়টি বিবেচনা করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
সরকারের মনে রাখা প্রয়োজন, শুধু তল্লাশি করার মাধ্যমে নোট-গাইড বইয়ের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। বাজারে এসব বই থাকলে তার ব্যবহার বন্ধ করা কঠিন। এ কারণে বাজারে এসব বইয়ের সরবরাহ যেন ঠেকানো যায়, সেদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া জরুরি।
নোট-গাইড বই নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে সরকার একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরপর কিছুদিন তল্লাশি চালানো হলেও এখন আর তা চালানো হচ্ছে না। এসব বই প্রকাশ যাতে না হয়, সে ব্যাপারে তদারকিতে যে ঘাটতি রয়ে গেছে, তা স্পষ্ট। প্রকাশক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও শিক্ষকদের যোগসাজশে এখন ব্যাপকভাবে ফিরে আসতে শুরু করেছে নোট-গাইডের ব্যবহার। ভোলায় তাই প্রকাশ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন। শুধু ভোলায় নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে কমবেশি একই ধরনের চিত্র দেখা যায়।
অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে প্রধান শিক্ষকেরা নোট-গাইড পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অন্য বছর অর্থের বিনিময়ে এ কাজটি শিক্ষক সমিতি করলেও এবার বিদ্যালয়ের প্রধানেরাই এ কাজ করছেন। তবে সমিতিকেও চাঁদার একটি অংশ দেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দোষী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। নোট-গাইড ব্যবহারের যুক্তি হিসেবে প্রায়ই বলা হয়, বোর্ড থেকে যে বই দেওয়া হয়েছে, তা আয়ত্ত করার জন্য মেধাবী ছাত্র এবং পাঠদানের জন্য মেধাসম্পন্ন শিক্ষকের সংকট রয়েছে। এ বিষয়টি বিবেচনা করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
সরকারের মনে রাখা প্রয়োজন, শুধু তল্লাশি করার মাধ্যমে নোট-গাইড বইয়ের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। বাজারে এসব বই থাকলে তার ব্যবহার বন্ধ করা কঠিন। এ কারণে বাজারে এসব বইয়ের সরবরাহ যেন ঠেকানো যায়, সেদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া জরুরি।
No comments